আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিপিএ এর ভিত্তিতে মেডিকেল ভর্তি ... স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জবাব চাই, জবাব চাই।

আমার পৃথিবীটা অনেক ছোট,আর তাই সেটাকে অনেক বড় করার জন্যই আমার ব্লগে আসা...আমার মনে হয় আমি ভুল করিনি। এইমাত্র ব্রেকিং নিউজে দেখলাম এ বছর মেডিকেল ভর্তি করানো হবে জিপিএ এর ভিত্তিতে। এসএসসি ও এইচএসসি মিলে যাদের মোট জিপিএ আট, তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিশেষ করে আমরা যারা দুটো A+ থাকার পরও মেডিকেলে ভর্তি হতে পারিনি এটা তাদের সাথে এক ধরনের প্রতারণা।

আমরা ভর্তি হতে পারিনি এতে যে শুধু আমরাই দায়ী ছিলাম তা কিন্তু না, এর জন্য দায়ী ছিল পুরো সিস্টেম। আমাদের জোর দাবি ছিল অন্তত জিপিএ এর ভিত্তিতে না হোক, দ্বিতীয় বার যেন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের কথা কানেও তুলেনি । আমাদেরকে ঠেলে দিয়েছে এক অসম প্রতিযোগিতায় যেখানে আমরা নিতান্তই অসহায়। যারা মেডিকেল পরীক্ষা দিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন, দ্বিতীয়বারে অংশগ্রহণ করা পরীক্ষার্থীরাই বেশি মেডিকেলে চান্স পায় কেননা যেখানে প্রথমবারের পরীক্ষার্থী প্রস্তুতির সময় পায় তিন মাস সেখানে তারা পায় দেড় বছর।

তাই এক্ষেত্রে লেভেল প্লেইং ফিল্ড হচ্ছে না কখনোই। আর আজকে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন আমাদের জন্য আর কোন সুযোগই অবশিষ্ট নেই। কিন্তু তাদের জবাব দেয়া প্রয়োজন, কেন আমাদের সাথে এমন প্রতারণা করা হল? কেন আমাদের এই সুযোগ দেয়া হল না? কেন আমাদের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টি করা হল না?কেন সিস্টেমের গ্যাড়াকলে ফেলে আমাদের স্বপ্নগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা হল? কেন আমাদের মা বাবার আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূরনে বাধার দেয়াল তুলে দেয়া হল? স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাননীয় কর্তাব্যক্তিরা, স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্টটা কেমন তা কি আপনারা জানেন, না জানতে চেষ্টা করেছেন কোনদিন?তবে কেন আমাদের সাথে প্রতারণা করলেন?কেন আমাদের স্বপ্ন ভাঙ্গার উপলক্ষ হলেন? কেন, কেন কেন? জবাব চাই ...জবাব দিতে হবে... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।