আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোজার স্মৃতি ১

রোজা রাখি, কর্ম জীবনে এসে রোজা রাখার মজাটা আর পাই না কিভাবে দিন টা কেটে যায় বুঝতে পারি না রোজা রাখার যে উদ্দেশ্য তা মনে হয় অর্জিত হয় না, সেহরী খাই, ঘূমাই, অফিসে যাই অফিসে ইফতার, রাতে বাসায় ফিরি কাজ করি সেহরী খাই এইতো কেটে যায় একটি দিন, মনে পড়ে যায় ছোট সময়ের কথা কতো প্রস্তুতি থাকতো রমজান মাস আসলে, জামা কাপড় ধুয়ে রাখা, নিজেকে সংযত রাখার কতো আয়োজন আর এখন কেমন সাদা মাটা কেটে যায় রমজান, আসলো গেলো কেমন জনি প্রানবন্তহীন। কবে থেকে রোজা রাখি মনে করতে পারছিনা তবে আমার উপর রোজা ফরজ হওয়ার আগ থেকেই অল্প অল্প রোজা রাখতে থাকি,পরিবার থেকে তেমন কোন চাপ ছিলো না,আমার টার্গেট থাকতো সবগুলো রোজা রাখবো কিন্তু বাবা মা জাগাতেন না, সকালে উঠে সে কি কান্নাকাটি, আমাদের বন্ধুরা রোজা রাখার প্রতিযোগীতা করতাম কে তো টা রেখেছে এই নিয়ে আমাদের কি প্রতিযোগীতা, আমার মনে পরে আস্তে আস্তে আমার রোজার দিন গুলো বাড়তে থাকে, আমার যতদূর মনে পড়ে ১৫,২০,১৬,৩০ এভাবে আমার নিয়মিত রোজা রাখা শুরু করি। রমজান মাস আসলেই বাবা নিজেই আমাদের কোরান শিক্ষা দিতেন, পরবর্তীতে বাসায় পাশ্ববর্তী মসজিদের কখনো ইমাম বা মুয়াজ্জিন আমাদের কোরান শিক্ষা দিতেন, আমার টার্গেট থাকতো একবার অর্থসহ কোরান তেলৗয়াত শেষ করবো কিন্তু আজও তা পারিনি, রোজার প্রথম দিকে নিয়মিত পড়া হয় এর পর অনিয়মিত এখনতো আর পড়া ই হয় না ...........হায়রে হতভাগা! আমাদের বাসায় দেখতাম বাবা মা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা কোরান খতম করতেন, রোজ জুহুর নামাজ পড়ে কোরান পড়া হতো আছরের নামাজের সময় পর্যন্ত, এইচএসসির পর ২০০৩ সালে ঢাকায় আসার আগ পর্যন্ত এভাবে আমি দেখে এসেছি। আর এখন ভাবলে অবাক হয়ে যাই ঢাকায় আসার পর এমন রমজান ও গেছে কোরান পড়া হয়নি হায়রে জীবন, কত পরিবর্তন, তারাবীহ নামাজ ছিলো আমাদের কাছে মহা আনন্দের আর প্রতিযোগীতার বিষয়, কারন আমরা নামাজের মধ্যে দিয়ে কোরান খতম করার প্রতিযোগীতা করতাম, খতম তারাবীহ হতো আমাদের এলাকায়, বন্ধুরা সবাই জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে যেতাম, বড়দের পাশিপাশি দাড়াতাম, এক ধরনের ভাব চলে আসেেতা, ২০০৪ সাল পর্যন্ত আমি প্রত্যেক রমজান খতম তারাবীহ পড়েছি, একদিন ও মিস করতাম না, ঢাকায় আসার পর প্রথম দিকে পড়তাম বিশ্ব বিদ্যালয় এসে রাকায়াতের সংখ্যা কমতে থাকে ২০,১২,৮ আর এখনকার কথা নাই বললাম............... তারাবীহ নামাজ পড়তে গিয়ে ছোট সময় কতো মজা করেছি, প্রথম রাকাতে আমরা রুকু না আসা পর্যন্ত বসে থাকতাম যেই দেখতাম হুজুরে বড় টান মেরে কোরান তেলওয়াত করছেন তখনই তাড়াতাড়ি নামাজে দাড়াতাম, অনকে সময় আইডিয়া সঠিক হতো, অনেক সময় ধরা খেতাম, আমরা বন্ধুরা গল্প করতাম এই তারাবী নামাজ নিয়ে কে কতো রাকাত পড়েছি, একদিন মিস করলেই সে আর আমাদের দলে নেই তখন সে কি কঠোর নিয়ম মেনে বিশ রাকাত নামাজ পড়তাম .................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।