আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-২ : চার প্রশ্ন : চার প্রশ্ন

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া! প্রথম পর্ব ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-১ নতুন ফ্রিল্যান্সাররা সুযোগ পেলে পুরোনেদের চারটি প্রশ্ন করে থাকে- ক. কোথায় ক্লায়েন্ট পান খ. কতো চার্জ করেন? গ. কীভাবে একটি প্রজেক্ট এস্টিমেট করেন? ঘ. কীভাবে আমি আমরা ব্যবসাকে বড় করতে পারি? এই প্রশ্নগুলো তাই এসেছে গ্লোবাল সার্ভেতে। মূল টিপসে যাবার আগে আমরা ৩২০০ সফল ফ্রিল্যান্সার এই প্রশ্নের জবাব কী দিয়েছেন সেটা জেনে নেই। কোথায় ক্লায়েন্ট বেশি পাওয়া যায় এই প্রশ। নের একাধিক উত্তর নেওয়া হয়েছে্৩২০০ জনের মধ্যে • ২৮০০ জন বলেছেন রেফারেলের কথা • পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট আর সোস্যাল মিডিয়ার কথা বলেছেন যথাক্রমে ১৩০০ আর ১২০০ জন, • অনলাইন জব বোর্ড/সাইট (মার্কেট সাইট) ১১০০ জন • পার্সোনাল ব্লগ ৬০০ দেখা যাচ্ছে, ‘টাকা টাকা আনার মতো, ভাল কাজ আরো কাজ নিয়ে আসে’।

রেফারেলের মাধ্যমে কাজ পাওয়ার কারণ হলো হ্যাপি ক্লায়েন্টরা অন্যদের রেফার করলে সেটার মধ্যে এক ধরণের তৃপ্তি থাকে। এ জন্য অনেক কাস্টামারের চেয়ে কয়েকজন সুথী কাস্টোমার বানাতে পারলে খুবই ভাল হয়। তবে, পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট আর ফেসবুক/টুইটারের পেছনে সময় দিলে সেটিও ভাল পে-ব্যাক করে। কতো চার্জ করবো? শুরুর দিকে এই প্রশ্ন খুবই ভাবায়। দেখা যায় অনেকে খুবই কম চার্জ করে।

আবার অনেক বেশি। নিজের স্কিল সেটের দাম কীভাবে ঠিক করা যাবে তার কোন সহজ সরল ডিরেক্ট কাপ্তাই এপ্রোচ আসলে নাই। ট্রায়াল এন্ড এররের মাধ্যমে আগাতে হয়। ঘন্টা প্রতি রেটের একটা হিসাব সার্ভে থেকে পাওয়া গেছে গড় ডলার মাত্র শুরু করেছে -----------------৬৬ এক বছরের কম ------------------৪৪ ১-২ বছর ------------------------৪৪ ২-৩ -----------------------------৫৬ ৩-৫ -----------------------------৪৯ ৫-৯ -----------------------------৬০ ১০+ -----------------------------৮৪ দেখা যাচ্ছে শুরু দিকে সবাই একটু বিভ্রান্তিতে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং-এ প্রথম ২-৩ বছরকে ধরা হয় সেটল করার সময়।

তখণ রেটের একটা উঠানামা লক্ষ্য করা যায়। কিন্ত ৩ বছরের পর সবার কাজের রেট এক রকম দাড়িয়ে যায়। পরে সেটা আবার বাড়তে থাকে। অন্যরা কত টাকা কোট করছে সেটা জানলে ভাল তবে সেটাই কিন্ত একমাত্র চাবি কাঠি নয় রেটের। নিজের দক্ষতা, কমিটমেন্ট এসবের একটা হিসাব থাকতে হবে আপনার মধ্যে।

অনেকে মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং-এ নিজের মর্জিমাফিক কোট করা যায়। আসলে কিন্তু তা নয়। আপনাকে অবশ্যই অন্যান্য ব্যবসার মতো আপনার রিসোর্স/ সময় –এর একটা সুস্পষ্ট হিসাব করতে হবে। আবার ক্লায়েন্টভেদেও রেটের তারতম্য হবে। যারা একটু হিসাব নিকাশ করতে চায় তারা এখানে গিয়ে একটা এক্সারসাইজ করতে পারে।

প্রজেক্ট এস্টিমেশন এটি খুব জটিল কাজ। শুরুর দিকে অনেকে এটি ঠিকমতো করতে পারে না। এর জন্য কিছু নিয়মকানুন মানা যেতে পারে • পুরো প্রজেক্টকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদাভাবে সেটির এস্টিমেট করা। তারপর যোগ দেওয়া • ক্লায়েন্টকে আইটেম ওয়াইজ একটা ব্রেকডাউন দেওয়ার চেষ্টা করা • রিভিশনের জন্য আলাদা সময় রাখা। সেটি কম হতে পারে কিন্ত রাখা দরকার।

• আর একবার একটা প্রজেক্টের এস্টিমেট করতে পারলে সেটি সংরক্সণ করা যাতে পরে আবার কাজে লাগে। আবার কাজ ভেদেও এই এস্টিমেট ভিন্নহতে পারে। রাইটারদের আর এসইও-দের রেটতো কখনো এক হবে না। তাই না? আবার ব্যবসা কেমনে গ্রো করবো? তো, শুরুতো করলাম। একটুতো এগোলাম।

এর পরে কি? ৩২০০ জনের মধ্যে ১২০০ জন একাই থাকতে চান কিন্তু ১৮০০ জন প্রতিষ্ঠান করতে চান। একটি সেক্টরে কাজ করলেও যদি আপনি গ্রো করতে চান তাহলে আপনাকে বৈচিত্রে ঝুকতে হবে। হয়তো করেন এসইও। শুরু করতে হবে ব্লগিং বা ওয়েব ডিজাইন। কয়েকজন এমপ্লয়ী নিতে পারেন অথবা কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার নিয়ে একত্রিত হতে পারেন।

গ্রো করতে হলে নিজের মনের কথা শুনতে হবে। এবং সেভাবে এগোতে হবে। পরের পর্ব : প্রথমদিন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং হলো শেখার অভিজ্ঞতা। সফল ফ্রিল্যান্সার দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারেন এবং কঠিন টেকনিকও এপ্লাই করতে পারেন তার বিজনেজ প্ল্যানে। অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা তাদের জবানীতে ছয়টি বিশেষ বাস্তবতা তুলে এনেছেন তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে।

সেগুলো নিয়ে পরের পর্ব। কবে- আল্লাহ মালিক জানেন! সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.