ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না যে কোন ব্যাপারে সেটা দেশ বিষয়ক হোক কিংবা বিদেশ বিষয়ক হোক, একেকজন এক এক দিকে যাই অতঃপর উহা নিয়ে নিজের খেয়ে নিজের পরে আগ বাড়াইয়া ঝগড়া বিবাদ করি, মারামারি খুনাখুনি করেও খান্ত হই না !!! জিনিসটাকে জিইয়ে রেখে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করি !
আমি নিজে খুবই অল্প জানি তারপরও নিজস্ব বিবেচনায় কিছু ভাগে বিভক্ত করেছি, জাস্ট আমার নিজস্ব বিবেচনা: কারও মতের বিরুদ্ধে গেলে প্লিজ সেজন্য গালি দিবেন না-
১. তত্বাবধায়ক সরকার:
ক。পক্ষে: আমরা বাংলাদেশীদের ক্ষমতার লোভ খুব বেশি, কেউ মসনদ ছাড়তে চায় না তাই কোন দলের অধীনে ইলেকশন সুষ্ঠু হবে না, হওয়া সম্ভব নয়। ১৯৯৬ সনে খালেদা জিয়ার সরকারের অধীনে প্রহসনের ইলেকশনে তারা নিজেরাই আবার ক্ষমতায় এসেছিল। ২০১৪ তে যদি শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে ইলেকশন হয় তাতেও দেখা যাবে তারাই আবার ক্ষমতায় আসবে।
খ. বিপক্ষে: মিলিটারী ক্ষমতায় এসে মানুষের কাধের উপর বন্দুক রেখে দেশ চালায় [দুনম্বরী লোকগুলোরে বাঁশডলা দেয় ]
২. ছাত্র রাজনীতি:
ক。পক্ষে: ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস উজ্জল , এটা না থাকলে নেতৃত্বে শূন্যতা তৈরী হবে 【পুরোনো ভাঙ্গা ক্যাসেট বাজানো】
খ. বিপক্ষে: বর্তমানে যে নোংরা ছাত্র রাজনীতি চলছে এটা বন্ধ করলে ছাত্রসমাজ দেশ সবার জন্যই উপকার হবে।
৩. মুক্তিযুদ্ধ'৭১ ভিত্তিতে:
ক。স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি:খালি চেতনাই আছে কিন্তু কোন বাস্তবায়ন নাই।
খ. চেতনায় রাজাকার
৪. বাঙ্গালী /অবাঙ্গালী ভিত্তিতে:
ক. অবাঙ্গালী: পার্বত্য চট্টগ্রাম, মনিপুরী, গারো, সাওতাঁল
অবাঙ্গালী: - আদিবাসী
- উপজাতি: মানুষের মধ্যে আবার উপ-মানুষ কি? উপজাতি বলার কোন যুক্তি আছে কি?
৫. চলমান অচল গনতন্ত্রের ভিত্তিতে:
ক。পক্ষে
খ. বিপক্ষে: দুইজনে দেশটারে ভাগ কইরা নিছে তার চাইতে ফখরুদ্দিন মঈনুদ্দীন কিংবা এরশাদের সামরিক সরকারই ভালো ছিল
৬. ট্রানজিট & আন্তঃ সমুদ্র বন্দর:
ক。পক্ষে: আন্তঃ সমুদ্র বন্দর হলে সিঙ্গাপুরের মত লাভবান হব
খ. বিপক্ষে: ভারত শুধু নিতেই চায় দিতে চায় না
পৃথিবীর সব জায়গাতেই অনেক ভাগ-উপভাগ আছে কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে বাংলাদেশীদের মত তারা এক এক জন এক এক দিকে যায় না!!!
