আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধের মাস্টারমাইন্ড গোলাম আযম

নিশ্চিতভাবেই স্বাধীনতা পরবর্তীকালে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত নাম গোলাম আযম। তবে এক যুগ আগে তিনি যখন রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, জামায়াতে তিনি হয়তো আর ততোটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে থাকবেন না। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গত ১১ জানুয়ারি গোলাম আযম গ্রেফতারের পর এ পর্যন্ত তার পক্ষে যে শক্ত আইনি লড়াই চালাচ্ছে জামায়াত, তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট তিনি এখনো দলটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে গ্রেফতার হন জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং আব্দুল কাদের মোল্লা। এদের পরে গ্রেফতার হন গোলাম আযম।

আর গোলাম আযমের পরে গ্রেফতার করা হয়েছে দলটির সুবিশাল অর্থভাণ্ডারের রক্ষক-পরিচালক বলে পরিচিত কর্মপরিষদ ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলী। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পালিয়ে যান সাবেক রোকন কুখ্যাত খুনি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার। স্বাধীনতাবিরোধী দলটির এসব শীর্ষ নেতার কয়েকজনকে অন্য মামলায় গ্রেফতার করা হলেও বর্তমানে তারা সবাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ড শুরুর দিকে গ্রেফতার হওয়া জামায়াত নেতাদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে সিনিয়র তেমন কোনো আইনজীবীকে দেখা যায়নি। কিন্তু গোলাম আযমকে গ্রেফতারের পরই পাল্টে যায় দৃশ্যপট।

প্রথম থেকেই তার পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি যুদ্ধাপরাধ বিচারে আসামিপক্ষে আইনি লড়াইয়ে নিযুক্ত জামায়াতের আইনজীবী দলেরও প্রধান। জানা গেছে, গোলাম আযমের মামলা নিয়ে দেশে-বিদেশে একাধিক সিনিয়র আইনজীবীর পরামর্শ নিয়েছেন তার পক্ষের আইনজীবীরা। তার পক্ষে সাফাই সাক্ষীর সংখ্যাও বিশাল (দুই হাজার ৯৩৯ জন)। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী তালিকা প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘‘তদন্ত প্রতিবেদনে (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) ৮৪ জন সাক্ষীর নাম আমরা দিলেও অভিযোগ (চার্জ) গঠনের পর অত্যন্ত সীমিত সংখ্যক সাক্ষী দিয়েই মামলা পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে ইতিমধ্যেই সাক্ষ্য দিয়েছেন ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন এবং মুজিবনগর সরকারকে প্রথম গার্ড অব অনার প্রদানকারী পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। পরবর্তী সাক্ষী তালিকায় রয়েছেন মানবাধিকার সংগঠক সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ সহ আরও অনেকে। গোলাম আযমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন কি না জানতে চাইলে জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘‘তিনি তো যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ড। রাজাকারকূলশিরোমণি। তাকে তো গুরুত্ব দিতেই হবে।

’’ গোলাম আযমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে তার পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমরা গুরুত্ব দেই মামলার মেরিটকে। তবে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। কারণ, ট্রাইব্যুনাল তার মামলা সর্ম্পকে বলেছেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভালো মামলা। ’ এ থেকেই বোঝা যায়, ট্রাইব্যুনাল মামলাকে নয়, ব্যক্তিবিশেষকে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক কারণে।

’’ অভিযোগ গঠন ও গ্রেফতার ২০১০ সালের ১ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ সুবিন্যস্ত না থাকায় ২৬ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল এটি পুনর্দাখিলের নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ পুর্নদাখিল করলে ৯ জানুয়ারি অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। পূর্ব নির্দেশ অনুসারে গোলাম আযম ১১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে কারা হেফাজতে পাঠানো হয়।

অসুস্থ হওয়ায় গোলাম আযমকে পাঠানো হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ)। এরপর থেকে তিনি বিএসএমএমইউয়ের কারাকক্ষে আছেন। সেখানে তিনি সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন। শর্তসাপেক্ষে তাকে বাড়িতে রান্না করা খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে গত ১৩ মে মানবতাবিরোধী পাঁচ ধরনের অপরাধের ৬১টি অভিযোগে অভিযুক্ত করে গোলাম আযমের বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এগুলো হলো, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও এর অনুরূপ আন্তর্জাতিক অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি, সহযোগিতা এবং হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ। এসব অভিযোগে ৬১টি ঘটনার উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল, যার মধ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্রের ছয়টি, পরিকল্পনার তিনটি, উসকানির ২৮টি, সহযোগিতার ২৩টি এবং হত্যা ও নির্যাতনের একটি ঘটনা। তবে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে রাষ্ট্রপক্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬২টি ঘটনা উল্লেখ করেছিল। অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গোলাম আযমের নেতৃত্বে নানা জায়গায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পাইওনিয়ার ফোর্স, মুজাহিদ বাহিনী নামে পাকিস্তানপন্থী সংগঠন গঠন করা হয়। এসব সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহ করা এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে সুপারিশ করার দায়িত্বও ছিল তার।

