আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংরেজি ১ম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিছু টিপস

আত্মোন্নয়ন মূলক প্রবন্ধ, কবিতা, অনুবাদ যারা ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স পড়ে তাদের কেউ কেউ আগে থেকে লক্ষ্য ঠিক করে আসে, বাকিরা কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে ভর্তি হতে না পেরে অনেকটা বাধ্য হয়ে আসে। তাছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজির সিলেবাসে সাহিত্য বিষয়ক অংশ এত কম থাকে যে, ইংরেজি সাহিত্য পড়ার জন্য যে ভিত্তি দরকার তা গড়ে উঠে না। এমতাবস্থায় দেখতে দেখতে বুঝতে বুঝতে একটা বছর পার হয়ে যায়, পরীক্ষায় অর্ধেকের বেশী ছাত্রছাত্রী কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করতে পারে না। পরবর্তীতে তাদেরকে হতাশায় কাটাতে হয়। তাই প্রথম থেকেই তাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে এবং কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হবে।

(ক) প্রথমে সিলেবাসের সব বই জোগাড় করতে হবে- দেশের ভিতর থেকে হোক আর বাইরে থেকে হোক। যেহেতু প্রতি বছর সিলেবাস পরিবর্তিত হয় তাই অনেক সময় সব গল্প, কবিতা কিংবা নাটক নির্দিষ্ট লাইব্রেরীতে পাওয়া যায় না। সহায়ক বইগুলোও কিনে ফেলতে হবে। রামজিলাল, রুঘুকুল তিলক এবং এস সেনের সহায়ক বইগুলো ভাল। অনেকে কিন্তু বড় বড় কথা বলবে নোট বই সম্পর্কে।

ওগুলো পাত্তা দিলে হবে না। ইন্টারনেট থেকেও অনেক কিছু সংগ্রহ করা যাবে। (খ) তারপর চার পাঁচ বছরের প্রশ্ন জোগাড় করতে হবে। (গ) কবিতা গুলো এত বেশিবার পড়তে হবে যেন মুখস্থের মত হয়ে যায়। বাস্তবে দেখা গেছে যে একটি কবিতা মুখস্থ করার পর ভাবটি আত্মস্থ হয়েছে।

প্রয়োজন হলে প্যারাফেরেজ পড়ে কবিতাটি বুঝতে হবে। নাটক উপন্যাসের ক্ষেত্রে গল্পটা আগে বুঝতে হবে, তারপর চরিত্রগুলো, পরবর্তীতে বিশ্লেষণ মূলক ব্যাপারগুলোতে যেতে হবে। অর্থাৎ মুল টেকস্ট পড়ার আগে নিজেকে তৈরি করতে হবে। মুল টেকস্ট অবশ্যই কয়েকবার পড়তে হবে। (ঘ) বই জোগাড় হলো, প্রশ্ন জোগাড় হলো, কনটেন্ট জানা হলো, এখন গ্রুপ ডিসকাশন।

ভয়ের স্তর এখন পার হয়ে গেছে। (ঙ) প্রতিদিন কিছু না কিছু ফ্রিহ্যান্ড লিখতে হবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। (চ) গুরত্বপুর্ণ প্রশ্নের নোট করতে হবে। (ছ) গ্রামারগুলো আবার ঝালায় করতে হবে। ট্রান্সফ্রমেশন, সেনটেন্স সিন্থেসিস, ভ্যারাইটিস অফ সেনটেনসের উপর জোর দিতে হবে।

(জ) পরীক্ষার আগে নিজে নিজে কয়েকটি মডেল পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীরা যারা ভাল ফলাফল করে তারা ভবিষ্যতে ভাল চাকুরীর ব্যাপারে নিশ্চিত থাকে। যারা সামান্য ভুলের কারণে, নিয়মমাফিক পড়াশুনা না করার কারণে ভাল ফলাফল করতে পারে না, তাদের দুঃখের সীমা থাকে না এবং তাদেরকে সহানুভূতি দেখানোরও কেউ থাকে না। লেখাটি ইংরেজি ১ম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সাথে শেয়ার করুন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.