আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেবে যেতে শুরু করেছে ভেড়ামারার জনগুরুত্বপূর্ণ ক্ষেমিরদিয়াড় ব্রিজ।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আধ্যাত্মিক সাধক হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) মাজারে ৩ দিনব্যাপী ওরশ মোবারক আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অপরিকল্পিত ভাবে মুজিবনগর খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় প্রতিনিয়ত পানির নিচে দেবে যেতে শুরু করেছে ভেড়ামারার জনগুরুত্বপূর্ণ ক্ষেমিরদিয়াড় ব্রিজ। উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সীমিত আকারে পায়ে চলার রাস্তা রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রিজটি। ফলে ভেড়ামারা শহরের সাথে উপজেলার মওলাহাবাসপুর, জগশ্বর, পরানখালী, রামচন্দ্রপুর এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন মুজিব নগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পদ্মা-হিসনা সংযোগ খাল পুনঃ খনন প্রকল্প সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত দায়সারা ভাবে সম্প্রতি শেষ করে। ব্রিজ এলাকার দু’পাশেই ৩০ ফুট দূরত্বে মাটি খনন করার নিয়ম থাকলেও অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তমা এন্টারপ্রাইজ এবং ঠিকাদার রবিউল ইসলাম ব্রিজের পিলার ঘেঁষে দুটি স্কেবেটর মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে। যার কয়েক দিনের মধ্যেই পানির নিচে দেবে যেতে শুরু করে জনগুরুত্বপূর্ণ ক্ষেমিরদিয়াড় ব্রিজ। স্থানীয় শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৩ দিন আগে হঠাৎ করেই প্রায় ৪ ইঞ্চি পানির নিচে দেবে যায় ব্রিজটি। এরপর প্রতিদিনই দাবতে থাকে ব্রিজ।

ব্রিজের মাঝখানের পিলারের মেরদণ্ড ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ব্রিজের উপর দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহন। যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ব্রিজটি বর্তমানে প্রায় ২ ফুট দেবে গেছে । ফলে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে ক্ষেমিরদিয়াড়, মওলাহাবাসপুর, জগশ্বর, পরানখালী গ্রামের প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ।

বিএডিসি’র খাম খেয়ালীপনায় ব্রিজটি পানির নিচে দেবে যাচ্ছে সংবাদটি পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়া বিএডিসি’র কর্মকর্তারা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।