আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওই রকম গল্প আমার জীবনেও ঘটতে পারত.........

নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। কোথাকার কে তার জন্য আমি ভেবে মরছি। অচেনা একটা ছেলে যাকে আমি চিনিও না তাকে নিয়ে ভেবে মুখচোখ শুকিয়ে ফেললাম। ছেলেটার প্রায়ই প্রতিটা গল্পে একটি নাম। মনে হয় ওই ছেলেটার গার্লফ্রেন্ড।

তাহলে আমি কেন তাকে নিয়ে ভাবছি! আজিব তো। ভাবার প্রশ্নই আসত না যদি আজকে ওই ফাজিলটার ব্লগ না পড়তাম। ব্লগ পড়া একরকম নেশা হয়ে গেছে। ব্লগ নিয়মিত পড়া হয়। বিভিন্ন টাইপের লেখা, ভালই লাগে।

মানুষের এত কথা আসে কোথা থেকে। কত মানুষ কত ধরনের চিন্তা ভাবনা। বাপরে। ব্লগ পড়লেও ন্যাকামী টাইপের লেখা গুলো পড়ি না। ব্লগে ভালবাসি বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে।

কাজের কাজ ঘোড়ার ডিম। ভার্সিটিতে যাওয়ার আগে কিছু সময় আছে। ভাবলাম ব্লগ থেকে ঘুরে আসি। একটা গল্প টাইপের লেখা চোখে পড়ল। কিছু টাইম পাস করা যাক।

একি! পড়তে গিয়েই ভয়ানক ভীষম খেলাম। চোখের পলকে পড়ে ফেললাম। অদ্ভুত তো। মনে হল আমার কথাই আমাকে বলা হচ্ছে। খানিকটা রাগও হল।

শুরু হতে না হতেই শেষ। এটা গল্প ছিল নাকি সতি্য। কমেন্ট গুলোও পড়লাম। নাহ গল্পই ছিল। কেন জানি বিশ্বাস হল না।

লেখকের নাম দেখলাম। এত সুন্দর করে গল্প লেখে কি করে ছেলেটা। আরো অনেক গল্প আছে ছেলেটার। সময় পেলাম না গল্প গুলো পড়ার। ভার্সিটিতে চলে গেলাম।

আর অবাক হয়ে খেয়াল করলাম ক্লাশে কোন মনযোগই নাই। গল্পটা থেকে মন সরাতেই পারছি না। মনে হল মাতালের মত আচ্ছন্ন হয়ে আছি। ক্লাশে নয় গল্পে। আজ আড্ডা বাদ।

ক্লাশ শেষে সোজা বাড়িতে। আর সামান্য ফ্রেশ আর খেয়ে সোজা আমার রুমে, পিসির সামনে। আবারো গল্প পড়া শুরু । একটা, দুইটা, তিনটা......... পড়তেই থাকলাম। সবগুলো লেখা যেন আমাকে নিয়ে লেখা।

অদ্ভুত একটা ছন্দ। কিছুটা মোহ। সবগুলো গল্প শেষ করতে পারলাম না। অতো গল্প পড়া যায় নাকি। ছাদে এসেই অস্থিরতা শুরু।

আমাকে নতুন করে আবিস্কার করলাম। নিজেকে অনেক হাল্কা মনে হচ্ছে। আমার প্রিয় মানুষটি যদি এরকম রোমান্টিক হত। আমি যদি ওর গার্লফ্রেন্ড হতাম! হতাশাই মন ভারি হয়ে গেল। ওর গার্লফ্রেন্ড তো অন্য কেউ।

ছি ছি! আমি এসব ভাবছি কেন? আমি কেন কাবাব মে হাড্ডি হতে যাব। মনকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম। বৃথা চেষ্টা। আচ্ছা ওর তো নিশ্চয় ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট আছে। দেখি তো ওকে ফেসবুকে পাই কিনা।

ফেসবুক ওপেন করায় ছিল। ওর নাম লিখতে গিয়েই মন বিদ্রোহ করে ওঠল। মেয়ে হয়ে কিভাবে একটা ছেলেকে রিকোয়েস্ট পাঠাই? রিকোয়েস্ট পাঠালে নিশ্চই আমাকে সস্তা মনে করবে। আমি সস্তা হতে যাবো কেন? রিকোয়েস্ট না পাঠাই অন্তত ছেলেটাকে দেখি কিরকম দেখতে। সার্চের জায়গায় নামটা লিখলাম।

চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে এল। বি.দ্র. আমি এই প্রথম কোন গল্প লিখলাম। এটা কিন্তু একটা গল্প। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।