এমন ভাবে আমাকে ব্লক করা হোক যেন ভিসিটর হয়েও ব্লগে আসতে না পারি। বিষয়টা অবিশ্বাস। কিন্তু সত্য,
দেখে অবাক হলাম ,ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদের ভিতরে কুয়েতি মহিলাদের উৎশৃঙ্কল আচারণ দেখে।
কুয়েতে প্রতিটি মসজিদের পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরী করা হয়।
আজ ১৯ শে আগষ্ট কুয়েতে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে।
কুয়েতে সাধারণত খুব সকাল সকাল ঈদের নামাজ অনুষ্টিত হয়ে থাকে।
আমি যে মসজিদের নামাজ পড়তে গিয়েছি। সেই মসজিদে সকাল ৫ টা ৩০ মিনিটের সময় ঈদের নামাজ শুরু হবার কথা।
কিন্তু ইমাম সাহেব ঈদ সর্ম্পকে ওয়াজ করতেছিল । তায় সময় একটু দেরী হয়ে যায়, এক পর্যায়ে মহিলাদের নামাজের কক্ষ যে দিকে আছে সেদিক হতে দরজার খুব জোরে জোরে কেউ যেন ধাক্কা দিচ্ছিল ও চিৎকার আওয়াজ আসতেছিল, হঠাৎ প্রথমে সবাই ভীত হয়ে দাড়িযে যান ।
প্রথমে আমরা সবাই ভেবে ছিলাম কোন র্দুঘটনা হয়েছে।
এ সময় অনেক কুয়েতি পুরুষ দ্রুত মহিলাদের কক্ষের দিকে এগিয়ে যান, বিষটা দেখতে , এই সময় ঈমাম সাহেব হঠাৎ ওয়াজ বন্ধ করে দেন তিনিও হতবম্ব হয়ে পড়েন।
কিন্তু পরে দেখা গেল ঐ মহিলারা বলতে লাগলো এখন সময় ৭ টা ৪০ মিনিট।
নামাজ হবার কথা ৭ টা ৩০ মিনিটে।
১০ মিনিট মত দেরী হওয়া ঐ মহিলারা ইমাম সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দরজায় ধাক্কা ও উচু স্বরে চিৎকার করতে থাকেন।
জীবণে এমন আচারণ প্রথম দেখলাম। ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ে এসে মসজিদের ভিতর মহিলাদের এরকম উৎশৃঙ্কল আচারণ দেখে।
পরে ইমাম সাহেব ঐ সব মহিলাদের উদ্দেশ্য কিছু কথা বলেন, আমি ভাল করে আরবী বুঝিনা তায় ইমাম সাহেব কি বলেছিল তা ভাল করে বুঝতে পারিনি। সামান্য একটু করে বুঝেছি। দরজা খোলা আছে , ইচ্ছা হলে যে কোন সময় যে কেউ বাইরে চলে যেতে পারেন।
ঐ খানে মহিলাদের মাঝে বেশী ছিল কুয়েতি, মিশরীয় মহিলা। যারা উৎশৃঙ্কল আচারণ করেছিল তারা কুয়েতি মহিলা ছিল ।
সালাহউদ্দীন মুকুল
খাইতান, কুয়েত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।