আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্যার এত ভয় পান কেন?

পিনপতন নিস্তধ্বতা অবশেষে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ। সহজ সমাধান। আগুন নেভাতে পানি ছিটানো। কিন্তু ছাইচাপা আগুন যে কোন সময় জ্বলে উঠতে পারে। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

আগস্ট মাস এলেই কেন জানি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দেয়। এরকম এক আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে এসেছিলো নির্যাতন। ক্ষমতায় তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আনোয়ার হোসেন স্যার সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা তখন শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়িয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। বরণ করেছিলেন জেল জুলুম।

এবার রঙিন চশমা খুলুন। সেসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেয়াটা ছিলো রাজনৈতিক চাল আর এই গত রাতে পুলিশের গুলি চালানোর সাফাই গাওয়াটাও ছিলো রাজনৈতিক চাল। পার্থক্য হচ্ছে ক্ষমতায় থাকলে পুলিশ/সেনবাহিনী/ক্ষমতাসীনদের পক্ষে আর ক্ষমতায় না থাকলে শিক্ষার্থীদের জন্য বুকটা ফাইট্যা যায়। সমস্যার সমাধান জরুরি। পুলিশ কেন গুলি ছুড়বে আমার ক্যাম্পাসে আমার দিকে রাইফেল তাক করে? সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছেড়ে ছাত্ররা কোথায় গিয়ে উঠবে? ইফতারি কোথায় করবে? আর তার জন্য আমাকেই কেন হল ছাড়তে হবে? আমাদের ভিসি, প্রোভিসি, প্রক্টর নামের যে শিক্ষকরা আছেন তারা কথায় কথায় এত ভয় পান কেন? আমাদের নম্বর, সার্টিফিকেট,ভবিষ্যত সবই তো তাদের হাতে।

বহিষ্কারের মত পৈতৃক সম্পত্তির মালিকানা হাতে থাকতেও এত ভয় কিসের? স্যার আমরা তো বন্দুক হাতে যুদ্ধ করতে রাস্তায় নামি নাই। আমরা জানতে চাই আমাদের হলের সামনে পুলিশ কেন গুলি চালাবে? আমাদের হল থেকে বিনা ওয়ারেন্টে কেন আমাদের গ্রেপ্তার করা হবে? কেন প্রশাসন পুলিশের পক্ষে সাফাই গাইবে? আর আপনারাই বা কেমন শিক্ষক হলেন ছাত্রদের ভয়ে কাঁপেন? নিজেদের সম্মানটুকু নিজেরাই হারালেন। উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বন্ধ ঘোষণা জাবি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সেখানে হাসি মুখে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও শিক্ষার্থীদের ওপর কেন গুলি করা হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন তির্যকভাবে জবাব দেন। আসামি ছিনিয়ে নিয়ে অন্যায় করেছো, পুলিশতো গুলি করবেই। এ কথার পরিপেক্ষিতে শুরু হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের তাণ্ডবলীলা।

ছবি: বাংলানিউজ২৪ডটকম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.