আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-৪ : আমার মতো সুখী কে আছে, আয় ছুটে আয় আমার কাছে...

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া! ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-১ ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-২ ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-৩ চাকরিতে আপনি উন্নতি করছেন কী না সেটা যাচাই করাটা সহজ। বেতন বাড়ছে তো? পদোন্নতি হয়েছে তো? অফিস গাড়ি দিয়েছে? বছরে একবার সুইজারল্যান্ড যাওয়া!!! হিসাবটা সহজ কারণ শুরুতেই আপনি ধাপগুলো জানেন। কিন্তু ফ্রীল্যান্সারদের জন্য এটি খুব সহজ নয়। বাইরের কোন মাপার কাঠি নাই, বাৎসরিক সভা নাই যেখানে সবাই মিলে একটা হিসাব নিকাশ করা যাবে।

কেহ তোমার এসিআর লিখছে না, কেহ তোমাকে বলছে না , “তোমার তো এসব করার কথা ছিল, তুমি তো করো নাই!” তাহলে কেমন করে ব্যাপারটা বোজা যাবে। বিশেষ করে আমি কী সফল হচ্ছি? আগে আমরা দেখে এসেছি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার কারণ একেকজনের একেকটা। কাজে খুব সহজ কোন ম্যাট্রিক্স বানানো কঠিন। গ্লোবাল সার্ভেতে তিনটে বিষয়কে দেখা হয়েছে সাফল্যের চাবি হিসাবে- নিরাপত্তা, কর্মতৃপ্তি এবং সুখ! রেজাল্ট খুবই জটিল যা কীনা শেষ পর্যন্ত তুলে এনেছে জগতের চিরন্তন সত্য, “চিরন্তন সত্য বলে কিছু নাই!” নিরাপত্তা ২০০৭ আর ২০১০ সালের উভয় সার্ভেতে ৫৪% বলেছেন তারা নিরাপদ। গোলাবাল দুর্ভোগের মধ্যে এই সংখ্যাটা স্থিতিশীল থাকার একটা কারণ হতে পারে কাজ পাওয়া, রেট এবং ডেলিভারি ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই ঠিক করে।

বাজার তাদের সেভাবে বাধ্য করে না। এই থেকে আর একটা সিদ্ধান্তও আমরা নিতে পারি তাহল বাজার আসলে ফ্রীল্যান্সারদের মধ্যে যারা সফল তাদেরকে তেমন একটা বেকায়দায় ফেলতে পারে না। তবে, গুরুত্বপুর্ণ হল যে, ৪৬% কিন্তু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অর্থাৎ সবসময় কাজ পাবেন কী না এটি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় তাদের থাকতে হয়। আপনি যখন চাকরি করেন তখন চাকরির নিরাপত্তা বিধানের জন্য আপনাকে কিচু বেসিক বিষয় মেনে চলতে হয়।

তবে, এখানে ব্যাপারটা অন্যরকম। এ ব্যাপারে লিন্ডা ফার্মিচেলির মন্তব্যটা শিরোধার্য। তিনি বলছেন – বৈচিত্রই হচ্ছে নিরাপত্তার সমার্থক। আপনি যদি টেক লেখক হোন তাহলে কেবল প্রোডাক্ট রিভিউ না করে অন্য লেখালেখিও করতে পারেন। যেমন ওয়েবসাইটের বিশ্লেষন।

তিনি নিজে লেখক। তবে বই লেখার পাশাপাশি তিনি কর্পোরেটদের নানান কিছু লিখে দেন। ই-কোর্সে পড়ান এমনকী টেলিফোনে নবীন লেখকদের মেন্টরিং করেন। অনেক কিছু থাকায় তার পক্ষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করা সম্ভব হচ্ছে নিয়মিত। কাজেই নানান ধরণের কাজ করতে হবে।

এর পাশাপাশি ফ্রীল্যান্সারদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এক্সপার্টরা। যেমন – ক. খরচ কমানো – দেখা যাচ্ছে যারা নিজেদের সিকিউর ভাবছে তারা বেশিরভাগই ছোট শহরে থাকে। ছোট শহরে খরচ কম, ইচ্ছে করলেই নানান জায়গায় টাকা খরচ করা যায় না। আলতু-ফালতু খরচ কমানোটা দরকার। খ. বৈচিত্র : সিকিউরডরা নানান রকমের কাজ করে।

