আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসম্ভব ধরনের ভাল লেখা এক বার পড়েই দেখুন বিবেক কি ভাবে নাড়া দেয়। লিঙ্ক দেয়া আছে।

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। অসহায় রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা উচিত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের উচিত তাদের আশ্রয় দেওয়া। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন মেনেই আমরা সব কিছু করব। কিন্তু কয়েক দিনে যেভাবে আমরা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাচ্ছি তা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের মতো আমাকেও বেদনাহত করছে।

পত্রিকায় দেখেছি- অসহায় এক রোহিঙ্গা পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে নৌকার ওপর দাঁড়িয়ে করজোড়ে আমাদের বিজিবির কাছে আশ্রয় ভিক্ষা করছে। হাতটি এমনভাবে উঠানো, তাতে মনে হচ্ছে- তিনি একই সঙ্গে আল্লাহ এবং তার বান্দাদের কাছে সাহায্য চাচ্ছেন। সাহায্য চাচ্ছেন মজলুম হিসেবে। মজলুমের সাহায্য করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। অন্যদিকে মজলুম ব্যক্তি যদি মুসলমান হন সে ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য না করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য মুসলমানের জন্য রহমতের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।

গত কয়েক দিনের ঘটনা পরম্পরা আমাকে এতটাই মনোকষ্ট দিচ্ছে যে, ঘুমাতে পারছি না ঠিকমতো। আপাতদৃষ্টিতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে, সরকার রোহিঙ্গাদের পুনরায় আশ্রয় দিতে চাচ্ছে না। বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে যত কথাই বলা হোক না কেন, আমার কিন্তু মনে পড়ছে ১৯৭১ সালে আমাদের দুরবস্থার কথা। কিভাবে প্রায় এক কোটি লোক বাস্তুহারা হয়ে আমরা ভারতসহ অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা আবারও আজকের রোহিঙ্গাদের মতো দেশান্তরী হয়েছিলেন।

অতি সাম্প্রতিককালে ইরাক যুদ্ধ ও লিবিয়ার সহিংস ঘটনার সময় লাখ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসছিল। আবার অনেকে সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়ে পরবর্তীতে লিবিয়া, ইরাক ও কুয়েতে ফিরে গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আমরা হঠাৎ করে এখন কি হয়ে গেলাম যে, অতীতের সব অসহায়ত্ব ভুলে গিয়ে মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করে কেমন যেন ঔদ্ধত্য ও অহঙ্কারী জাতি হিসেবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমাদের দেশের যে অবস্থা তাতে আল্লাহপাকের রহমত ও বরকত না থাকলে একদিনও চলতে পারতাম না। আমাদের সেক্যুলার অর্থমন্ত্রী জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন অথচ একটি বন্যা হলে এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতো না।

কট্টর কমিউনিস্ট নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রীর জন্য শিক্ষা খাতে সফলতা আসেনি। আমার মনে হয় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পরম ধর্মপরায়ণতা, বিবেকবোধ, মানবিক মূল্যবোধ এবং উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য আমরা গত সাড়ে তিনটি বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে খোদায়ী সাহায্য পাচ্ছি। যে আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছেন, নেয়ামত দিয়েছেন, কিয়ামতের দিন সেই আল্লাহর কাছে তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত, নির্যাতিত অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের সম্পর্কে কী জবাব দেবেন? অনেকে বলে থাকে, রোহিঙ্গারা এদেশে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করছে এবং বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমার প্রশ্ন, যে বাঙালি গুণধর কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিল কিংবা যে লোকটি তাকে বিদেশে যেতে সাহায্য করল তার সম্পর্কে আমরা কী বলব। কঙ্বাজার জেলার যে স্থানে রোহিঙ্গারা আছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং কুচক্রী মহল তাদের ব্যক্তিস্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অসহায়ত্বকে পুঁজি করে তাদের দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ করাচ্ছে।

ফলে দায় পড়ছে রোহিঙ্গাদের ওপর এবং ফায়দা লুটছে অপরাধী চক্র। প্রশাসন ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানুক কঙ্বাজারের এসপি হিসেবে পোস্টিং নিতে কত টাকা লাগে? সাধারণ বাঙালিদের দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচার করলে কত খরচ পড়ে এবং রোহিঙ্গাদের দিয়ে করালে কত খরচ পড়ে। অন্যদিকে যে সব রোহিঙ্গা মেয়েকে দিয়ে অপরাধীরা পতিতাবৃত্তি করাচ্ছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিলে বিবেকবান মানুষ আতঙ্কে শিহরিত হবেন। আমার কথা হলো, মূল সমস্যাকে পাশ কাঠিয়ে কেবল রোহিঙ্গাদের অপরাধী বানানোর চেষ্টা বাদ দিতে হবে। ইতিহাসের দায় বলে একটি প্রবাদবাক্য চালু আছে।

