আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমান সরকারের তিন বছরঃ অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির পথে নতুন বাংলাদেশ

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....। বিগত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তব ও গণমুখী নেতৃত্বে সরকার দেশের আর্থসামাজিক ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার মাত্র কয়েকটি যা বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক অতি সম্পতি মহাজোট সরকারের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে তা এখানে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো। বিস্তারিত বিবরণ পুস্তক আকারে শীঘ্রই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জাতীয় ওয়েব পোর্টাল চালু করে(http://www.bangladesh.gov.bd/) জেলা ই-সেবাকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে জমির পরচা প্রাপ্তি থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের সকল সেবা জনগণের কাছে সহজলভ্য করা হয়েছে।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সকল পাঠ্যপুস্তক ই-বুকে রূপান্তর করে ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে এগুলো পড়া, ডাউনলোড করা ও প্রিন্ট নেয়া যায়। তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়া কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের সকল (৪৫০১) ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। ফলে সরকারি ফরম, পাসপোর্ট ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল এবং কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইন বিষয়ক তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামেই পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আশ্রায়ন প্রকল্প (ফেইজ-২) এর মাধ্যমে ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারের জন্যে গৃহীত কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।

আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরো ৫০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকায় ব্যারাক ও গৃহনির্মাণের কাজ জুলাই-২০১০ থেকে চলছে। দেশের ইপিজেডসমূহে সরকারের তিন বছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৭৫০ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এর পূর্ববর্তী তিন বছরের তুলনায় ৩১.৪২% বেশি। এ সময়ে নতুন ১৭০টি প্রতিষ্ঠানকে শিল্প স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইপিজেড শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে ৮৮,৫৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় একটি দেশীয় প্রাইভেট কোম্পানি এবং জেলার কর্ণফুলি নদীর তীরে একটি কোরিয়ান কোম্পানি ইপিজেড স্থাপন করছে।

এ দুটি ইপিজেডে আইটি ভ্যালি, এগ্রোবেজড ইন্ডাষ্ট্রি, স্যু ইন্ডাষ্ট্রি ইত্যাদি গড়ে তোলা হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কয়েক লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে। বিনিয়োগ বোর্ডে স্থানীয় বিনিয়োগে ৪,৫৬৫টি এবং যৌথ ও শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগে ৫১৪টি শিল্প প্রকল্পের নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। এতে মোট ১১,৮৮,৯৫২ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বিভিন্ন এনজিও’র মাধ্যমে শিক্ষা খাতের ৫৫৯টি প্রকল্পে প্রায় ২৭৭২ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবা খাতের ৬১০টি প্রকল্পে ২২৬৮ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার বিষয়ক বা ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন কাজের ৪৯৮টি প্রকল্পে ১২৫৯ কোটি টাকা, কৃষি-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ১৯৮টি প্রকল্পে ৬৭০ কোটি টাকা, জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে ৩৬০টি প্রকল্পে ৯২৪ কোটি টাকা এবং তথ্য-প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার ও আইটিভিত্তিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭২টি প্রকল্পে ৭৯ কোটি টাকা ছাড় করেছে। সমতল ভূমিতে বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ক্ষুদ্র্রঋণ, ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান এবং স্যানিটারি ল্যাট্রিন ও নলকূপ, কমিউনিটি সেন্টার এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ-সংস্কারের পাশাপাশি আয়বর্ধনমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এতে তিন বছরে প্রায় ৫০ হাজার নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) উদ্যোগ বাসত্মবায়নের জন্য পলিসি ও স্ট্রাটেজি এবং এর আওতায় ৩টি গাইডলাইন প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাচিবিক সহায়তায় মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৮৬৩টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তার মধ্যে ৭৬৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়নের হার ৮৮.৮৮ শতাংশ। ২৯টি নীতিমালা/কর্মকৌশল অনুমোদন ও জারি করা হয়েছে এবং ৬৮টি দ্বিপাক্ষিক ও আর্ন্তজাতিক চুক্তি/সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর/অনুসমর্থন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