কেবল এসইও করে না। সঙ্গে দুই লাইন কোড লেখে, পারলে ২টা লোগো ডিজাইন করে কিংবা একটা ব্লগ চালায়! তারপর তারা এগ্রেসিব মার্কেটিংও করে। গ. বীমা : বেশিরভাগ নিজেদের বীমা করে। জীবন বীমা শুধু নয় কাজের, কম্পিউটারের ইত্যাদির। ঘ. কাজে আনন্দ : নিরাপদ ফ্রীল্যান্সাররা নিজেদের কাজকে উপভোগ করে।

আনন্দের সঙ্গে কাজ করে। বিরস বদনে কিছু করে না। যা করে আনন্দের সঙ্গে করে। করে বলে প্রচুর কাজ পায়। অন্যদিকে যারা নিজের কর্মঘন্টাতে খুশী নয়, কাজ পছ্দ করে না, কাজ তাদের থেকে দূরে থাকে।

আত্মতৃপ্তি সার্ভে থেকে দেখা গেছে তাদের গড় আয় ঘন্টায় ৬৪ ডলারের মতো। আমেরিকার কর্মবাজারে এটি গরীব না হলে ধনী আয় নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকেই আত্মতৃপ্ত। যা আসলে আমাদের বলে যে, কেবল টাকা কামানোর জন্য কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং নয়। পরিবারের সঙ্গে থাকা।

ঘুরতে ঘুরে বেড়ানোর সময় কাজ করা। সবই জীবনের অংশ। তবে, আয় নিয়ে ৭০% বলেছে বাড়লে তারা আরো খুশি হতো! (এটা জানার জন্য সার্ভে করার দরকার কি?) কাজ আর ব্যক্তি জীবনের সমন্বয় এই জায়গাটাতে ফ্রীল্যান্সারদের জয় জয়কার। কারণ তারা নিজেদের বস। ইচ্ছে হলেই ছুটি নিয়ে হিল্লী দিল্লী করতে পারে! সো তারা তো খুশী হবে।

বেশিরভাগ বলেছে ফ্রীল্যান্সিং-এ আসার পর তাদের নিজেদের কাজে অনেক বেশি সময় দিতে পারছে। তাতে পরিবারে শান্তি ও আনন্দ। সেটাতো আর টাকা দিয়ে কেনা যায় না!!!! আরো ইন্টারেস্টিং হল সবাই বলেছে তারা চাকরী জীবনে যতো ঘন্টা কাজ করতো এখন তার চেয়ে অনেক কম ঘন্টা কাজ করে!!!! কাজ আর আনন্দকে ব্যালান্স করার জন্য তুমি কী করবে তা তোমার ব্যাপার। তুমি জীবন থেকে কী পেতে চাও সেটা ভাবো তাহলেই হবে। আলোচনা থেকে বোঝায় যাচ্ছে ফ্রীল্যান্সারদের মত সুখী আর কে আছে? আমাদের সার্ভের ৯৩% বলেছে তারা সুখী।

(এশিয়াতে এই হার ৯৬%!!!) কাজে নিজের কাজের টার্গেট ঠিক করে সুখী হওয়ার জন্য নেমে পড়ুন!!!! পরের পর্ব : ফ্রীল্যান্সারদেরও বাড়তে হয়, ভার্টিক্যালি আর হরাইজন্টালি। তা বাড়ার জন্য কেবল মার্কেটিং দরকার না অন্য কিছু। এক্সপার্টরা কী বলছেন সেটাই আমরা দেখবো। ততদিন পর্যন্ত ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন আর পড়তে থাকুন..... :পি সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক। [কিছু বানান ঠিক করার চেষ্টা করলাম।

তারপরও মনে হয় অনেক বুল থাকলো। আপাতত ক্ষ্যামা দিলাম। আলসেমির টাইম হয়ে গেছে]  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.