১. ক্রিকেট খেলা: কেউ ভারত কেউ পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের খেলা হলেও তারা দেশের পক্ষে না থেকে ভিন্ন দেশের পক্ষে থাকে এবং উহা নিয়ে কাঁদা ছিটানো, রক্তারক্তি করা- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের খেলায় খালেদা জিয়া মাঠে গেছে তাই বাংলাদেশ হারছে !!! কি হাস্যকর যুক্তি
২. টিপাইমুখ বাঁধ:
ক. বিপক্ষে
খ. নীরব
৩. ধর্মের ভিত্তিতে :
ক. আস্তিক,অসাম্প্রদায়িক,উদার: আওয়ামীলীগ
খ. আস্তিক, উদার: বিএনপি
গ. আস্তিক: ইসলামী দলগুলো
ঘ. নাস্তিক: বাম দলগুলো
ঙ. উগ্র ধার্মিক:হিযবুত তাহরীর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্ররাই মূলত এটাতে আছে, অশিক্ষিত কেউ নাই
চ. সশস্ত্র উগ্র ধার্মিক: হুজি- বাংলা ভাই
ছ. আস্তিক & নাস্তিক: একশ্রেণীর সুশীল সমাজ সময় বুঝে আস্তিক সময় বুঝে নাস্তিক
৪. আস্তিকতার ভিত্তিতে:
ক. সুন্নী
খ. আহলে হাদীস
গ. শিয়া: বিহারী সম্প্রদায়
ঘ. কাদিয়ানী
৫. দেশীয় জ্বালানি:
ক。পক্ষে
খ. বিপক্ষে: কয়লা উন্মোক্ত পদ্ধতিতে তোলা হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে অথচ চীন পশ্চিমাদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উন্মোক্ত পদ্ধতিতে তোলে জ্বালানি চাহিদার যোগান দিয়ে দেশকে আজ উন্নতির চূড়ায় নিয়ে গেছে।
কিন্তু আমাদের কিছু সুশীল পরিবেশবিদ নিজেরা একজনেরও কাজের ব্যবস্হা করে দেয় না কিন্তু উন্মোক্ত পদ্ধতিতে তোলার বিরোধিতা করে, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বিরোধিতা করে, গ্যাস কোম্পানির পাহাড়ী জঙ্গল এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের বিরোধিতা করে ।
৬。ফুটবল খেলা:
- ব্রাজিল আজেন্টিনা নিয়ে মারামারি, ধরাধরি।
৭. ড.ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক:
ক。পক্ষে
খ. বিপক্ষে
অথচ সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে এখন চিনে এই লোকটার নামে
আমরা কি পারি না যে কোন ইস্যুতে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত না হয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর অন্ধ ভক্ত না হয়ে ভাল কে ভাল বলতে, খারাপকে খারাপ বলতে। আর যে কোন ইস্যুতে রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর করা থেকে বিরত থাকতে।
আর যদি আমরা এখনই এগুলো বন্ধ করতে না পারি তাহলে দেখা যাবে এই বাংলাদেশ একদিন মক্কার আইয়ামে জাহেলিয়াতের মত হয়ে যাবে, বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
শুধু বাংলাদেশের ভিতরেই নয় এখন বাইরের অন্যান্য দেশেও নিজ দেশের ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে । আমার হাউজমেট সে ব্রিটেনের নাগরিক, সে বলে তোমরা বাংলাদেশীরা শুধু দেশের ভেতরেই কলহ কর তা নয় বরং নিজ দেশে কিছু হলে সেটা নিয়ে তোমরা লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ কর, মারামারি কর; তোমাদের অভ্যন্তরীন কারনে আমরা কেন সমস্যা ফেস করব ?
এরকম যদি দেশের বাইরেও গন্ডগোল করি তাহলে একদিন বিশ্ববাসীও আমাদের বাংলাদেশীদের অবাঞ্ছিত ঘোষনা করবে অথচ আমাদের জনসংখ্যা বেশি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
আমরা কি পারি না ,নিজের অবস্হানে কিছুটা ছাড় দিয়ে অন্যদের সাথে ঐকমত্যে পৌছাতে...... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।