আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুপ্রিম কোর্ট প্রদর্শনঃ সামু ব্লগে কুরআনের আইন কায়েম, অবাক ব্যাপার!!!! কুরআন বিরোধীরা কুরআন দিয়ে নসিহত করছে ???

ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত.. আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত... اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لا تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَاللَّهُ لا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ (٨٠) তুমি ওদের জন্য ক্ষমা চাও আর না চাও, তুমি যদি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমা প্রার্থনা করো, আল্লাহ কখনো ওদের ক্ষমা করবেন না। এটা এ জন্য যে , তারা আল্লাহ ও তার রাসুল কে অস্বীকার (কাফির) করেছে। আল্লাহ ফাসিকদের সুপথ দেখান না। (তাওবা,৮০) .....................। মুনাফিকদের সর্দার ' আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই সালুল" মারা গেলে রাসুল (সা) তার জানাজা পড়তে গিয়েচেন।

হযরত উমার (রা) এর বিপক্ষে ছিলেন, তিনি রাসুলের জামা পিচন থেকে টেনে ধরেচেন, কেননা সে রাসুল কে "কুকুর" বলে গালি দিয়েছে। কিন্তু রাসুল বলেছেন, উমর! আমাকে যেতে দাও। কেননা সে কালিমার সাক্ষ্য একবার হলেও দিয়েছিল। . . . সাধারনত, নিয়ম হল জানাযার নামাজে ৪ তাকবির দিতে হয়, কিন্তু রাসুল মুনাফিকের জানাজায় ৯ বার তাকবির দিয়েছেন। প্রত্যেক তাকবিরের মাঝে তার ক্ষমার জন্য দোয়া করেছেন।

.... কিন্তু, আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করলেন না। রাসুলের বিপক্ষে এবং "উমর" কে সমর্থন দিয়ে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ২৫ টি আয়াত নাযিল করলেন। আর রাসুল কে বললেন" তিনি যেন কখনো অন্য কোন মুনাফিকের জানাযা না পড়ান। ............................................ ............................................ অগ্রপথিক... বলেছেন: যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।

{সূরা মায়িদা-৩৩} মুরতাদ কাকে বলে? মুরতাদ বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে যে প্রথমে মুসলমান ছিল। তারপর ইসলামের যে কোন জরূরিয়্যাতে দ্বীন অস্বিকার করে কাফের হয়ে গেছে। উক্ত ব্যক্তির নাম মুরতাদ। আর যে ব্যক্তি মুরতাদ সে কাফেরও হয়ে যায়। এখানে একটি বিষয় বুঝে রাখতে হবে যে, কাফের মানেই মুরতাদ নয়।

কিন্তু মুরতাদ মানেই কাফের। পার্থক্যটা এজন্য যে, কোন ব্যক্তি প্রথমে মুসলমান না হয়ে যদি শুরুতেই ইসলামের আবশ্যকীয় কোন বিষয় অস্বিকার করে, তাহলে সে কাফের। কিন্তু মুরতাদ নয়। কিন্তু যে ব্যক্তি মুসলমান থেকে তারপর কুফরী কাজ করে কাফের হয়, সে হল মুরতাদ। সাথে সাথে কুফরী কাজ করার দ্বারা কাফেরও।

মুরতাদের শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড মুরতাদকে প্রথমে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হবে। যদি না মানে, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। عن عائشة قالت : ارتدت أمرأة يوم أحد فأمر النبي صلى الله عليه و سلم أن تستتاب فإن تابت وإلا قتلت হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। ওহুদ যুদ্ধে এক মহিলা মুরতাদ হয়ে যায়,তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,তাকে তওবা করানো হোক,আর যদি তওবা না করে,তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২১, সুনানে বায়হাকী কুবরা,হাদীস নং-১৬৬৪৫,মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,হাদীস নং-১৮৭২৫,মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হাদীস নং-২৯৬০৭} عن جابر أن امرأة يقال لها أم مروان ارتدت عن : الإسلام فأمر النبي صلى الله عليه و سلم أن يعرض عليها الإسلام فإن رجعت وإلا قتلت হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত।

