আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘সারা বছর নামায নেই, রোযা নেই, ইবাদত-বন্দেগী নেই; শুধু পবিত্র শবে বরাত-এ নামায-কালাম পড়ে ও রোযা রেখে কী হবে’????

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন তোমরা বরাত উনার রাত্রি পাবে, তখন তোমরা সারা রাত্রি জেগে-জেগে নামায-কালাম পড়বে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই মুবারক রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে এসে অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করে ফজর তথা ছুবহে ছাদিক হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা দিতে থাকেন- তোমাদের মধ্যে কেউ ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। কেউ রিযিক প্রার্থী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করবো। কেউ বিপদগ্রস্ত আছো কি? তার বিপদ দূর করে দিবো। ” নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া কবুল হয়।

পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার প্রথম রাত্র, পবিত্র শা’বান উনার মধ্যরাত্র বা ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্র, পবিত্র ক্বদর উনার রাত্র এবং পবিত্র দু’ঈদ উনাদের দু’রাত্র। ” সুবহানাল্লাহ! “যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান মাসে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন। ” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র শা’বান মাস উনার পনের তারিখ যে রোযা রাখবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না। ” সুবহানাল্লাহ! আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র শা’বান মাস উনার রোযার ইফতারীর সময় যে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার পূর্বের গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে এবং রিযিকে বরকত দেয়া হবে। ” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা পবিত্র বরাত উনার রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা ও দিনে রোযা রাখা সম্পর্কে অসংখ্য সুস্পষ্ট নির্দেশ মুবারক থাকার পরও কিছু গুমরাহ লোক সাধারণ মানুষদেরকে উক্ত রাতে ইবাদত করতে নিরুৎসাহিত করে বলে থাকে যে- ‘সারা বছর নামায নেই, রোযা নেই, ইবাদত-বন্দেগী নেই; শুধু পবিত্র শবে বরাতে নামায-কালাম পড়ে ও রোযা রেখে কী হবে’ নাউযুবিল্লাহ! মূলত যে যতটুকু নেক আমল করবে সে ততটুকুরই ফায়দা পাবে।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে এক বিন্দু বা জাররা পরিমাণ নেকী করবে সে তার বদলা পাবে। ” তাহলে এটাতে বাধা দেয়ার অর্থই হচ্ছে তাকে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তথা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে ফিরিয়ে দেয়া। যদি এ পবিত্র বরাত উনার রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে কবূল করে নেন তাহলেই তো সে কামিয়াব হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কোনো নেক কাজকেই ছোট মনে করো না বা কোনো নেকীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করো না। ” কাজেই ‘সারা বছর নামায পড়ে না, রোযা রাখে না, এখন পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে একদিন নামায-কালাম পড়ে কি হবে’- এরূপ কথা বলে ইবাদত-বন্দেগী থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা, নিরুৎসাহিত করা নাজায়েয।

কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি কবূল করে নেন তাহলে ছোটটাই বড় হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই পবিত্র বরাত উনার রাতে ইবাদতকারীকে বাধা দিলে তারা তো নেক কাজে সাহায্যকারী হলোই না, বরং তারা বদ কাজে সাহায্যকারী হলো। নাউযুবিল্লাহ! আর মসজিদ বন্ধ করে রাখার কারণে, মসজিদ বিরান করার দায়ে দায়ী হয়ে তারা যালিমের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই এ সমস্ত জাহিল, মূর্খ, ওহাবী, সালাফী, জামাতী, দেওবন্দী, মওদুদী, তাবলীগী বাতিল ফিরক্বার লোকদের থেকে এবং তাদের গুমরাহীমূলক বক্তব্য থেকে সকলকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। এদের কথায় পবিত্র শবে বরাত থেকে মাহরূম থাকা জ্ঞানী লোকের আলামত নয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.