আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃতিকের দেখা পেতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় রাকেশকে

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি পণ্যের দূতিয়ালিসহ আরও বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক রোশনকে। এই ব্যস্ততার মাত্রা এতটাই বেশি যে, এক বাড়িতে থাকার পরও ছেলে হৃতিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় বাবা রাকেশ রোশনকে।

একসময়ের জনপ্রিয় বলিউডের অভিনেতা রাকেশ রোশন এখন পুরোদস্তুর ক্যামেরার পেছনের লোক। এ মুহূর্তে ব্যস্ত আছেন নিজের প্রযোজিত ও পরিচালিত ‘কৃশ ৩’ ছবির কাজ নিয়ে। আসছে নভেম্বরে মুক্তি পাবে ‘কৃশ ৩’।

ছবিটির নাম-ভূমিকায় রয়েছেন রাকেশ-পুত্র হূতিক; আরও আছেন প্রিয়াংকা চোপড়া, বিবেক ওবেরয়, কঙ্গনা রানাউত, অর্চনা পুরান সিং প্রমুখ।

সমসাময়িক দুই তারকা জিতেন্দ্র ও ঋষি কাপুরের সঙ্গে রাকেশের বন্ধুত্ব অনেক গভীর ছিল। কিন্তু জিতেন্দ্রর ছেলে তুষার কিংবা ঋষি কাপুরের ছেলে রণবীরের সঙ্গে হূতিকের সখ্য ততটা গভীর নয়। এর পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাকেশ বলেন, ‘আসলে এর মূল কারণ সময়ের অভাব। আমাদের সময়ে কাজ নিয়ে এত বেশি সিরিয়াস ছিলাম না আমরা।

বর্তমান প্রজন্মের তারকারা তো নাওয়া-খাওয়া ভুলে সব সময় কাজ নিয়েই পড়ে থাকে। ’

‘এই যুগের তারকারা কাজের প্রতি অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ। তারা একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় না করলেও, বিভিন্ন পণ্যের দূতিয়ালির পেছনে অনেক সময় দেয়। তারা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও ঠিকই সময় বের করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে গিয়ে ঘাম ঝরায় তারা।

এত সবের পর বন্ধুদের পেছনে সময় ব্যয় করার ফুরসত তাদের মেলে না। ’ ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’য় দেওয়া সাক্ষাত্কারে এসব কথা বলেন রাকেশ রোশন।

রাকেশ আরও বলেন, ‘বন্ধুবান্ধব তো দূরের কথা, পরিবারের সদস্যদেরও ঠিকমতো সময় দিতে পারে না এ প্রজন্মের তারকারা। আমি আর হূতিকই এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। আমরা এক বাড়িতেই থাকি।

কিন্তু হূতিকের সঙ্গে দেখা করতে হলে আমাকে রীতিমতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। আমি হয়তো তাকে বলি, পরশু সকাল আটটায় তোমার সঙ্গে আমি দেখা করব। ওই সময়টায় হাতে কোনো কাজ রেখো না। বাধ্য হয়েই আমাকে এমনটা করতে হয়। নইলে দেখা যায়, অন্য কাউকে সময় দিয়ে দিয়েছে হৃতিক।

’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।