উম্মে মারওয়ান নামের এক মহিলা মুরতাদ হয়ে গেলে রাসূল সাঃ আদেশ দেন যে,তার কাছে ইসলাম পেশ করতে,যদি সে ফিরে আসে তাহলে ভাল, নতুবা তাকে হত্যা করা হবে। {সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী,হাদীস নং-১৬৬৪৩,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২২} নাস্তিক কাকে বলে? নাস্তিকতা বা এথিজম হল স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা। তথা একথার বিশ্বাস করা যে, স্রষ্টা বলতে কিছু নেই। আসমান, জমিন, গ্রহ-তারা সবই এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোর কোন স্রষ্টা নেই।

এক কথায় স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতার বিশ্বাসের নাম নাস্তিক্যতা। নাস্তিকতার অর্থ বুঝলে আমাদের অনেক বিষয় বুঝে আসবে। যেমন- ১-নাস্তিক মানেই কাফের। কারণ কাফের হওয়ার জন্য দ্বীনে ইসলামের যে কোন একটি আবশ্যকীয় বিষয় অস্বিকার করলেই হয়। আর সেখানে নাস্তিক সেতো কোন কিছুই মানে না, তাই সে যে কাফের এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

২-নাস্তিক মুরতাদ ও হতে পারে। কারণ কোন ব্যক্তি যদি মুসলমান ছিল প্রথমে, তারপর (আল্লাহ না করুন) স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতায় বিশ্বাসী হয়ে যায়, তাহলে লোকটি নাস্তিক ও হল, সাথে সাথে মুরতাদও হল। সেই সাথে কাফেরতো হলোই। ৩-কাফের ও মুরতাদ হওয়ার জন্য নাস্তিক হওয়া জরূরী নয়। বরং নাস্তিক না হয়েও কাফের বা মুরতাদ হতে পারে।

কিন্তু নাস্তিক হলেই কাফের হয়ে যায়। যদি মুসলমানিত্ব থেকে নাস্তিকতার দিকে গেলে সাথে মুরতাদও হয়ে যায়। এ বিষয়টি আরো ভাল করে বুঝতে হবে। কাফের হলেই তাকে নাস্তিক হতে হবে এমন শর্ত নয়। কারণ কাফের হল ইসলামের জরূরী বিষয়ের কোন একটি অস্বিকার করা।

আর নাস্তিক মানে হল স্রষ্টা অস্বিকার করা। তাহলে কোন ব্যক্তি ইসলামের জরূরী কোন বিষয়ের অস্বিকার করে যদি স্রষ্টা আছে মানে,তাহলে উক্ত ব্যক্তি কাফের, কিন্তু নাস্তিক নয়। এ হিসেবে খৃষ্টান নাস্তিক নয়। নয় ইহুদীরাও। নয় হিন্দু বৌদ্ধরাও।

কারণ তারা সবাই একজন স্রষ্টা আছেন মর্মে বিশ্বাস করে। ( তারা হল মুশরিক বা আল্লাহর সাথে অন্য স্রস্টাকে শরীক কারী) কিন্তু তারা সবাই কাফের। কারণ তারা ইসলামের জরূরী বিষয় অস্বিকার করে। রাসূল সাঃ কে কোন মুসলিম ইচ্ছেকৃত গালি দিলে সে কাফের হয়ে যায়। তার (মুসলিম) স্ত্রী তালাক হয়ে যায়।

উক্ত ব্যক্তিকে প্রথমে তার কুফরীর ব্যাপারে সতর্ক করা হবে। সে তার ভুল বুঝতে পারলে তাকে কালিমা পড়িয়ে নতুন করে মুসলমান হতে হবে। সেই সাথে তার স্ত্রীকে নতুন করে বিয়ে করতে হবে। কারণ রাসূল সাঃ কে গালি দেয়ার দ্বারা লোকটি মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল। আর মুরতাদের স্ত্রী তালাক হয়ে যায়।

