আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিলীমার পালিয়ে থাকা !!

আমরা সবাই অভিনয় শিল্পী এই রঙ্গমঞ্চের...... নিলীমাকে আমি যতই দখেছি ততই অবাক হই আর ভাবি সময়ের প্রয়োজনে মানুষ কত কিছুই না করে। নিজের সত্তাটিকে অনেকে বিসর্জন দেয়। কিন্তু এই বিসজ্যন দেওয়ার পেছনেও থাকে অন্য কোন উদ্দেশ্য। তোমার তো কোন উদ্দেশ্য থাকার কথা না। এখন তোমাকে নিয়ে এক নিকট ভবিষ্যতের কোন কথা বলতে ও আমার ভয় হয়।

গত তিন বছরে আমি তোমাকে যা চিনেছি এখন তার পুরো বিপরীত মনে হচ্ছে। আজ নিলীমার ড্রেস নিয়ে লিখছি। নিলামা সাধারনত সেলোয়ার কামিজ পড়তে পছন্দ করে। তার ওর্না পরা ও ছিল রুচিশীল এর পরিচায়ক। ওর্না সে বর্তমান অতিব আধুনিক মেয়েদের মত গলার উপরে বা কাঁধে জুলিয়ে রেখে পরত না।

জমা সবসময় হাফ স্লীভ পড়ত। কখনোই ফুল বা সেমী স্লীভ হত না। তিন বছরে আমি তাকে কখনো ফুল বা সেমী স্লীভ জামা পড়তে দেখিনি। ওটা তার পছন্দ না। আর যার সাথে তার বিয়ে হচ্ছে সে যখন বলেছিল হাতে লোম থাকার কারনে নিমীমাকে বন মানুষের মত দেখা যায়, নিলীমার মত মেয়ে এর পর ও কিভাবে তাকে বিয়ে করার কথা ভাবতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজব না।

আর এর পর থেকেই নিলীমা ফুল স্লীভ জামা পরা শুরু করছে !! ফূল স্লীভ জামা পরাটাকে পছন্দ করি, কিন্তু সে যে কারনে পড়ছে তা আমার পছন্দ না। এই তো পালিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু না । উল্লেখ্য আমি নিলীমার হাতে কখনো লোম দেখিনি। আসলেই সময়টাই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। সময়ের প্রয়োজনে মানুষ সব কিছু করে।

এই যেমন আমি সময়ের প্রয়োজনে কিছুদিন কবিতাকে সঙ্গী করেছিলাম তার পর এখন করছি তুলি কে। কবিতা কেন জানি মানানসই হচ্ছে না। তাই তুলিকেই বেছে নিয়েছি। যদি তুলি না থাকত হাতের পাশে তাহলে মানানসই না হলেও কবিতাই আমার একাকিত্তের সাথী হত। মানুষের মন সত্যিই অনেক বিচিত্র।

সেই যেই হোক নিলীমা বা আমি, কেউই বিচিত্র মনের বাইরে নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।