সময়ের প্রয়োজনে প্রত্যেক ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ইতিহাসের দায় মেটাতে হয়। যারা এই দায় মেটাতে ব্যর্থ হয় তারা কখনো সফলতার মুখ দেখে না, কিংবা তারা যদি সফলতার স্বর্ণশিখরেও থাকেন সে ক্ষেত্রে ইতিহাসের দায় না মেটানোর অপরাধে অচিরেই তাদের পতন নেমে আসে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গারা আজ আমাদের আশ্রয়প্রার্থী। অথচ ইতিহাসের সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় এই আরাকানি মুসলমানরা আমাদের সাহায্য করে আসছেন। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি আলাউল আরাকান রাজসভার সভাকবি ছিলেন।

এখানে বসেই তিনি হিন্দি কবি মালিক মোহাম্মদ জায়সীর পদুমাবৎ অবলম্বনে পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। বাংলা ভাষার গবেষকরা সবাই একমত যে, আরাকান রাজসভাতেই বাংলা ভাষার নব উৎকর্ষের সূচনা হয়েছিল। পরবর্তী ঘটনা সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়কালের। সম্রাট শাহজাহানের পুত্রদের মধ্যে যখন ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ শুরু হলো, বড় পুত্র দারা সপরিবারে এই বাংলায় আশ্রয় নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন অকৃতজ্ঞ বাংলার শাসক ও অভিজাত ব্যক্তিবর্গ তাকে আশ্রয় না দিলে তিনি আরাকানে চলে গিয়েছিলেন।

তৎকালীন মগরাজা রাজপুত্র দারার কন্যাকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিলে দারার সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে এই রোহিঙ্গা মুসলমানরাই সে দিন মুসলমান রাজকন্যার সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। যদিও তারা সফল হননি। কিন্তু তাদের সাহস, সহমর্মিতা ও মুসলমান হিসেবে আত্দমর্যাদা ইতিহাসে সোনার হরফে লেখা আছে। সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে আমাদের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা আরাকানি মগদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।

ওই অঞ্চলের জনজীবনে আরাকানি ডাকাতদের অত্যাচারের মূর্তিমান আতঙ্ক এখনো শরীরে কাঁপন ধরায়। বাংলার নবাব তখন শায়েস্তা খান। তিনি তার পুত্র বুজুর্গ উমেদ খানকে চট্টগ্রামের শাসক হিসেবে পাঠালেন মগ জলদস্যুদের দমনের জন্য। বুজুর্গ উমেদ খান সেই সময়ে আরাকানি রোহিঙ্গা মুসলমানদের কূটনৈতিক এবং সামরিক সহযোগিতায় আরাকানি জলদস্যুদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছিলেন। ইতিহাসে আমাদের অনেক দেনা রয়েছে আরাকানের মুসলমানদের কাছে।

আমরা এখন পর্যন্ত তাদের সেই ঋণ শোধ করতে পারিনি। ইতিহাসের নির্মম পথপরিক্রমায় আমাদের সেই পাওনাদাররা তাদের পাওনা দাবি না করে মানবিক সাহায্য চাচ্ছে। ভিক্ষুকের মতো হাত বাড়াচ্ছে আর আমরা যদি তাদের প্রতি সাহায্যের হাত না বাড়াই সে ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর লানত থেকে এ জাতিকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। সংবিধানে আমরা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযুক্ত করেছি। রাষ্ট্রধর্মও আমাদের ইসলাম।

কাজেই মুসলিম মিল্লাতের ওপর আমাদের একটি দায়িত্ব রয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে এই দায়িত্ব আমরা কিছুতেই এড়াতে পারি না। অধিকন্তু এ দেশের শতকরা ৯০ জনই মুসলমান। এই বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অংশ ধর্মের ব্যাপারে প্রচণ্ড অনুভূতিপ্রবণ এবং তারা প্রত্যেকেই এ ব্যাপারে ধর্মীয় নেতাদের নির্দেশনায় চলে। আমাদের ধর্মীয় নেতারা আবার জনগণের মতো সরল প্রকৃতির নন।