মোট ২১ জন বরেণ্য ব্যক্তি এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১০ সালে এ পুরস্কারের আর্থিক মান এক লক্ষ টাকা হতে দুই লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’ (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়েছে। ‘রংপুর’ বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ‘বিজয় নগর’ উপজেলা এবং পটুয়াখালী জেলার ‘রাঙ্গাবালী’ উপজেলা গঠন করা হয়েছে। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য বিভাগ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইন ও বিচার বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ; অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিসংখ্যান বিভাগ গঠন করা হয়েছে।

‘রেলপথ মন্ত্রণালয়’ নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে যথাক্রমে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়’ এবং ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়’ নামে দু’টি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। ‘জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব ও কার্যাবলী, ২০১১’ জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সিভিল সার্ভিস এ্যাক্ট প্রণয়ন, পদোন্নতি নীতিমালা সংশোধন ও যুগোপযোগীকরণ, পদায়ন বা বদলি নীতিমালা প্রণয়ন, মাঠ প্রশাসনের কাঠামো সংস্কার, মন্ত্রণালয়সমূহের গুচ্ছায়ন ইত্যাদি বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিশেষ অগ্রগতি সাধন করেছে। বিপিএটিসি, বিসিএস প্রশাসন একাডেমী ও বিয়াম ফাউন্ডেশনে ৬৭টি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৪৩০২ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

সরকারের ব্যাপক ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ই-ফাইলিং চালু করার কাজে অগ্রগতি হয়েছে। মোট ৫৯ জন কর্মকর্তাকে সচিব, ১৬৬ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব, ৪২২ জন কর্মকর্তাকে যুগ্মসচিব এবং ৫৯৫ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। বিসিএস ক্যাডারে ৩৬৬৩ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৭৭,৯৬০ টি পদ সৃজন করা হয়েছে । সরকারি চাকরিজীবীদের চাকুরির বয়স সীমা ৫৭ বছরে উন্নীত করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ কার্যকর করা হয়েছে। সকল মন্ত্রণালয়কে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (৫ বছরের) আওতাভুক্ত করে পাঁচসালা কাঠামোতে উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯ কার্যকর করা হয়েছে। ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ’ (পিপিপি) বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জিডিপি’র গড় প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ এবং মাথাপিছু জাতীয় আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ১০.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ‘শিল্পব্যাংক’ ও ‘শিল্পঋণ সংস্থা’কে একীভূত করে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ (বিডিবিএল) গঠন এবং বিদেশ গমনেচ্ছুদের সহায়তার জন্য ‘প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক’-এর কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বীমা আইন-২০১০, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ কার্যকর, মানি লন্ডারিং আইনকে সময়োপযোগী করে সংশোধন এবং ‘শস্যবীমা’ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনা এবং কর প্রশাসনকে জনবান্ধব করায় সেপ্টেম্বর ২০১১ পর্যন্ত কর রাজস্ব আহরণের গড় প্রবৃদ্ধি ১৮.৮ শতাংশ এবং মোট রাজস্ব আহরণের গড় প্রবৃদ্ধি ১৫.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ৭৬,৪৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এবং ৩০,৭৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অবমুক্ত হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সরকারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার আলোকে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে।

এই পরিকল্পনায় ২০১৫ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষমাত্রাসমূহ হলো - দেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত করা; দারিদ্রসীমার হার ২৯ শতাংশে নামিয়ে আনা; মাথাপিছু আয় ১০০০ ডলারে উন্নীত করা; শিক্ষার হার ১০০% এ উন্নীত করা এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা। তিন বছরে ৩২৯৫০৮.৩০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৬১৯ টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। মোট ৩১১৭.৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮৪টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ২০১০-২০১১ অর্থ বছরের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯২%। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নভেম্বর’২০১১ পর্যন্ত সারাদেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মোট ৩৩ হাজার জনকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

