আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরআন পুড়ানো নিয়ে রিভার্স গেম! আপনার বিবেক কি বলে??

অনলাইনে যারা দীর্ঘ দিন ধরে আছেন তারা ভালো করেই জানেন যে রিভার্স গেম কারা খেলে আর কেমনে খেলে! ছোট্ট একটা উদাহরন দিয়ে বুজাচ্ছি, কয়েকদিন আগে আওমিলীগের এক কর্মী মাদ্রাসার শহীদ মিনার ভাঙতে গিয়ে ধরা সাধারন জনগনের হাতে ধরা পড়ল পরল,, তারা তাকে সরাসরি পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে করে দেওয়া হল! কিন্তু পুলিশ কি করল ঐ আওমিলীগ কর্মীকে মানুষিক রুগী বলে ছেড়ে দিল! এখন একটু চিন্তা করে দেখুন এই ক্ষেত্রে যদি ঐ কর্মী ধরা না পরত তাহলে সরাসরি ঐ শহীদ মিনার ভাংগবার দায় বিরুধী শিবিরের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাদেরকে স্বাধীনতা বিরুধী শক্তি প্রমান করাটা সহজ হয়ে যেতো!! আর সাধারন জনগনদেরও বুজানো অনেকটা সহজ হয়ে যেতো! একেই বলে রিভার্স খেলা! মানে আপনি নিজেই একখানা দুষ্কর্ম সাধন করিয়ে সেই বিষয়ে মায়া কান্না জুড়িয়া দিবেন! বেস হয়ে গেলো! জয় আপনার সুনিশ্চিত! কিন্তু ঐ যে সমস্যা একটাই সকল অপকর্মেরই প্রমান রয়ে যায়! এইটো কিছু দিন আগের কথা থাবা বাবা মারা যাওয়ার পর যখন নাস্তিক আস্তিক ক্যাচাল তুন্গে তখন শাহবাগ বেসড গ্রুপ আর পেজগুলো থেকে গনহারে প্রচার করা হলো, "আপনারা সবাই সাবধান থাকবেন, আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি যে জামাত/শিবির কর্মীরা গনজাগরন মন্চের আশে পাশে কুরআন শরীফে আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে দোষ দিবে যে আমরা নাস্তিক!" কিন্তু কুরআন শরীফ পুড়ানোর মত কোনো ঘটনাই কিন্তু ঘটে নাই! কারন কারনো মধ্যে যদি বিন্দু মাত্র ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থাকে তবে কুরআন পুড়ানোর কথা চিন্তাও করতে পারবে নাহ! অপরদিকে এমন একটা পক্ষের থেকে এই কুরআন পুড়াবার কথা বার বার প্রচার করা হলো যারা মন্চে দাড়িয়ে সকল ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের ঘোষনা দিয়েছিল! তাদের মনে এই চিন্তা কেন এসেছিল! কারন তারা সবসময় এই রিভার্স গেম খেলতে অভ্যস্থ! গতকাল রাতে যখন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সকল বিরুধী মিডিয়া সেলকে ঘটনাস্থল থেকে বের করে দিয়ে নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের উপর উপর স্বসস্ত্র হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র আর হুজুরদের খুন করা হল তখন পরের দিন একটা মহল খুব চাউর করে প্রচার করতে শুরু করলো এ কেমন ইসলামের রক্ষক কুরআন শরীফ আগুনে পুড়ায়! এই ভন্ড হেফাজতীদের মুখোচ উন্মচনে ব্যাস্ত! এতদিন যারা কোরআনের আইনকে বর্বর বলে আক্ষা দিয়ে এসেছে তারাই হঠাৎ করে কোরআনের রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছে! এদের মুখেই আমি এতদিন বলতে শুনেছি মসজিদ মন্দির কোরআন, দেবালয় পুড়লে ইশ্বর কি বা আসে যায়! মানুষ পুড়লে এ হৃদয়ে রক্ত ক্ষরন হয়! তারাই হঠাৎ করে এত উতলা হয়ে প্রচার করতে লাগল হেফাজতে ইসলামে কুরআন হাদীসের বই পুড়িয়ে দিয়েছে! যেই মাদ্রাসার ছাত্র আর মোল্লারা সারা জীবন কুরআনকে বুক দিয়ে আগলায় রাখছে কুরআনের বানীকে অন্তরে ধারন করছে তার পক্ষে কি কোনদিন সম্ভব কুরআন হাদীসের বইয়ে আগুন দেওয়া! কিন্তু আজকে সারাদিন ফেসবুকের একটি অংশ সেইটাই বারংবার হাইলাইট করে গেছে! আমাকে শুধু একটা প্রশ্নের জবাব দেন কেনো মার্কেটের সেই অংশেই আগুনের সূত্রপাত হলো যেই দিকে কুরআন আর হাদীসের বই বেশি! অথচ ঐদিক টাতেই ছিল আওমিলীগের কার্যালয় আর পুলিশি কড়া পাহারা! নিচের ম্যাপটা দেখেন তাইলেই আপনারা ধারনা পাইবেন! কেনো হাফেজতে ইসলামের লোকজন যেইদিকে অবস্থান নিয়েছিল সেইদিকের কোনো কিছুতে আগুন লাগায় নাই লাগাইছে কুরআন আর হাদীসের বই যেদিকে ছিল ঐ দিকে কেনই বা আওমিলীগের অফিসের আসে পাশেই বই পুড়ানোর ঘটনা ঘটল!! টিনের চালে কাক আমিতো অবাক মার্কা যেই কয়টা আওমিলীগের পেইজ আছে তারা শুরু থেকেই কুরআনকে টার্গেট করে তাদের পোস্ট দিয়ে এসেছে! শেষমেষ নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনাকে হালকা করবার জন্যও কুরআনকে ব্যবহার করল! আমি নিশ্চিত ভাবে জানি না কে বা কাহারা কুরআন কে পুড়াইছে কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে নিশ্চই কোনোদিন ক্ষমা করবেন না!!!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।