আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংঘাতিক!

বসে আছি পথ চেয়ে.... বাংলাদেশে কে কার চেয়ে নিকৃষ্ট সেটা নি:সন্দেহে গভীর গবেষণার বিষয়। তবে 'জাত' তুলে বললে সাংবাদিকরা নিকৃষ্টের দিক থেকে পুলিশ, শিক্ষাভবনের কর্মচারী, মূলধারার রাজনীতিবিদ, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। আমি জীবনে কোন মতলব ছাড়া কোন সাংবাদিক চলেছে, বলেছে বা লিখেছে-তেমনটা দেখিনি। নিজে আট বছর সাংবাদিকতা পেশায় ছিলাম, তাই জোর দিয়েই কথাগুলো বলছি। আজ প্রেসক্লাবে যা ঘটল এর পর সাংবাদিকদের মুখে বড় কথা আর মানায় না।

এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান যা বলেছে, তা গর্দভসুলভ। তবে তার বক্তব্য নিয়ে যা চলছে তাই বা ইতরামির কম কিসে? বাবুল সাহেব, সালমান সাহেব, শাহ আলম সাহেব, ডেসিটিনি গ্রুপ, এমনকি ট্রান্সকম গ্রুপের চাকরি যারা করেন, তাদের মুখে নীতিনৈতিকতার কথা কতটুকু মানায়? কোন সাংবাদিক নেতা অবৈধ প্লটের জন্য চেষ্টা তদ্বির করেন না? এদেশের রক্তচোষা হঠাৎ বড়লোকদের পা চাটেন না-এমন সম্পাদক, সাংবাদিক-নেতা, সাংবাদিক কজন আছেন? কয়টি পত্রিকা আশুলিয়ার শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, ওরে শালা, রক্তচোষা পরজীবী মালিক, আগে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দে, তা না হলে তোদের কোন কথা আমরা লিখবো না, ছাপবো না। না এমন কথা গার্মেন্টস মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী পত্রিকার মেরুদন্ডহীন ক্লীবরা বলবে না। এখন সাগর-রুনী ইস্যুতে বলির পাঁঠা হয়েছে মাহফুজুর রহমান! কেন ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজমের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের করুন না কোন যোগ্য সাংবাদিক?তা না পারলে একজন মূর্খ ব্যক্তির প্রলাপ নিয়ে কেন এই ইতরামি? মাহফুজকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে এমন সমবেত সঙ্গীত গাইতে হবে কেন? ক্ষমতায় তো আপনাদেরই গণতান্ত্রিক সরকার, ওরা জানে না, কাকে ধরতে হবে? আসলে এসবই হচ্ছে স্বার্থ, আরেকজনকে বাটে ফেলে ডলা দেওয়া। ধিক এই পাশবিক খেয়োখেয়ি! **** সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের কথা বলে, অন্য প্রতিষ্ঠানে কতটুকু গণতন্ত্র আছে, সে বিষয়ে তাদের মাথাব্যথার শেষ নেই, কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান যে আমাদের সাধের জাতীয় প্রেসক্লাব, এ ব্যাপারে তাদের কোন বক্তব্য নেই।

অসাংবাদিকরা হচ্ছে প্রেসক্লাবের হর্তাকর্তাবিধাতা। সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সদস্য হতে পেরেছে-এমন উদাহরণ খুব কম। আর যারা পারে, তারা দুনিয়ার সব কিছুই পারে। পদলেহন ছাড়া এখানে সদস্য হওয়া যায় না। দলাদলিতেও এই 'ফেরেস্তারা' কম যান না।

ঢাকায় তো বটেই, এমনকি বিদ্যুতবিহীন মফঃস্বলে পর্যন্ত একাধিক প্রেসক্লাবের সন্ধান পাওয়া যায়। মফঃস্বলে যারা সাংবাদিকতা করে তারা হলো খোদার খাসি। বেশিরভাগ পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল মফস্বঃল সাংবাদিকদের কোনোরকম টাকা-পয়সা না দিয়ে ইচ্ছেমতন ঘুস-দুর্নীতি-চাঁদাবাজির পথে ঠেলে দেওয়া হয়। আর এই সুযোগটা করে দেন মহান সম্পাদকেরা। তারপরও তাদের মুখে বড় বড় বুলি, তারা জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ! তারা সারক্ষণ মুখে উপনিষদের বাণী ঝাড়েন, জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলেন।

একটু প্রচার পাবার আশায় আমরা ভণ্ডরাও এ মহাভাঁড়দের সব ভাঁড়ামি অকাতরে মেনে নেই। হে ঈশ্বর, আমাদের মাথায় বজ্রপাত হোক, এ পোড়া চোখ দিয়ে যেন আর কোন ভণ্ডামি দেখতে না হয়! সাংঘাতিকদের সাংঘাতিকতার নামে পৈশাচিকতা দেখতে না হয়!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.