আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আস্তিক বনাম নাস্তিক দ্বন্দ্ব০০০ ভন্ড আস্তিক (জামায়াত) ও ভন্ড নাস্তিক (ইসলাম বিদ্বেসী) থেকে সাবধান

এখনো গেলনা আঁধার............... আস্তিক বনাম নাস্তিক দ্বন্দ্ব- ১ ---------------------------------- আস্তিকতা ও নাস্তিকতা বিষয়ে আবারো যুক্তি ও পর্যালোচনাধর্মী লিখা শুরু করছি। প্রথমেই বলে নেই এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী। যেই রাজনৈতিক মতাদর্শের হোক না কেন ধর্ম সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ কোন আপোষে যেতে রাজি নয়। সুতরাং নাস্তিকতার নামে একদিকে প্রগতীশীলতার ধুয়া তুলে অপরদিকে নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির পরিচয় দিয়ে তথাকথিত নাস্তিকগণ সাধারণ ধর্মভীরুদের চক্ষুশুল হচ্ছেন। আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংক সংকুচিত করে আনছেন।

আপনি নাস্তিকতা প্রচার করলে শুধু নাস্তিকতা প্রচার করতে থাকুন। আপনার শাহবাগী বা আওয়ামী হওয়ার দরকার কী? আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রচার করবেন তার জন্য আপনার নাস্তিক হতে হবে এর বাধ্যবাধকতা কোথায়? বর্তমান সময়ে নাস্তিকরা খুব উচু গলায় অস্বীকার করছে সৃষ্টিকর্তা বলতে কোন কিছুই নেই। তবে এই ত্বত্ত্বের যিনি বা যারা জনক তারা কিন্তু লজিক্যালি আলাপ করতেন এই বিষয়ে। কিন্তু বাংলাদেশী নাস্তিক্যবাদের ধারক ও বাহকদের নাস্তিক্যজম প্রচারের সিস্টেম হলো অন্য ধর্মকে ব্যাংগোক্তি কটুক্তি করা। পৃথিবীর আদি থেকে সর্বশেষ যতগুলো ধর্ম এসেছে মোটামুটি প্রায় ধর্ম পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোন একটি ধর্মে অন্য একটি ধর্মকে কটাক্ষ করে কিছুই বলা হয়নি।

বরঞ্চ পূর্ববর্তী ধর্মকে স্বীকার করে নুতন ধর্মটি তার স্থান তৈরী করে নিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশী নাস্তিকরা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে এইটা ভুল হয়েছে, সেটা ভুল হয়েছে এইসব তত্ত্ব প্রচার করে কোন টাইপের নাস্তিক্যবাদ প্রচার করে সেটা আমার বোধগম্য নয়। নাস্তিক্যবাদ তত্ত্বের যেটা মুল কথা 'বিবর্তন' সেটার উপর কিছু জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও যুক্তিপ্রমাণ পাইলে না হয় কিছু আলাপ করা যাইতো। এখন নবীজি দশটা বিয়া করছে কেন? আল্লাহ বেহেস্তে হুরপরীর লোভ দেখাইতেসে কেন? নারী একাধিক বিয়ে করতে পারবেনা কেন? এসব শত শত কেন দিয়ে নাস্তিকরা অবুঝের মতো সরল ও কোমলমতি মুসলিম কিশোর-কিশোরীদের মাথা আউলাইয়া দেয়। অথচ তাদের প্রত্যেকটি কেনর জবাব তাদের কেন'র মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সেটা তারা খুজে পায়না।

আস্তিকতা ও নাস্তিকতা নিয়ে একটা বড় টপিক করার কথা ভেবেছিলাম। তারপর ভাবলাম নাহ, আস্তিকতা ও নাস্তিকতার মধ্যেকার দ্বন্দ্বকে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বিশ্লেষন করবো। দ্বন্দ্বটুকু তুলে ধরবো। সার ও অসারতাটুকু ব্যাখ্যা করবো। তাই প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবেই লিখবো।

শুরু করার আগে- কেউ একজন আমাকে কোন লিখা, সুত্র, ঠিকানা, লিংক দিয়ে জানাবেন কি, ধর্মীয় দৃষ্টিভংগী বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদী রাষ্ট্রে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কেমন হতে পারে? এতে করে আমি যা জানি তা আরো সমৃদ্ধ হবে। আলোচনা টুকু আরো গ্রহনযোগ্য হবে। বিবাহ === বিয়ে বিষয়টি ধর্মীয় ভাবে স্বীকৃত। পারিবারিক বন্ধন সুদৃড় করা, বংশবৃদ্ধি করা, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা সহ নারী ও পুরুষের সম্পর্ককে একটি সুন্দর মর্যাদাপূর্ন সর্ম্পক সৃষ্টি করেছে এই বিয়ের মাধ্যমে। ইসলাম বরঞ্চ এক ধাপ এগিয়ে কাকে কাকে বিয়ে করা যাবে এবং কাকে কাকে বিয়ে করা যাবেনা তার একটি সীমারেখা তৈরী করেছে।

এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্র্পক হারাম করে তাদের সম্পর্ককে আরো পবিত্র করেছে। এবং বিয়ে বর্হিভুত সম্পর্ককে হারাম ও শাস্তিযোগ্য ঘোষনা করে জেনা ও ব্যভিচার (ধর্ষন) কে নিরুৎসাহিত করেছে। ধর্মকে বাদ দিয়ে নাস্তিক সমাজ ব্যবস্থায় বিয়ের বিপরীতে কি হতে পারে? লিভ টুগেদার, গে সেক্স, লেসবিয়ান সেক্স, অ্যানিমেল সেক্স এসব? পারিবারিক বন্ধনটুকুর অবস্থা কি দাড়াবে। পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে নাস্তিক্যবাদ কী নিয়ম চালু করবে? ইসলাম যাদের বিয়ে করা হারাম করেছে নাস্তিক্যবাদী ব্যবস্থায় তা কি পুনরায় হালাল করা হবে? জেনা ও ব্যাভিচারের ব্যাপারে ইসলামে যে নিষেধাজ্ঞা আছে নাস্তিক্য সমাজ ব্যবস্থায় তাকি উঠিয়ে দেয়া হবে? শুধুমাত্র বিয়ে নিয়ে আমার এতসব প্রশ্নের জবাব দেয়ার মতো কোন নাস্তিক কি আছেন? এই প্রশ্নগুলোর জবাব পেলে বিয়ে সংক্রান্ত আমার আরো প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করবো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.