আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘরোয়া সুরক্ষা টিপস‍!!!!।

০ আসবাবপত্রের ময়লা ধুলা প্রতিদিন ঝাঁড় পোছ করে পরিষ্কার করে রাখুন। ০ প্রতিদিনকার ময়লা কাপড়-চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রেখে একটা বাস্কেটে জমা করুন। ধোয়ার পর ইস্ত্রি কর তুলে রাখুন জায়গা মতো। ০ চাদর, বালিশের কভার, সোফা কভার সপ্তাহে একবার অবশ্যই বদলাবেন। প্রত্যেক সপ্তাহে অথবা পনেরো দিন অন্তর ঘরের পাখা পরিষ্কার করবেন।

০ দরজা, জানালা, জানালার কাঁচ, শিক, দরজার হাতল পরিষ্কার করুন। ০ মোজাইক করা মেঝে মোছার সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল ঢেলে মুছলে মেঝে চকচক করবে। ০ মেঝেতে টাইলস থাকলে অল্প ব্লিচিং পাউডার দিয়ে নাইলন ব্রাশ দিয়ে রগড়ালে মেঝে পরিষ্কার হবে। এবার পানিতে জীবাণুনাশক মিশিয়ে শুকনো করে মেঝে মুছে নিন। ০ গরম পানিতে একটা লেবু ফেলে দিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে কাঁচ অথবা ছুরি চামচ পরিষ্কার করলে চকচকে হয়ে উঠবে।

০ পানির মধ্যে অল্প এসিড ঢেলে তা দিয়ে ফার্নিচার পরিষ্কার করলে পুরানো পালিশ ঝকঝকে হয়ে উঠবে। মোলায়েম পালিশ তৈরির জন্য এক ভাগ লেবুর রসে দু’ভাগ অলিভ অয়েল মেশান। এটি শিশিতে ভরে রাখুন। ব্যবহার করার আগে শিশিটি ভালো ভাবে নাড়িয়ে নেবেন। ০ জামায় কাদা লাগলে শুকাতে দিন।

ডিটারজেন্ট মেশানো পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। ০ বাড়িতে কারো অসুখ হলে বিশেষত সংক্রামক অসুখ হলে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। রোগীকে আলাদা ঘরে, এমনকি প্রয়োজনে মশারির ভেতর রাখতে হবে। রোগীর ঘর খোলামেলা হওয়া বাঞ্চনীয়। রোগীর ঘরের দরজা জানালা, মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং জীবাণুনাশক দ্বারা মুছে দিতে হবে।

০ রোগীর কাপড়-চোপড় আলাদা রাখতে হবে। ডিটারজেন্ট পানিতে সিদ্ধ করে কেঁচে কড়া রোদে শুকাতে হবে। ০ খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সকলকে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। অনেকে নানারকম ভীতি, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপকে ভুলে থাকতে হঠাৎই বেশি বেশি খাওয়া শুরু করেন। এতে করে নিঃসন্দেহে চেহারায় ফুলে উঠবে মলিনভাব, শরীরের ওজন বেড়ে যাবে।

অনেকে আবার মোটা হবার ভয়ে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেয়। এতে করে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অতএব, খাদ্য তালিকায় থাকতে হবে কমচর্বিযুক্ত খাবার। দুধ, সালাদ, ফল, সবজি খাওয়া যেতে পারে আর পান করতে হবে প্রচুর পানি। ০ মানসিক চাপ এবং নানা দুঃশ্চিন্তা শারীরিকভাবে আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।

চোখ দেখে মনে হবে ক্লান্ত, চেহারায় ফুটে উঠবে অলসভাব। এমন সমস্যা কাটাতে ইয়োগার্ট বিশেষ কার্যকর। এছাড়া, মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং, এক্সারসাইজও আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ০ দুঃশ্চিন্তা এবং টেনশনে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতায় ফাটল ধরে। এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নানা রোগ-বালাই।

এসিডিটি, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রাইটিসসহ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াস ইনফেকশনে স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন হতে পারে। এসব সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেবার পাশাপাশি পানি খেতে হবে প্রচুর। এমন খাবার ত্যাগ করতে হবে যা সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। ০ নিজের পরিধেয় কাপড়-চোপড় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অন্যের পরিধেয় কাপড় না ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে না।

চিরুনি, চুলের ব্রাশ, তোয়ালে একাধিক জন ব্যবহার করলে খুশকী, জীবাণু ও চর্মরোগ সংক্রমিত হতে পারে। ০ ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিশেষ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ। এ সময় অন্যান্য কাপড় চোপড় কেঁচে জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিবেন। ০ ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি পালন যেমন নিয়মিত গোসল, বাথরুম থেকে বেরিয়ে হাত-পা ধোয়া, খাওয়ার আগে ও বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ পরিষ্কার করা ইত্যাদিতে অভ্যস্ত করে তুলুন।

(সংগৃহীত) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।