৫টি জেলা রেজিস্ট্রি অফিস এবং ৯টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ভবনের ৯০% এবং হাজতখানা কাম পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় আইনগত সহায়তা প্রদান কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ মডেল চালু করা হয়েছে। আন্তর্র্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ০৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচার বিভাগের দীর্ঘকাল ধরে পুঞ্জীবিত মামলার জট দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে হাইকোর্ট বিভাগে ৫৫জন বিচারক এবং নিম্নআদালতে সহকারী জজ/জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের শুন্যপদে ২১৫জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর আলোকে সংবিধান মুদ্রিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সরকার দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৬ দিনের মধ্যে নন-ইউরিয়া সারের দাম কমানো হয়। টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের মূল্য ৭০ থেকে ৭৯ শতাংশ হ্রাস করা হয়। প্রথমবারের মতো প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান এবং এর মাধ্যমে ৯০ লাখ ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে যার মাধমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিগত দুই অর্থবছরে আউশ ধান চাষের প্রণোদনা হিসেবে ৬১ কোটি টাকার সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

একইভাবে হাওর অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বোরো ধান চাষের জন্য ৪৮ কোটি টাকা মূল্যের সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। ভূট্টা চাষের প্রণোদনা হিসেবে ৫০ হাজার কৃষকের জন্য ৬.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আইলাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য কৃষি পুনর্বাসন সহায়তায় ৩২ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। পাটের জেনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার হওয়ায় পাটের বহুমুখী ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে। পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য ৩১ লাখ কৃষককে ৩১ হাজার রিবনার মেশিন দেয়া হয়েছে এবং প্রণোদনা বাবদ ৩০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।

বিএডিসি’র মাধ্যমে বীজ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় এক লাখ ২৯ হাজার মেট্টিক টনে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বিশ্ববাজারে নিয়ত মূল্য বৃদ্ধি সত্বেও দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাজারের চেয়ে কম মূল্যে প্রতি কেজি চালের মূল্য মাত্র ২৪ টাকা এবং প্রতি কেজি আটার মূল্য ২০ টাকা মাত্র নির্ধারণ করে খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। সরকারি গুদামে বর্তমানে (০১/০১/২০১২) রেকর্ড পরিমাণ ১৪ লাখ ৭৬ হাজার মে.টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে এক লাখ ১০ হাজার মে.টন ধারণ ক্ষমতার ১৪০টি গুদামসহ সারাদেশে মোট এক লাখ ৩৫ হাজার মে.টন ধারণ ক্ষমতার নতুন গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ১৬ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ মঙ্গা শব্দটি এখন আর নেই। অতিদরিদ্র লোকদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ থেকে বৃদ্ধি করে এক কোটি ৭৬ হাজার ৩০০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। ভূমিকম্প পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ দ্রুত সম্পাদন করতে ৮৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে এবং ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হচ্ছে। টিআর ও কাবিখা কর্মসূচিতে মোট ১৮ লক্ষ ৫৪ হাজার মে.টন. খাদ্যশস্য ও ৬৫১ কেটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় “একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৯৬৪০টি গ্রামে গ্রাম সমবায় সমিতি গঠিত হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে সরাসরি সাপোর্ট প্রদান করা হবে। সমবায় বাজার সৃজন ও পরিচালনার কার্যক্রমের আওতায় ইতোমধ্যে ঢাকার বিডিআর দোকান বলে পরিচিত দোকানসমূহকে সমবায় বাজারে রূপান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বাজার ও গ্রোথ সেন্টারে সমবায় বাজার চালু করার লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে ৮০টি বাজার স্থাপন করা হয়েছে। কোথায় কি পণ্য কতমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে তা জানার জন্য অন-লাইন সমবায় বাজার একচেঞ্জ (http://www.samobayabazarexchange.com) চালু করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদান এবং অন্যদের এ কাজে উৎসাহ যোগানের জন্য প্রতিবছর পল্লী উন্নয়ন পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দুগ্ধ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির জন্য সমবায় গোচারণভূমি নীতি, ২০১১ প্রণয়ন ও অনুমোদন করা হয়েছে। শ্রীপুর, টুঙ্গিপাড়া এবং ত্রিশালে আরো তিনটি দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই তিন বছরে শিক্ষা মন্ত্রনালয় সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে। সরকার বছরের প্রথম কর্মদিবসেই ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ করে বিনামূল্যে পাঠ্যবই ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

