আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কন্য সন্তান লালন পালন করা সম্মর্কে ।

প্রশ্ন ; কন্যা সন্তান লালন পালনে নাকি ইসলামে অনকে ফযীলত রয়েছ । এছাড়া যার প্রথম সন্তান কন্যা হবে, তার জন্য নাকী বিশেষ ফযীলত আছ? এ সম্পর্কে বিস্তারতি জানতে চাই। উত্তর ; হ্যাঁ, কন্য সন্তান লালন পালনে অনেক ফযীলত রয়েছে। এ ছাড়া কারো প্রথম সন্তান কন্যা হলে তার জন্য হাদীস শরীফে বিশেষ ফযীলতের কথা রয়েছে। মেয়ে সন্তানের ফযীলত বিষয়ে নিম্নে কয়কেটি হাদীস পেশ করা হল।

(১) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করনে, যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করল,অতঃপর সে ঐ কন্যাকে কস্ঠ্ও দেয়নি,তার উপর অসন্তুস্ঠ্ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রধান্য দেয়নি,তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন। (মুসনাদে আহমদ ১;২২৩) (২) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,যে ব্যাক্তি দ"টি মেয়েকে বয়ঃপ্রাপ্ত হ্ওয়া পর্যন্ত লালন পালন করল সে কিয়ামতের দিন এরূপ অবস্থায় উঠবে যে আমি আর সে এরকম মিলিত অবস্থায় থাকব,এই বলে তিনি স্বীয় আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে দেখালেন। (মুসলিম শরীফ) (৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,"কন্যা সন্তান হল উত্তম সন্তান। কেননা,তারা হচ্চে অধিক গুনের অধিকারিনী বিনম্র ও মিস্ঠভাষী । এছাড়া তারা পিতা-মাতার সেবা -শুশ্রষার জন্য সদাসর্বদা প্রস্তুত থাকে এবং তারা মায়া মমতাকারীনী,স্নেহময়ী,বিনয়ী ও বরকতময়ী।

"(ফিরদাউস ৪;২৫৫) আর প্রথম সন্তান মেয়ে হ্ওয়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল, হযরত আব্দুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,ঐ মহিলা বরকতময়ী ও সৌবাগ্যশালী,যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা,(সন্তানদানের নিয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে )আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন,তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। "(কানযুল উম্মাহ ১৬:৬১১) সংগৃহিত.. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।