আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শয়তানের হাত থেকে বাচার উপায় – পর্ব ১

ভ্যাম্পায়ার ওয়ারিয়র ০.১ আমি আজকে আপনাদের শয়তান থেকে বাচার জন্য কিছু উপায় সম্পর্কে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কিছু ইসলামিক চিন্তাবিদের লেখা তুলে ধরব। জানিনা এটা নিয়ে পুর্বে লেখা হয়েছে কিনা, লেখা হয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী্। যাই হোক যারা জানেনা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য হতে পারে এটি। যদি কেউ পারেন এটি আপনার বন্ধুদের/পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন তাতে আপনার সওয়াবের খাতা কিছুটা হলেও ভারী হবে কমবেনা। লেখাটি নিম্নরুপ-- সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা! আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে শয়তান থেকে রক্ষা করুন।

শয়তান মানুষের প্রথম এবং শেষ শত্রু প্রকাশ্য শত্রু। তার কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য মানুষ মাত্রেই প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু অস্ত্র যদি ধারালো না হয় বা সঠিকভাবে নিক্ষিপ্ত না হয় তবে শত্রু লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে। তাই শয়তান নামক শত্রু থেকে বাঁচার জন্য মহান ক্ষমতাধর আল্লাহ্ তা‘আলার এলাহী অস্ত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম। মনে রাখবেন, এই শয়তান থেকে বাঁচতে হলে মনগড়া রক্ষা-কবচ ব্যবহার করলে হবে না।

যেমন তাবীয-কবচ, সুতা, তাগা, রিং প্রভৃতি। কেননা এগুলো ব্যবহার করা শির্ক। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি তাবীয ব্যবহার করবে সে শির্ক করবে। ” (আহমাদ) আমরা আপনাদের সামনে ইসলামে অনুমোদিত সেই সমস্ত মাধ্যম উল্লেখ করছি যা দ্বারা আপনি শয়তানকে বিতাড়িত ও পরাজিত করতে পারবেন। তার চক্রান্ত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

১) মহান আল্লাহর উপর শিরক মুক্ত নিখাদ পরিপূর্ণ ঈমান। কেননা বান্দা শিরক করলে শয়তান সবচেয়ে বেশী খুশি হয়। চাই তা বড় শিরক হোক বা ছোট শিরক। কারণ এতে বান্দার ঈমান নষ্ট হয় তার জন্য জান্নাতের পথ বন্ধ হয়। ২) একনিষ্ঠ ভাবে তাঁর ইবাদত-দাসত্ব করা।

রিয়া বা লোক দেখানোর আমল পরিত্যাগ করা। ৩) সার্বিক ক্ষেত্রে নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা। পরিপূর্ণরূপে তাঁর অনুসরণ করা। সবধরনের বিদআত থেকে দূরে থাকা। কেননা সাধারণ পাপকর্মে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে বিদআতে লিপ্ত হওয়াতে শয়তান বেশী খুশি হয়।

কারণ সাধারণ পাপকর্ম থেকে তওবা করা হয় কিন্তু বিদআত থেকে তওবা করা হয়না। তাছাড়া বিদআত পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত আল্লাহ্ তা‘আলা তার তওবা কবুল করেন না। (ছহীহ্ তারগীব তারহীব) ৪) পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত যথাসময়ে আদায় করা। বিনয়-নম্রতার সাথে ছালাত সমূহ আদায় করা এবং মসজিদে গিয়ে মুসলমানদের জামাতে শরীক হওয়া। ৫) ফরয সমাপনান্তে সুন্নত-নফল ছালাত সমূহ অধিকহারে আদায়ের চেষ্টা করা।

৬) অধিকহারে নফল ছিয়াম আদায় করার চেষ্টা করা। কেননা ছিয়াম শয়তানী প্রবৃত্তিকে দুর্বল করে দেয়। ৭) সবধরনের নফল ইবাদত বেশী বেশী আদায় করা। ৮) গোপনে-প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “তুমি যেখানেই থাক আল্লাহকে ভয় কর।

” (মুসলিম) ৯) অধিকহারে আল্লাহর জিকির করা। কেননা শয়তান বিতাড়িত করার সর্বোত্তম মাধ্যম হল আল্লাহর জিকির। ১০) আল্লাহর দরবারে তওবা করা এবং আত্ম সমালোচনা করা। ১১) আল্লাহর কাছে দু‘আ করা এবং তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করা। ১২) আল্লাহর দরবারে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করা।

যে সকল স্থানে শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করতে হয় তা হল: ছালাতে, কুরআন তেলাওয়াত করার সময়, রেগে গেলে, সকাল-সন্ধ্যায়, নিজগৃহে প্রবেশ করার সময়, দ্বীনের মৌলিক কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে, স্ত্রী সহবাস করার আগে, ঘুমানোর সময়, কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে। সুত্র: কুরআনের আলো ডট কম। লেখক: শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফী | সম্পাদক: শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।