এ সকল বই ই-বুক আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে। একটি সর্বজন গৃহীত পূর্ণাঙ্গ জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করেছে। যেটি আমাদের স্বাধীনতার অর্জনের ৪০ বছরের মধ্যে একটি বড় প্রাপ্তি হিসাবে স্বীকৃত হচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রমকে পুরাপুরি ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে সরকার এ খাতে বিপুল পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করছে। এর ফলে এখন বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল অন-লাইনে ওয়েবসাইটে, মোবাইল ফোনের এসএমএস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে প্রকাশ করা হচ্ছে।

ভর্তি, নিয়োগ, বিভিন্ন পরীক্ষার ই-এসআইএফ, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এখন অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দিয়ে কারিগরি সপ্তাহ পালন, টেক্সটাইল কলেজকে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণ, অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক চাহিদা বিবেচনায় রেখে পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে ট্রেড কোর্সসমূহের কারিকুলাম ও সিলেবাসকে ঢেলে সাজানো, প্রতি উপজেলায় কারিগরি স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ, ৪টি মহিলা পলিটেকনিকসহ ২৫টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগসহ নানা কার্যক্রম কারিগরি খাতে ভবিষ্যতে ব্যাপক দক্ষ কর্মী সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে বিদেশে বাংলাদেশী নাগরিকদের কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। নতুন শিক্ষানীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইসলামী এফিলিয়েটিং ইউনিভার্সিটি স্থাপন, পৃথক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ মুলধারার শিক্ষা কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে থাকা মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রমকে একটি অগ্রগামী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিনত করতে সুদূরপ্রসারী ফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৯.৬৪-এ উন্নীত হয়েছে।

দেশের ৭৮ লক্ষ দরিদ্র শিশুকে প্রায় ৮৮০ কোটি টাকার উপবৃত্তি, প্রায় ২ কোটি শিশুর জন্য বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, ৬১টি উপজেলায় প্রায় ২০ লক্ষ শিশুকে প্রতি স্কুল দিবসে বিনামূল্যে ৭৫ গ্রাম বিস্কুট প্রদান এবং শিশুদের মাঝে প্রায় দেড় লক্ষ স্কুল ব্যাগ, বই, খাতা, পেন্সিল সরবরাহ করা হয়েছে। নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য পাহাড়ি এলাকায় ১০টি ছাত্রাবাসসহ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের আওতায় ৯০টি উপজেলায় ২৩ হাজার আনন্দ স্কুলের মাধ্যমে সাড়ে সাত লাখ ঝরে পড়া শিশুকে শিক্ষাদান করা হয়েছে। প্রায় ৬১ হাজার শিক্ষক এবং ১৪ শত জনেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা প্রবর্তন করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সমপদ মন্ত্রণালয় বিগত তিন বছরে গ্যাসের উৎপাদন দৈনিক ১৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২০৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। বাপেক্স ২৮৩ লাইন কিঃমিঃ দ্বি-মাত্রিক ৩০ ফোল্ড সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন করে এবং সুনামগঞ্জে একটি উল্লেখযোগ্য গ্যাস স্ট্রাকচার (সুনেত্র) চিহ্নিত করেছে। কামতা গ্যাস ক্ষেত্রে ১১০ লাইন কিঃমিঃ সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন করা হয়েছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানীর সিস্টেম লসের পরিমাণ প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ৬টি আমদানী নির্ভর এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন এর অধিক এলপিজি আমদানী করে বটলিং করছে।

