আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃতিকের আঘাতের জন্য ‘ব্যাং ব্যাং’ শুটিংই দায়ী

থাইল্যান্ডের ফুকেটে ‘ব্যাং ব্যাং’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন হৃতিক রোশন। ওই আঘাতের কারণেই তাঁর মগজ ও খুলির মাঝখানে রক্ত জমাট বেঁধেছিল, যা সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে। হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশনের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ।
এ প্রসঙ্গে রাকেশ জানান, ‘ব্যাংককের ফুকেটে “ব্যাং ব্যাং” ছবির একটি ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিল হৃতিক। দৃশ্যটির জন্য একটি জেট ইঞ্জিনের সহায়তায় ৩০ ফুট উচ্চতায় উঠে সেখান থেকে পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল তাকে।

ঝুঁকিপূর্ণ হলেও স্টান্টটি সে নিজেই করার সিদ্ধান্ত নেয়। দৃশ্যটির মহড়া দেওয়ার সময় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায় হৃতিক। ’
রাকেশ আরও বলেন, ‘হৃতিক শুরুতে বিষয়টি একদমই পাত্তা দেয়নি। মাথায় যন্ত্রণা শুরু হলে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানো হয় তাকে। সে ভেবেছিল, তিন-চার দিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

কারণ “কহো না পেয়ার হ্যায়” ছবির শুটিংয়ের সময় প্রায় একই ধরনের আঘাত সে পেয়েছিল। কিন্তু পরে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ’
ফুকেটে মাথায় আঘাত পাওয়ার পরও টানা আট দিন শুটিং চালিয়ে গেছেন হৃতিক। এরপর তিনি মুম্বাই ফিরে আসেন। তখনো তাঁর মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছিল।

এ জন্য তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়। কিন্তু কোনো কিছু ধরা না পড়ায় তাঁকে ব্যথানাশক ওষুধ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকেরা। এরপর তাঁর মাথায় ব্যথা কিছুটা কমে। কিন্তু পরে আবার সেই ব্যথা বাড়তে থাকে।
এ অবস্থায় হৃতিকের এমআরআই করানো হয়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে নিশ্চিত হন চিকিত্সকেরা। একজন ভারতীয় ও একজন বিদেশি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হিন্দুজা হাসপাতালে ৭ জুলাই রোববার হৃতিকের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। অ্যানেসথেশিয়া ব্যবহার করে অজ্ঞান করার পর হৃতিকের মাথার খুলি ছিদ্র করে জমাট বাঁধা রক্ত বের করে আনা হয়।
হৃতিক এখনো হাসপাতালেই আছেন। ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

অস্ত্রোপচারের পর গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক বার্তায় হৃতিক লিখেছেন, ‘আমি ঠিক আছি। আপনাদের কী অবস্থা? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে হচ্ছে। তবে এ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে বেশ ভালোই কাটছে আমার সময়। আমার সুস্থতা কামনা করে যে ভালোবাসা আপনারা দেখিয়েছেন, তার প্রতিদানে আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।