আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃৎশিল্পের খুঁটিনাটি

আমাদের দেশের অন্যতম প্রাচীন শিল্প হলো মৃৎশিল্প। শুধু শিল্পগুণেই অনন্য নয়, বরং এর শিল্প-সৌন্দর্য আমাদের বাঙালি ঐতিহ্যকে ঋদ্ধ করেছে। মৃৎশিল্পের নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্য এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বংশপরম্পরায় যুগ যুগ ধরে এ দেশের কুমারেরা গৃহস্থালির নিত্যপ্রয়োজনীয় হাঁড়ি-পাতিল, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সরা, সুরাই, মটকা, পিঠা তৈরির ছাঁচ আরও কত কী তৈরি করে আসছে। কুমারদের কর্মপরিধি এখন হাঁড়ি-পাতিল বা বাসন-কোসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, রান্নাঘর থেকে শুরু করে সরকারি, বেসরকারি ও করপোরেট হাউসগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এর ব্যাপ্তি।

তাদের কর্মপরিধির অনেকটাই ঝুঁকেছে গৃহসজ্জার বিভিন্ন জিনিসের দিকে।

মৃৎশিল্পের বাজারদর
মৃৎশিল্পের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম টেরাকোটা। ৪০-৩৫০ টাকায় পাওয়া যায় ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের ও বিভিন্ন রঙের টেরাকোটা। ঘর সাজাতে ফুলদানির তুলনা হয় না। মাটির ফুলদানির ওপর গ্লিটার, কাচ কাটা, টেরাকোটা, সিরামিকস ইত্যাদি কাজ প্রচলিত।

ছোট ফুলদানিগুলো পাওয়া যায় ৩০-২৩০ টাকায়। ঘরের কোণ সাজাতে বড় ফুলদানিগুলো পাওয়া যায় ৩৫০-৮০০ টাকায়। ঝুলন্ত পাখির বাসা ৮৮-৯৮ টাকা। নকশি ঘণ্টা পাওয়া যায় ১৪-২৮ টাকায়। ঝুলন্ত টব ১২০-১৫০ টাকা।

মাটির তৈরি মোড়া পাওয়া যায় ২২৫-২৬৫ টাকায়। নকশি মাটির বাসন প্রতিটির দাম ৮৮-৯৮ টাকা। নকশি মগের দাম ৪০-৬৫ টাকা। মাটির ঘটি ল্যাম্পের দাম ৫৫০ টাকা। বিভিন্ন মাপের তরকারির বাটি ৩০-১১০ টাকা।

নকশি কয়েল স্ট্যান্ড ৭৮ টাকা। আগরদানি ২৯-৩৫ টাকা। কলমদানি পাওয়া যায় ৫০-৮০ টাকায়। প্রদীপদানি ৬৮-৮৮ টাকা। মাটি ও মোমের নকশি প্রদীপদানি ৩০-১৬৬ টাকা।

ফুলের টর ২০-২৫০ টাকা। মেয়েদের মাটির নকশি গয়নার সেট ১২০-২৩০ টাকা।

মৃৎশিল্পের ব্যবহার
আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের মৃৎশিল্প এখন অনেক সমৃদ্ধ। গৃহসজ্জা এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস—সর্বত্রই মৃৎশিল্পের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। দোয়েল চত্বরের ‘শুভা মৃৎশিল্প’ দোকানে দেখা হলো আলিসা, শুভ্রা, লিসা—ঢাকা মেডিকেল কলেজের তিন ছাত্রীর সঙ্গে।

তাঁরা জানালেন, মাটির গয়না কিনতে এসেছে। লিসা বললেন, নিজেকে ভিন্ন মাত্রায় সাজাতে মাটির গয়নার তুলনা নেই। তা ছাড়া দামও খুব বেশি না।

মৃৎশিল্প কোথায় পাবেন
মৃৎশিল্পের এই জিনিসগুলো পাওয়া যাবে ঢাকায় বাংলাদেশশিশু একাডেমির সামনের ফুটপাত, ঢাকা নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মিরপুর-২, উত্তরা সেক্টর-৫ এবং আড়ং বা যাত্রার সবগুলো শাখায়। মিরপুরের মৃৎশিল্প ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেল, পটুয়াখালীর বাউফল, সাভারের নবীনগর, ধামরাই এবং কুমিল্লা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুরের কুমারদের কাছ থেকে সারা দেশের মৃৎশিল্প ব্যবসায়ীরা এগুলো নিয়ে আসেন।


মৃৎশিল্প মিশে আছে আমাদের ষোল আনা বাঙালিয়ানার সঙ্গে। এই শিল্প বহন করছে আমাদের বাঙালিজীবনের হাজার বছরের ঐতিহ্য। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।