আরও ২২টি আমদানী নির্ভর এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট এর অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মোট পাঁচটি কয়লাক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থাপিত ক্ষমতা ২৮৯৪ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো ৩,৫২১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এক হাজার ৪১৪ কিমি সড়ক বাঁধ নির্মাণ ও প্রশস্থকরণ, ৮৩৭ কিমি সড়ক নতুন নির্মাণ, ২ হাজার ৭৬ কিমি সড়ক প্রশস্থ ও মজবুতিকরণ, ২৪ হাজার ৪৪৬ মিটার কনক্রিট সেতু এবং ১৫ হাজার ৪৭৯ মিটার আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ নির্মিত হয়েছে।

মিরপুর থেকে ঢাকা সেনানিবাসের ওপর দিয়ে বিমান বন্দর সড়কে ফ্লাইওভার এবং বনানী রেল ক্রসিং-এ ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। সকল জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরার কাজ এগিয়ে চলেছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্যে রুট চূড়ান্ত হয়েছে। বিআরটিসি যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে চীন থেকে ২৭৫টি একতলা সিএনজি বাস এবং কোরিয়া থেকে ২৫৫টি সিএনজি এসি/নন-এসি বাস সংগ্রহ করেছে।

স্কুল-কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের আনা-নেয়ার জন্য স্কুল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমান সরকার জনগনের জন্যে রেলওয়ে সেবার পরিমান ও গুনগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় গঠন করে একে একজন পূর্ণমন্ত্রীর অধীনে ন্যস্ত করেছে। সরকার ইতোমধ্যে ২২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণছাড়াও ৮৫ কিমি রেলপথ মিটার গেজ থেকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করেছে। প্রায় ৩২০ কিমি রেলপথ উন্নয়ন, পুনর্বাসন ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া ছোট-বড় ১৫০টি রেলসেতু পুনর্বাসন ও পুনঃনির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।

নয়টি নতুন লোকোমোটিভ বা রেলওয়ে ইঞ্জিন সংগৃহীত হয়েছে। আট জোড়া নতুন ট্রেন এবং সাত জোড়া ট্রেন সার্ভিস বর্ধিত করা হয়েছে। ই-টিকেটিং চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু হার হ্রাসে সাফল্যের জন্য ২০১০ সালে জাতিসংঘ পুরস্কার এবং নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালে জাতিসংঘ ‘সাউথ সাউথ পুরস্কার’ অর্জন করে। বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ১৯৪।

৫১৩৩ জন চিকিৎসক, নার্স ও সিএইচসিপিসহ ৪৫ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১১,২৬২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে এবং প্রায় ৬ কোটি মানুষ এগুলো থেকে চিকিৎসা সেবা পেয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। ঢাকায় দুটি ৫০০ শয্যার হাসপাতালসহ মোট ৪টি নতুন হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো ১০টি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয়েছে।

মুল ভূখন্ডের সাথে সংযোগহীন ছিটমহল দহগ্রাম ও আঙ্গোরপোতায় হাসপাতাল চালু হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ২৬ রকমের ঔষধ বিনামূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গ্যাভি’র বোর্ড সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৩৩৪০-এ উন্নীত করা হয়েছে। নতুন ৪টি সরকারি এবং ৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

৮০০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। ৪৮৫টি হাসপাতালে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি চালু হয়েছে। ৮টি হাসপাতালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টেলিমিডিসিন সেবা চালু হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যান্ত্রিক বিভাগ আধুনিক করতে ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জাম Truck Dozer সংযুক্ত করা হয়েছে। চীন থেকে ৪৪ টি নতুন ট্যাংক, তিনটি আর্মড রিকভারি ভেহিকেলস সংগ্রহ করা হয়েছে, অষ্ট্রেলিয়া থেকে আনা হয়েছে ৪০০ টি অত্যাধুনিক ওয়্যারল্যাস সেট।