এছাড়া দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ নামের একটি কমিটি গঠন করে তিনি দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের বিপক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করেন। তিনি লন্ডন থেকে ‘সোনার বাংলা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন, যাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানো হতো। ১৯৭৫ সালে সৌদি আরব ভ্রমণ করে সেখানে গোলাম আযম অভিযোগ করেন, ’৭১ সালে বাংলাদেশের হিন্দুরা মুসলমানদের হত্যা করেছে, কোরআন পুড়িয়েছে, মসজিদ ভেঙেছে। এছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের দুষ্কৃকারী ও অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেন। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক গোলাম আযমের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, তিনি পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছিলেন, এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ নয়।

তার বিচার সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আর যখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার হয় তখন ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। একাত্তরের গোলাম আযম ১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণকারী গোলাম আযম প্রথমে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করলেও ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি জামায়াতে যোগ দেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের জেনারেল সেক্রেটারি ও ১৯৬৯-৭১ সাল পর্যন্ত আমির পদে ছিলেন।

১৯৭১ সালে গোলাম আযম তার দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করেন। ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার পর থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে পুরো দেশ। আর এর মাত্র ছয় দিনের মাথায় গোলাম আযম ঢাকা বেতারকেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ও পাকিস্তানি বাহিনীর সপক্ষে একটি ভাষণ দিয়ে শুরু করেন তার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপতৎপরতা। এ ভাষণে তিনি ভারতের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানিদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানি মুসলমানদের নিকট হতে কোনো প্রকার সাহায্য পাবে না। ’’ ৯ এপ্রিল পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার কথা বলে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগিতায় গোলাম আযমদের নেতৃত্বে ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। ১২ এপ্রিল মিছিল শেষে গোলাম আযমের নেতৃত্বে মোনাজাতের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপতৎপরতায় নামে শান্তি কমিটি। গোলাম আযম মুক্তিযুদ্ধের শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতাই করেননি। বরং তিনি এবং তার দল জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে শান্তি কমিটি ছাড়াও রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ প্রভৃতি বাহিনী গড়ে তোলেন।

এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে কাজ করে বাঙালি জাতির ওপর নির্বিচার হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে। স্বাধীনতার আগ মুহূর্তে গোলাম আযম পালিয়ে পাকিস্তান চলে যান এবং পরে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে থাকেন। লন্ডনে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘সোনার বাংলা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। সৌদি রাজা ফয়সালের সঙ্গে দেখা করে বলেন, হিন্দুরা পূর্ব পাকিস্তান দখল করেছে। বাংলাদেশে গোলাম আযম ১৯৭৩ সালের ১৮ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর সরকার আরো ৩৮ জনের সঙ্গে গোলাম আযমেরও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের আনুকূল্যে ১৯৭৮ সালের ১১ আগস্ট গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্টে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। মায়ের অসুস্থতার কথা বলে সাময়িকভাবে বাংলাদেশে এলেও তিনি কোনো ভিসা ছাড়াই বাস করতে থাকেন। ১৯৯৪ সালে অবশ্য অবশ্য তিনি আদালতের রায়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট লাভ করেন। তিনি অলিখিতভাবে জামায়াতের আমির হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম গংদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি ফুঁসে ওঠে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে।

তৎকালীন সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে অগ্রাহ্য করছিলো, তখন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ডাকে ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে প্রতীকী গণআদালত। গোলাম আযমের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের প্রতীকী বিচারের সে জনতার আদালতে সমস্ত দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা জড়ো হন ঢাকায়। জামায়াত-শিবিরও জড়ো করে তাদের ক্যাডার বাহিনী। আগের রাতেই সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিলো। গোলাম আযমকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে রক্ষা করেছিলো তৎকালীন সরকার! আর জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গণআদালত গঠনের অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয়! কিন্তু তবু থামেনি জনতা।

৫ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সেদিন বিচারে গোলাম আযমের অপরাধকে মৃত্যুদণ্ডাদেশযোগ্য ঘোষণা করে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয় তা কার্যকরের। সরকার সে রায় কার্যকর না করলেও তারপর থেকেই গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। অবশেষে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে শুরু হয় কাঙ্ক্ষিত এ বিচার প্রক্রিয়া। বিচার দ্রুততর করতে এ বছরের ২৩ মার্চ গঠিত হয়েছে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল। আর ১১ জানুয়ারি গোলাম আযমকে গ্রেফতারের মাধ্যমে তার বিচার অব্যাহত থাকায় জাতির ৪০ বছরের প্রত্যাশা পূরণের পথে রয়েছে।

জাকিয়া আহমেদ, চিফ ল’ করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.