আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসংগ মাজার/ ও কবর সেজদা

সুন্নি মুসলিম, ছালেহ্‌ আল্লাহর রাসুল সা: আলী রা: কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সকল উচু কবর ধ্বংস করার জন্য। আমাদেরও এখন একই কাজ সকল উচু কবর, মাজার নামের ব্যবসা ধ্বংস করে দেওয়া, মাটির সাথে সমান। আফসোসের বিষয় সেই আলী রা: এর কবরই এখন মাজারে পরিনত করছে। মাজার শব্দের অর্থ হলো দর্শনীয় স্থান। যেটা দেখলে মন ভাল হয়।

যেমন সমুদ্র সৈকত একটা মাজার বা দর্শনীয় স্থান। সহীহ হাদিসগুলোতে আছে, কবর পাকা করা নিষেধ, কবরে বাতি দেওয়া নিষেধ, কবরের উপর ঘর নির্মাণ নিষেধ, কবরকে উৎসরেব স্থান বানানো নিষেধ, কবরে গিলাফ লাগানো নিষেধ। কিন্তু আমাদের মুসলমান নামধারীরা সবগুলো নিষেধ করা কাজই বেশী করে করে। বলতে পারে সেগুলো পীরদের মাজার। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই পীরগুলার অস্তিত্ব কেন সাহাবাদের যুগে নাই, কেন তাবেয়ীদের যুগে নাই।

কারণ এটা একটা ব্যবসা যা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন সূরা ফাতির-২২> হে নবী, তুমি কবরে শায়িতদের কথা শুনাতে সক্ষম না। আর আমাদের কবরগুলোতে এমনই আক্বিদাহ পোষন করে যে কবর বাসী শুনে। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন সূরা আহকাফ-৯> হে নবী, বল, আমি জানি না আমার সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবেন এবং আমি জানি না আল্লাহ তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করবেন। বুঝার চেষ্টা করুন, নবী নিজেই যেখানে জানেন না তার সাথে কি ব্যবহার হবে, সেখানে আমাদের দেশের অনেক মূর্খ মানুষরা মনে করে আব্দুল কাদের জিলানী, শাহ জালাল, শাহ পরান (র রা জান্নাতি।

তারা জান্নাতের সার্টিফিকেটই দিয়া দেয়। অনেকে তাদের মুখে জান্নাতি না বললেও মনে মনে সেটা বিশ্বাস করে। আর ঈমান হলো সেটাই যা অন্তরে বিশ্বাস করা হয়, মুখে স্বীকার করা হয় এবং কার্য দ্বারা সম্পাদন করা হয়। কবরপুজারী, মাজারপুজারীরা মুখে অস্বীকার করলেও তাদের অন্তর এই স্বাক্ষ্যই দেয় যে তারা জান্নাতি। আল্লাহ আমাদের কবর পুজা, মাজার পুজা ইত্যাদি থেকে বাচার তৌফিক দান করুন।

আল্লাহ এই পীর পুজারী, কবর পুজারীদের হেদায়েত দান করুন। সম্মানিত (?) পীরগণ ও তাদের মুরিদগণ কোরআন থেকে দলিল দেন যে আদম আ: কে সিজদাহ করতে বলা হইছিল ফেরেশতাদের। কারণ কি? কারণ তিনি তাদের চেয়ে বেশী জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন। পাশাপাশি আদম আ: ও ফেরেশতাদের মধ্যে জ্ঞান এর প্রতিযোগীতায় তিনি জয়লাভ করেছিলেন। তো আদম আ: এর যদি জ্ঞান বেশী থাকার কারণে ফেরেশতারা তাকে সিজদাহ করে।

তাহলে পীরের জ্ঞান বেশী থাকার কারণে কেন মুরীদরা তার সিজদাহ করতে পারবে না? শয়তান যেহেতু আদম আ: কে সিজদাহ করেনি, তাই সে জাহান্নামী। তেমনি বর্তমানে যে পীরদের সিজদাহ করবে না তারাও শয়তান, জাহান্নামী। -------------------------------------------------------------------- তাদের এই দলিল এক কথাতেই খন্ডন করা যায় যে, -=================================== জ্ঞান বেশী থাকার কারণে যদি কাউকে সিজদা করা যেত তাহলে বিশ্ব নবী, সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নবী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ সা: ছিলেন সেই সিজদাহ পাওয়ার সর্বপ্রথম দাবীদার এবং সবচেয়ে যোগ্য। সকল পীরের থেকেও যোগ্য। => কিন্তু সাহাবাগণ কি তাকে সিজদাহ করেছিলেন? => মহানবী সা: কি তাদের সিজদাহ করতে বলেছিলেন তাকে।

নাকি এক আল্লাহকে? আল্লাহু আকবার। সিজদাহ একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য। পীর নামক শয়তানগুলো আল্লাহর এই অধিকারেও হাত দিয়েছে। তাদের মতে যারা পীরকে সিজদাহ করে না তারা শয়তানের মতো জাহান্নামী। মূলত যারা পীরকে সিজদাহ করে তারা আল্লাহর ইবাদাত কে খন্ড খন্ড করে আল্লাহর পাশাপাশি মানুষের ইবাদাত এ লিপ্ত যা শিরকে আকবর।

সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরও এমনটি যে করে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।