আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্যাশনেবল নাস্তিকতা

inveterate to Create একটা সময় চোখে সানগ্লাস,পড়নে জিন্সের প্যান্ট, হাতে ব্রেসলেট পড়াটা ফ্যাশন ছিল। কালের ভদ্রতায় এগুলো রুপান্তরিত হয়ে আকার বদলায়। রাস্তায় নামলেই দেখা যেত, সানগ্লাসের সাইজটা এতটাই বেড়ে গেছে যে, খাবার সময় সেটা খুলে রাখার প্রয়োজন হয়। ক্ষত-বিক্ষত জিন্সের প্যান্টও আজকাল আধুনিকতার অন্যনাম। হাতের ব্রেসলেটের জায়গায় বসে পড়েছে প্রায় দেয়াল ঘড়ি আকৃতির হাতঘড়ি।

কালে কালে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, সেলফোন, নোটবুক ইত্যাদি আরো অনেক যন্ত্রপাতি আধুনিকতার একটা মাইলস্টোনে পরিণত হয়েছে। এসব বস্তুবাদী আধুনিকদের পাশাপাশি আরেক শ্রেনীর ফ্যাশনেবল লোকজন আছেন, যারা নিজেদেরকে আধুনিক বা ফ্যাশনেবল করতে গিয়ে সরাসরি “নাস্তিক” বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। তাদের ধারনা, যে যত বড় নাস্তিক, সে তত আধুনিক। আপনি নাস্তিক না আস্তিক, তা নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নয়। কিন্তু সমস্যা ঘটে যাচ্ছে অন্য জায়গায়।

এমন অনেক তথাকথিত নাস্তিক আছেন যারা নাস্তিকতার সংজ্ঞাটাও হয়ত ঠিক করে জানেন না। যারা প্রকৃতপক্ষে নাস্তিক তাদের সাহচর্যে এসে একজন অবুঝ আস্তিক লোকও নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে পারেন। সৃষ্টির সূচনালগ্নের কিছুটা পর থেকেই আস্তিক-নাস্তিকতার বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিতর্ক আজ থেকে নয়। পৃথিবীর বয়স বাড়ছে, ফ্যাশনের সংখ্যা, সংজ্ঞা এবং ধরনও পরিবর্তিত হচ্ছে।

পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিনই চলতে থাকবে পরিবর্তনশীল এই আধুনিকতা। তাই, পৃথিবী যতদিন আছে, ততদিন আপনারা ফ্যাশন করুন, আধুনিক হোন- এটা নিয়ে কোন আপত্তি করব না। কিন্তু না বুঝে ফ্যাশনেবল নাস্তিক হবার চেষ্টা করবেন না। জানেন তো, তাতে নাস্তিকতাকেই অপমান করা হয় ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।