আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবীর প্রতি মহব্বত আর অধিক পরিমানে দরূদ শরীফ পড়ার পুরস্কার।

আমি আমার রব হিসাবে আল্লাহতায়ালাকে রাজি করাতে চাই। নবীর মহব্বতের একটা ঘটনাঃ হযরত আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ আমার ও আবু-লাহাবের মধ্যে সু-সস্পর্ক ছিল। সে আমার সাথি ছিলো। সে মরিয়া যাওয়ার পর আল্লাহ কুরআনে পাকে তাহার অবস্থা জানাইলেন। তাহার জন্য আমার খুব দুঃখ হইলো।

তাহার অবস্থা সম্পৃর্কে আমার মনে নানা কথা হইতেছিলো। আমি তাহাকে স্বপ্নে দেখার জন্য ১ বছর পর্যন্ত আল্লাহর কাছে দোয়া করিতেছিলাম। এক রাতে স্বপ্নে তাহাকে আগুনে প্রজ্জলিত হইতে দেখিতেছিলাম। আমি তাহার কাছে তাহার অবস্থার কথা জানতে চাইলাম। সে বলিল সে দোযখে পতিত হইয়াছে এবং তাহার আজাব কখনো কমে না।

শুধু মাত্র সোমবার রাতে তাহার আযাবকে কিছু কমাইয়া দেওয়া হয়। আমি তাহার কারণ জানতে চাইলে সে বললো: ঐ রাতে মুহাম্মদ (সাঃ) দুনিয়াতে আগমন করেছিল আর এক বাদি আসিয়া আমাকে এই খবর দিয়েছিলো যে, আমিনার একজন পুত্র সন্তান হয়েছে। আমি এই খববে খুশি হইয়া সেই বাদি কে সাথে সাথেই আজাদ করিয়া দেই। আল্লাহ পাক সেই কাজের বদলা আমাকে প্রদান করিয়াছেন যার বদলায় প্রতি সোমবার আমার আজাবকে হালকা করিয়া দেওয়া হয়। তাই আমাদের একটু চিন্তা করা দরকার আবু-লাহাব কোরআনে ঘোষিত কাফের হওয়ার পরও শিশু মোহাম্মদের জম্নে খুশি হওয়ার কারনে যদি আল্লাহ-পাক তাকে এই বদলা দেন তাহলে আমরা যদি নবী মোহাম্মদ (সাঃ) কে মহব্বত করি তার অনুসারিত জীবনকে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করি তবে আল্লাহ আমাদের প্রতি কি পরিমান খুশি হবেন।

অধিক দরূদ শরীফ পরার পুরুস্কারের ঘটনাঃ আব্দুল ওয়াহিদ ইবনে যায়দ (রাঃ) বলেনঃ আমি হজ্জ করার উদ্দেশ্যে রওনা হইলাম। পথিমধ্যে একব্যাক্তি আমার সাথী হইলো। সে উঠা-বসা-চলা-ফেরা সব সময়ই দুরূদ শরীফ পড়তো। আমি তাহাকে এইরূপ করার কারন জানতে চাইলাম। সে বলিল আমি প্রথম যখন মক্কা শরীফ যাইতেছিলাম তখন আমার সাথে আমার পিতাও ছিলো।

আমরা যখন মক্কা হইতে প্রত্যাবর্তন করিতেছিলাম তখন একমনজিরে এসে আমরা ঘুমিয়ে পরলাম। আমি ঘুমন্ত ছিলাম। ঘুমের মধ্যেই কেউ একজন আমাকে বললো উঠো দেখো তোমার পিতা মারা গেছেন এবং তাহার চেহারা কৃষনবর্ন হইয়া গেছে। আমি ভয়ে ভয়ে ঘুম হতে জাগ্রত হলাম আমি পিতার মুখ হতে কাপড় সরিয়ে তাহাকে মৃত এবং তাহার চেহারা কৃষনবর্ন অবস্থায় দেখে যারপর নাই ব্যথিত হলাম। এই অবস্থায় ভয়ে আমার পুনরায় ঘুম আসিয়া গেলো।

স্বপ্নে দেখিলামঃ চারজন কৃষনবর্ন হাবসী লোক চারটি লোহার হাতুরি সহ আমার পিতার মাথার নিকট দাড়িয়ে আছে। এমন সময় সবুজ বর্ণের পোশাক পরিহীত একজন সুদর্শন বুজুর্গ সেখানে উপস্থিত হইলো। তিনি আসিয়া তাদেরকে বলিলেন তোমরা এখান হইতে হটিয়া যাও। অতঃপর তিনি তাহার হ্স্তমোবারক দ্বারা আমার পিতার মুখ মুছিয়া দিলেন এবং আমাকে বলিলেন উঠোঃ আল্লাহ তোমার পিতার মুখকে সুন্দর করিয়া দিয়াছেন। আমি তাহাকে বলিলামঃ আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান।

আপনি কে? পরিচয় দান করুন। তিনি বলিলেন আমি মোহাম্মদ (সাঃ)। আমি জাগ্রত হইলাম এবং পিতার মুখের উপর হতে কাপড় সরাইয়া দেখতে পাইলাম তাহার চেহারা জলমল করিতেছে। সেই হতে আমি নবীর প্রতি দরূদ পড়া বন্দ করি নাই। ( বই: আখিরাত, মূল লেখক: ঈমাম গাজ্জালী, পেইজঃ ২৭ এবং ২৮)।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.