আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনার শিশুর ইনজুরি প্রতিরোধের উপায়। কাজে লাগবে আশাকরি।

জসীমউদ্দীন,বালুখালী,রাঙ্গামাটি। গতকাল একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে । পোষ্টটি ২/১ জনের ভাল লেগেছে এবং তাদের উপকার হবে বলে জানিয়েছেন। এতে আমি আগ্রহান্বিত হয়ে আরেকটি পোষ্ট দিলাম শিশুকে ইনজুরি থেকে রক্ষা বিষয়ে। এটিও কম গুরত্বপূর্ন পোষ্ট নয় বিশেষ করে যাদের ঘরে ছোট ছোট সোনামনি আছে।

একজন ব্লগার বন্ধুরও যদি এই পোষ্ট ভাল লাগে তবে আমার পরিশ্রম স্বার্থক হবে। শিশুর অভিভাবকদের জন্য- ১। মা-বাবা ও পরিচর্যাকারী ছোট শিশুদের ওপর সতর্ক নজর রাখলে এবং তাদের চারপাশ নিরাপদ রাখলে অনেক গুরতর ইনজুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব। ২। ছোট শিশুরা রাস্তাঘাটে বিশেষ ঝুকির মুখে থাকে।

তাই রাস্তাঘাটে তাদের খেলতে দেয়া উচিত নয় এবং রাস্তাঘাটে চলাফেরা বা পারাপারের ক্ষেত্রে সবসময় তাদের চেয়ে বড় কেউ সঙ্গে থাকা উচিত। বাইসাইকেল বা মোটর সাইকেলে চড়ার সময় তাদের হেলমেট পরানো এবং যানবাহনে চলাচলের সময় তাদের নিরাপত্তা বেল্ট পরিয়ে রাখা উচিত। ৩। শিশুরা ২ মিনিটেরও কম সময়ে ডুবে মারা যেতে পারে। খুব কম পানিতে,এমন কি বড় পানির পাত্র, বড় বালতি, গামলা বা বাথটাবেও তাদের মারা যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তবে আমাদের দেশে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বেশীর ভাগ ঘটনা ঘটে বাড়ির কাছাকাছি পুকুর, ডোবা এবং জলাশয়ে। তাই কখনো তাদের পানিতে বা পানির কাছাকাছি একা রাখা উচিত নয়। ৪। শিশুদের আগুন, রান্নার জলন্ত চুলা, গরম তরল দ্রব্য ও গরম খাবার এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে রাখার মাধ্যমে আগুনে পোড়ার আশংকা থেকে নিরাপদ রাখা যায়। ৫।

ছোট্ট শিশুদের ইনজুরি হওয়ার একটি প্রধান কারন পড়ে যাওয়া। সে জন্য সিঁড়ি, বারান্দা, ছাদ, জানালা, খেলাধুলা ও ঘুমানোর জায়গা সুরক্ষিত হওয়া উচিত। শিশুরা যাতে পড়ে না যায় সেজন্য এসব স্থানে লম্বালম্বি পাত দিয়ে বা বেড়া দিয়ে রাখা দরকার। ৬। ওষুধ, বিষ, কীটনাশক, ব্লিচিং পাউডার, এসিড, তরল সার ও জ্বালানী শিশুদের দৃষ্টি ও নাগালের বাইরে রাখা উচিত।

এ ধরনের সব তরল ও বিষাক্ত পদার্থ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত পাত্রে রাখতে হবে এবং কখনোই খাবার পানি বা অন্যকোন ভোজ্য জিনিসের বোতলে রাখা যাবে না। বিষাক্ত কিছু কোনো বোতলে বা অন্য পাত্রে রাখা হলে সেটির মুখ এমনভাবে আটকাতে হবে যাতে শিশুরা খুলতে না পারে। ৭। ছুরি, কাঁচি, ধারালো বা চোখা জিনিস ও ভাঙা কাচ দিয়ে গুরতর ইনজুরির আশংকা থাকে। এসব জিনিস শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে।

পলিথিন বা প্লাষ্টিকের ব্যাগ দিয়ে দম আটকে যাওয়ার মত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের জিনিস শিশুদের নাগালের মধ্যে রাখা যাবে না। ৮। ছোট শিশুরা মুখের ভেতর জিনিস ঢোকাতে পছন্দ করে। গলায় কোন কিছু আটকে যাতে দম বন্ধ না হয় সেজন্য ধাতব মুদ্রা, নাট বল্টু, বোতামের মত ছোটখাট জিনিস তাদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।

শিশুদের খাবার ছোট ছোট করে কাটতে হবে,যাতে তারা তা সহজে চুষে বা গিলে খেতে পারে। ৯। ছোট শিশুদের প্রাণীর আঘাতে ইনজুরি হতে পারে। যেমন- কুকুর বা বিড়ালের কামড়, গরু বা মহিষের গুতোয় আঘাত পাওয়া। সে জন্য প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করা থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.