তাদের অনেকে ধর্মান্ধ, স্বার্থপর, মতলববাজ এবং রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষী। জামায়াতে ইসলামীর মতো কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলও রয়েছে। সরকার যদি রোহিঙ্গা ইস্যুটি চমৎকারভাবে সমাধান করতে না পারে সে ক্ষেত্রে এই ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো এর পুরো ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং আমাদের প্রধান বিরোধী দল সঙ্গত কারণেই এ ক্ষেত্রে ইন্ধন জোগাবে। ইতোমধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মসজিদে মসজিদে হুজুররা খুতবা দিয়ে এদেশের জনগণকে সরকারের প্রতি বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। গত শুক্রবার জুমার দিনে বায়তুল মোকাররম এলাকাসহ অন্যান্য এলাকা ছিল হাজার হাজার মুসলি্লর স্লোগানে উত্তপ্ত।

সবার দাবি সীমান্ত খুলে দেওয়া হোক। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হোক। তারা বিশ্রী ভাষায় সরকারের সমালোচনা করছিল এবং অকথ্য ভাষায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে গালাগাল করছিল। শনিবার দিন লক্ষ্য করলাম, অসংখ্য ভুঁইফোড় সংগঠন প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করছে এবং সারা দিন ওই এলাকা ছিল উত্তপ্ত। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে সরকারবিরোধীরা একটি প্রধান ইস্যু বানানোর চেষ্টা করবে।

কেননা এ মুহূর্তে তাদের হাতে তেমন কোনো ইস্যু নেই। আমার বক্তব্য হলো, সরকার কেন তাদের বিরোধীদের এ সুযোগ দেবে, যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা যায়। সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন এবং সাংবাদিকদের কাছে সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জনগণ এখনো সরকারি পদক্ষেপে আশ্বস্ত হতে পারেনি। জনগণ চাচ্ছে সার্বিক মানবিক বিবেচনায় আংশিক বা খণ্ডিতভাবে হলেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান করা হোক।

পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি, আমাদের বিজিবি আশ্রয়ের আশায় আগত রোহিঙ্গাদের ফেরত দিচ্ছে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে তাদের খাবার, পানীয় এবং জ্বালানি তেল দিচ্ছে। এটি অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। অন্যদিকে কয়েকটি পরিবার উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে আমাদের সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসে আশ্রয় পেয়েছে। প্রশাসন তাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে হয়তো সুবিধামতো সময়ে আরাকানে ফেরত পাঠাবে।

আমার অভিমত হলো, সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আপদকালীন আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে পারে, যা হবে একেবারেই অস্থায়ী এবং একই সঙ্গে সাময়িক। আরাকানের পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেই সবাইকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য সংস্থার মাধ্যমে। ফলে একদিকে যেমন আমরা জাতিসংঘের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারব, অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না দেওয়ার একটি চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারব। লেখার পাদটীকায় আবার ইতিহাসের একটি উদাহরণে ফিরে যাচ্ছি। প্রত্যেক জাতির মধ্যেই একটি আত্দার টান থাকতে হয়।

আত্দার টান না থাকলে সেই জাতি কখনো মর্যাদার আসনে নিজেদের বসাতে পারে না। আজকের মুসলমানদের পারস্পরিক মমত্ববোধের অভাব এবং রাষ্ট্রগুলোর অন্তর্দ্বন্দ্ব আমাদের সব দুর্দশার মূল কারণ। অথচ আমরা এককালে এমন ছিলাম না। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে একজন মুসলমান নাগরিক বিপদগ্রস্ত হলে রাজা বাদশারা ঝাঁপিয়ে পড়তেন। স্পেনের মুসলমানরা যখন বিপদগ্রস্ত হয়ে পাশর্্ববর্তী মরক্কোর বাদশাহ ইউসুফ বিন তাশকিনের সাহায্য চাইলেন তখন তিনি কালবিলম্ব না করে স্পেনের মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য সে দেশে উপস্থিত হয়েছিলেন।

একইভাবে ষষ্ঠ শতাব্দীতে শ্রীলংকায় বসবাসরত একটি মুসলিম পরিবার যাত্রাপথে সিন্ধুর দেবলবন্দরে সিন্ধুরাজ দাহিদের সৈন্যদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন এবং কারারুদ্ধ হন। সেই কারাগারের অভ্যন্তর থেকে একটি কিশোরী মেয়ে তখনকার ইরাকের উমাইয়া শাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সাহায্য চেয়ে পত্র লেখেন। হাজ্জাজ সিন্ধু রাজের কাছে জবাব চান এবং জবাব সম্মানজনক না হওয়ায় তিনি সিন্ধু অভিযানের জন্য সেনাপতি মুহম্মদ বিন কাশিমকে পাঠান। পরবর্তী ইতিহাস সবারই জানা। কাজেই ইতিহাসের আলোকে দেশের কর্তাব্যক্তিদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমরা কি সেই মুসলমান জাতি এবং আমাদের কাছে যারা সাহায্য চাচ্ছে তারাও কি মুসলমান? View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।