আর যদি সে তার ভুল স্বীকার না করে পূর্বের অবস্থায়ই থাকে, তাহলে ইসলামী আইন দেশে প্রতিষ্ঠিত থাকলে মুসলিম শাসক উক্ত মুরতাদকে হত্যা করবে। হত্যা কার্যকর করবে রাষ্ট্রপক্ষ। জনগণ নয়। وأيما رجل مسلم سب رسول الله صلى الله عليه وسلم أو كذبه أو عابه أو تنقصه فقد كفر بالله تعالى وبانت منه امرأته ، فإن تاب وإلا قتل ، (رد المحتار- كتاب الجهاد، باب المرتد، مطلب توبة اليأس مقبولة دون إيمان اليأس-4/234) অনুবাদ-যে ব্যক্তি। রাসূল সাঃ কে গালি দিবে, অথবা মিথ্যুক বলবে, বা দোষারোপ করবে, কিংবা খাট করবে তাহলে সে কুফরী করল।

এ ব্যক্তির স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হয়ে যাবে। সে যদি তওবা করে তাহলেতো ভাল। নতুবা তাকে হত্যা করা হবে। {ফাতওয়ায়ে শামী-৪/২৩৪} এরকম ধর্মদ্রোহীর জানাযার নামায পড়া কিছুতেই জায়েজ নয়। তাকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী গোসল দেয়া কাফন পড়ানোও জায়েজ নয়।

বরং তাকে একটি গর্ত খুড়ে তাতে মাটিচাপা দিয়ে রাখবে। তাকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফনও করা যাবে না। فى الدر المختار- أما المرتد فيلقى في حفرة كالكلب وفى الشامية- ( قوله فيلقى في حفرة ) أي ولا يغسل ، ولا يكفن ؛ ولا يدفع إلى من انتقل إلى دينهم رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة الجنازة-3/135) মুরতাদের সাথে বিবাহ করা জায়েজ নয়। ব্যক্তি মুসলমান অবস্থায় বিবাহ করার পর মুরতাদ হয়ে গেলে তার বিবাহ বাতিল হয়ে যায়। মুরতাদের জন্য মুসলিম , কাফের , মুরতাদ কোন মহিলাকেই বিবাহ করা জায়েজ নয়।

(ফাতওয়ায়ে শামী-৪/৩৭৬, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/২৮২, আল বাহরুর রায়েক-৩/২০৯) قَوْله تَعَالَى { وَمَنْ يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ سورة المائدة-5) আল্লাহ তায়ালা বলেন-ঈমান আনার পর যে ব্যক্তি কুফরী করে তার সকল আমল বাতিল হয়ে যায়। আর সে আখেরাতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা মায়িদা-৫) ولا يجوز للمرتد أن يتزوج مرتدة ولا مسلمة ولا كافرة أصلية وكذلك لا يجوز نكاح المرتدة مع أحد كذا في المبسوط(الفتاوى الهندية-1/282) মৌলিকভাবে মুরতাদের জন্য মুরতাদকে, কোন মুসলিমকে, এবং কোন কাফেরকেও বিবাহ করা জায়েজ নয়। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী০১/২৭২} বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: তাহলে দেশে শরিয়া আইন চালু হোক। কোরআন-এ যা আছে তা'ই হবে, এর বাইরে কোন দাবী দাওয়া থাকবে না।

আমাদের নবী-রসুল'দের কেউ গালিগালাজ করবে আর আমরা আঙ্গুল চুষবো। কিন্তু খবরদার হাসিনা-খালেদা'কে গালিগালাজ করবেন না, নইলে এরেস্ট করা হবে। .............. কমেন্ট গুলো কপি করা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.