আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাঙ্গণেমোর নাট্য দলের সপ্তম প্রযোজনা "আওরঙ্গঁজেব "

https://www.facebook.com/touhidalam69 প্রাঙ্গণেমোর নাট্য দলের সপ্তম প্রযোজনা "আওরঙ্গঁজেব " । নির্দেশনা : অনন্ত হিরা মঞ্চ পরিকল্পনা : ফয়েজ জহির পোশাক পরিকল্পনা : নূনা আফরোজ সংগীত পরিকল্পনা : রামিজ রাজু ব্যবস্থাপনা : সীমান্ত আমিন ও তৌহিদ আলম মহরা কক্ষ থেকে : অনন্ত হিরা ও ইউসুফ পলাশ কাহিনী সংক্ষেপ : যুগে যুগে দেশে দেশে মসনদ বা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার, ধর্মের নামে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা বা যে কোন অমানবিক অন্যায়ের বিুরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদের নাম ‘আওরঙ্গঁজেব’। ভারতবর্ষে মুঘল রিয়াস্‌তে ছিল তৈমুরলঙ্গ আর চেঙ্গিস খাঁর রক্ত, সেই তৈমুর বংশের প্রথা ছিলো মসনদে প্রত্যেক শাহাজাদা-র সমান অধিকার, ছোট বড় বলে কোনো ভেদ নেই, যার তলোয়ার যত দীর্ঘ, যত ধাঁরালো, যত সফল ততই মসনদে তার অধিকার। এটাই চলেছে মুঘল রিয়াসতে যুগের পর যুগ। সম্রাট হুমায়ূন তার ভাই কামরান আশকরী হিন্দালের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখ্‌ত দখল করেছিলো।

শাহেনশাহ আকবর পর্যন্ত মির্জা মুহম্মদ হাকিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিল। বাদশা জাহাঙ্গীর নিজের আব্বাজানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলো। বাদশা শাহজাহান আপন ভাই খসরু শাহ্‌রিয়ারের রক্তপাত ঘটিয়ে মসনদ দখল করেছিলো। কিন্তু সেই শাহজাহানই শেষ বয়সে নিজ পুত্র আওরঙ্গজেব এর হাতে বন্দি জীবন কাটান। মহরা কক্ষ থেকে : রামিজ রাজু ও নূনা আফরোজ শাহজাহান পুত্র আওরঙ্গজেব একজন ধর্মপ্রাণ সুন্নি মুসলমান হয়েও পিতাকে বন্দী করে মসনদ দখল করেন এবং মসনদ এর অন্য দাবীদার আপন ভাই দারা, মুরাদ আর সুজাকে একে একে হত্যা করেন।

কিন্তু ক্ষমতা আর মসনদের লড়াই তো যুগে যুগে একই বৃত্তে ঘুরতে থাকে। সম্রাট শাজাহানের মতো শেষ বয়সে সম্রাট আওরঙ্গজেব এর পুত্ররাও বিদ্রোহী হয় এবং নিজ পুত্রদের হাতে বন্দি হয়ে আওরঙ্গজেব নিঃসঙ্গ ভাবে মেয়ে জিনাতসহ শেষ জীবন কাটান আহম্মদ নগরে মহরা কক্ষ থেকে : অনন্ত হিরা , রিগ্যান ও দৃস্টি ঠিক যেমন তাঁর পিতা তাঁর হাতে বন্দি হয়ে কন্যা জাহানারাসহ শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন দিল্লীর রাজপ্রাসাদে। আওরঙ্গজেব এর পুত্ররা বিদ্রোহী হলে সুলতান বন্দী অবস্থায় মারা যায়, শাহাজাদা আকবর পারস্যে পালিয়ে গিয়ে মারা যায়, মুহাম্মদ মুয়াজ বন্দি হয়। অবশেষে তৃতীয় আর কনিষ্ট পুত্র আজম আর কামবক্স একজন অন্যজনকে হত্যা করে রাজ মসনদ দখল করবার চক্রান্তে যখন লিপ্ত যখন মৃত্যু-র পূর্বে নব্বই বছর বয়সে বৃদ্ধ আওরঙ্গজেব এর উপলদ্ধি হয়- “পবিত্র কুরআন বুকে নিয়েও কেউ যদি হৃদয়হীন হয়- তাহলে তার ক্ষমা নেই, কারণ আল্লাহ্‌ এবং পবিত্র কোরআন কাউকে জল্লাদ হতে বলে না, আল্লা্‌হ্‌ এবং পবিত্র কুরআন ভাইয়ের রক্তে জমিন রাঙ্গিয়ে মসনদ দখল করতে বলে না”। উদ্বোধনী প্রদর্শনী : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ফেসবুক ফ্যানপেজ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।