আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“উপজাতিদের” “আধিবাসি” স্বীকৃতি এবং পার্বত্য অঞ্চলের ভুমির দাবি দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। দমনে প্রয়োজনে নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ ।

“আদিবাসি” হওয়ার জন্য বাংলাদেশের “উপজাতিদের” বিশেষ করে চাকমাদের যেই দৌড় ঝাপ বেশ কয়েকবছর চলছে তার একটি বেশ বড় দুরভিসন্ধি রয়েছে এবং কোন অবস্থাতেই এই দুটি শব্দকে এক করে দেখার অবকাশ নেই । আর এখন তো তারা সীমা পুরাপুরি লঙ্ঘন করে তাদের ভুমিতে তাদের পূর্ণ অধিকার দাবি করছে। প্রথমেই আমি একটি বিষয় বলতে চাই , পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য এলাকার উপজাতি আর চাকমাদেরকে এক করে দেখার কিছু নেই । আর আজকে যেই আদিবাসী কে উপজাতি বলার চক্রান্ত চলছে তা মুলত তাদের । কিন্তু তাদের অবস্থা আর অন্যদের অবস্থা মোটেও এক নয় ।

এবার আসুন বাংলাদেশের প্রতি তাদের মনোভাব কি সেটা একটু দেখি – বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় জামাত- ই – ইসলাম যেমন বিরুদ্ধাচারন করেছে তেমনি চাকমারাও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় । আমি এই মুহূর্তে নাম মনে করতে পারছি না ওই তৎকালীন চাকমা রাজার যে কিনা সরাসরি পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেন । তবে ওই সময় মারমা এবং সাওতালদের ভাল ভুমিকা ছিলও আমাদের পক্ষে । এতো ছিল অতীত কিন্তু তাদের বর্তমান আরও বিপদজনক আমাদের জন্য । তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশগ্রহন করে না, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস কিংবা ভাষা দিবস এগুলু কোনটাই তারা পালন করে না ।

তবে হ্যা ওই সব দিবসে ঢাকায় ফুল দিতে কিন্তু আসে তবে সেটা আমাদের জন্য নয় সেটা হল আন্তর্জাতিক মহলকে দেখানর জন্য । আসুন দেখি যেই দুইটি বিষয় তারা চাচ্ছেন একটা হল তারা হলেন “আদিবাসী” এই অঞ্চলের । আচ্ছা তাহলে প্রশ্ন হল বাঙ্গালিরা কি এই অঞ্চলের নবীনবাসি ? এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল চিন্তা এবং মত । তারা প্রথমত যদি সম্ভব হয় তাহলে বাঙালি জাতির সাথেই মিশে যেতে পারে কিন্তু তারা সেটা করবে না এক আর তাহলে দ্বিতীয় কথা হল তারা উপজাতি এতে কোন সন্দেহই থাকার অবকাশ নেই । সুতরাং এই দাবি নিতান্তই অমুলক ।

এবার আসুন চক্রান্তে । তারা তাদের ভুমির অধিকার মানে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম যাতে তাদের নিজের অনুকুলে থাকে । সেখানে আর যাতে কোন বাঙ্গালির বাস না হতে পারে । এর মানে হল এর পরবর্তী দাবিই হবে তাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া । তাদের তখনই দৌড়রা দৌরি শুরু হয়ে যাবে জাতিসংগে যে আমরা নিপিরিত আমরা লাঞ্চিত আমরা অত্যাচারিত সুতরাং আমাদের নির্দিষ্ট একটা ভুমি আছে আমাদেরকে স্বাধীনতা দেয়া হোক ।

আবার সীমানার ওই পারে ভারতের বেশ কিছু অংশও আছে উপজাতিদের সুতরাং এখন এইপাশে যদি জমিটা পাওয়া যায় তাহলে স্বাধীন হতে সুভিধা হয় । আমার কথা হল স্পষ্ট যে তাদের আন্দোলন হতে পারে তবে দেখতে হবে বিষয়টা কি । তারা তাদের সুযোগ সুভিধার জন্য আন্দোলন করতে পারে , নাগরিক সুভিধা বৃদ্ধি , তাদের চাকুরীক্ষেত্রে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কতা বাড়ানোর দাবি করতে পারে কিংবা অন্য দাবিগুলু যে গুলু যৌক্তিক কিন্তু একেমন দাবি যে তাদের কে “আদিবাসী” এবং তাদের নামে জমি এলকেট করতে হবে ? দুঃখের বিষয় হল নাম নিব না এর সাথে আবার জরিত আছে আমাদের সুধি সমাজও । তাদেরও উদ্দেশও আজ প্রশ্নবিদ্ধ । এদেরকে আমি বলবো নব্য রাজাকার যারা দেশের সারবভুমত্ত বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।

শেষ করব সরকারের প্রতি দুটি কথা বলে । খুব কঠিন পদক্ষেপ আশা করছি আপনাদের কাছ থেকে । এটি সহজভাবে দেখলে হবে না তাদের সব অধিকার দেন কিন্তু ভুমি না । সরকারের একটি ভুল যা আমার চখে পড়েছে তা হল তারা সেনা প্রত্তাহার করে নিয়েছে ওই অঞ্চল থেকে । আমার মতে তা আবার করা হোক এবং দমন করা হোক যেকোনো অশুভ চিন্তা ।

পাহারিদের আমাদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ এবং লড়াইয়ের যেই মনোভাব এর ইতিহাস আজকের নয় এই সম্পর্কিত সুন্দর এবং তথ্যবহুল একটি পোস্ট দিয়েছেন ব্লগার পুংটা । নিচে লিঙ্কটি দেয়া হল । পাহাড়ের মুক্তিযুদ্ধ: আমরা যা জানি না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.