মিরপুর ক্যান্টম্যান্টে ৩৭ এডি রেজিমেন্ট আর্টিলারি নামে নতুন একটি ইউনিট গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাভাল শিপ বিএনএস বঙ্গবন্ধুর জন্য ইটালি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে OTOMAT MK-II মিসাইল এবং মিসাইল সিস্টেম, মেরিটাইম হেলিকপ্টার, Trigon হেলিকপ্টার হ্যান্ডেলিং সিস্টেম। ইংল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে একটি হাইড্রলিক সার্ভে ভ্যাসেল। বর্তমানে ৮৫৫৩ জন আর্মড ফোর্সেস পাসোর্নাল জাতিসংঘ মিশনের অধীনে নয়টি দেশে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত আছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জঙ্গীবাদ ও চরমপন্থী সংগঠনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং সমন্বয় সাধনের জন্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নারী ও শিশু পাচাররোধে একটি ‘জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়েছে। ‘‘এসিড মামলা মনিটরিং সেল’’ গঠন করা হয়েছে। ইভটিজিং রোধে মোবাইল কোর্ট আইনে দন্ড বিধির ৫০৯ ধারা সংযোজন করা হয়েছে। শিল্পাঞ্চল পুলিশ গঠন করা হয়েছে। মহিলা পুলিশের একটি কন্টিনজেন্ট জাতিসংঘ মিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।

৬২টি থানাকে মডেল থানায় উন্নীত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাব এর জন্য ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। ৪২ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালীতে কোষ্টগার্ডের একটি প্রশিক্ষণ ঘাটি নির্মিত হচ্ছে। বর্ডার গার্ড আইন-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ভিসা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় কোস্ট গার্ডের অপারেশনাল কার্যক্রম সক্রিয় করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্য রপ্তানির পরিমান ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়ে ৭.৫ হাজার মিলিয়ন বেড়ে ২০১০-১১ সালে প্রায় ২৩ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ৮৩টি দেশে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্পখাতে নতুন সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশেই পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে এবং উন্নত দেশগুলোতে জিএসপি সুবিধাও বাড়াতে পেরেছে।

টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজার মনিটরিং, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও উদার বাণিজ্য নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সার্ক দেশসমুহের মধ্যে বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য সর্বনিম্ন রাখা সম্ভব হয়েছে। বাজারে মানসম্পন্ন পণ্যের উপস্থিতি ও পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী অভিযান ও গণসচেতনতা কার্যক্রম চালিয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ-২০১১, প্রতিযোগিতা আইন-২০১১, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ (সভা ও কার্যক্রম) বিধিমালা-২০১০ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ তহবিল (হিসাব ও নিরীক্ষা) বিধিমালা-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় জাতীয় শিল্পনীতি-২০১০ প্রণয়ন এবং শিল্প আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব জাহাজ ভাঙ্গা ও রিসাইক্লিং এর জন্য খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

চিনিকলগুলোর অপচয়রোধ, আখ ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও চাষিদের হয়রানি প্রতিরোধে ডিজিটাল ই-পূর্জি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। জাপানের মিটসুবিসি কর্পোরেশনের সহায়তায় প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ পাজেরো স্পোর্টস জিপ সিআর-৪৫ সংযোজনে সক্ষম হয়েছে। জাতীয় লবণ নীতি-২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। মেধাসম্পদের সংরক্ষণ ও মালিকানা রক্ষায় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস আইন-২০০৯ পাস করা হয়েছে। বিটাকের মাধ্যমে হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষিত সহস্রাধিক নারী-পুরুষ চাকুরি পেয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমন্ডলে একটি উদার, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকায় বিমসটেক এর স্থায়ী সচিবালয় স্থাপনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত, সার্ক কর্তৃক বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘সার্ক চার্টার অব ডেমোক্রেসি’ অনুমোদন, জাতিসংঘের অধীনে সবোর্চ্চ শান্তিরক্ষী ও পুলিশ প্রেরণ এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের রেকর্ডসংখ্যক পদে নির্বাচন, ঢাকায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম সম্মেলন আয়োজন, ১৭টি মিশনে এমআরপি ও এমআরভি সুবিধাদি চালু এবং ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে । বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গবেষণা কাজে উৎসাহ প্রদানের জন্য ৫৪৭ জন বিজ্ঞানীকে ২৭ কেটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা অনুদান এবং ১,৭৩৩ জন ছাত্র-ছাত্রীকে মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ প্রকল্পের আওতায় দেশে-বিদেশে ১০২ জনকে এমএস ও পিএইচডি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

কক্সবাজারে ৪০ একর জমিতে জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং একই সাথে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করার জন্য মেরিন একুরিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান জাদুঘর “মিউজু বাস” এর মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা উপজেলা পর্যায়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাষ্ট্রের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় টেলিফোন ও ইন্টারনেট কলচার্জ কমানোর ফলে বর্তমান সরকারের প্রথম তিন বছরে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪.৫ কোটি থেকে ৮.২৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। বিটিসিএল‘র ল্যান্ড টেলিফোনের ক্ষেত্রে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে গ্রাহকগণ প্রতি মিনিট ৩০ পয়সা হারে কথা বলতে পারছেন।

সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ৭.৫ জিবিপিএস থেকে ৪৪.৬ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১০-১৪ মেয়াদে আইটিইউ কাউন্সিল মেম্বার নির্বাচিত হয়েছে। ৩টি পার্বত্য জেলায় টেলিটক মোবাইল সেবা চালু করা হয়েছে। সারাদেশে ১৯৬৭টি ডাকঘরে ইলেকট্রনিক মানি অর্ডার সার্ভিস এবং সকল জেলা শহর ও বিভাগীয় শহরে পোস্টাল ক্যাশকার্ড কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। টেলিফোন শিল্প সংস্থা হতে ল্যাপটপ/নোটবুক/নেটবুক সংযোজন-উৎপাদনের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে।

প্রথমবারের মতো অপটিক্যাল ফাইবার কেবল তৈরি ও বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী ঢাকা, অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৪১ হাজার প্লট উন্নয়ন ও সাড়ে ২৫হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে যা সুলভমূল্যে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পরিকল্পিত নগরায়ন ও বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিকল্পনায় (ক) ঢাকা মহানগরীর ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান; (খ) সিলেট ও বরিশাল বিভাগীয় শহরের স্ট্রাকচার প্ল্যান; (গ) খুলনা মহানগরীর ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান; (ঘ) কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও মহেশখালী এলাকার পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা; (ঙ) গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ঢাকা শহরের চারপাশে ০৪টি স্যাটেলাইট টাউন গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের নির্ধারিত মূল্যে যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নিকট পরিত্যক্ত বাড়ী বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণসহ ঢাকার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যে বেগুনবাড়ি খালসহ হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প এবং গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার জনগণের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি নিশ্চিত করার জন্যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ঢাকা শহরের আশপাশের নদীসমূহকে দূষণ হতে রক্ষার জন্য খসড়া নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।

তরলবর্জ্য নির্গমণকারী সকল কলকারখানায় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের নির্দেশনা দেয়ার পর ২৮০টি কারখানায় ইটিপি স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাহাজভাঙ্গা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১০ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় জুন ২০১১ পর্যন্ত ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভূমিহীন পরিবারকে ৪০ হাজার ১০০ একর কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করেছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে আরো ৫ হাজার একর কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।

৪৯টি জেলা ১০২টি উপজেলায় ১৩৬টি গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে তাতে ৬,২০২টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিবাসীদের জন্য ২৮৮টি এবং নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য ৭৬৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। চর এলাকায় ১২৮টি টুইন হাউজ নির্মাণ করে ৬ হাজার ১৮৫টি ভূমিহীন পরিবারে মধ্যে খতিয়ান বিতরণ করা হয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যপর্ণ (সংশোধনী) আইন ২০১১, “জাল যার জলা তার” নীতির আলোকে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এবং বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধি ২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া “হাটবাজার প্রতিষ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.