আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযোদ্ধা বীরউত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ!!!!!!!

ভালোবাসা ভালোবাসি। ইতিহাস আমাদের অনেককেই চিনিয়েছে। আমরা জেনেছি মেজর জিয়া, কর্নেল তাহের, জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে। কিন্তু একজন সবসময়ই উপেক্ষিত থেকেছেন তিনি হলেন মেজর জেনেরেল খালেদ মোশাররফ। আমার এই জীবনে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক যত বই পড়েছি কোথাও এই মানুষটা সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয়নি।

তাকে ৭ই নভেম্বর, ১৯৭৫ সালে খুন করা হয়। খুন করেন ক্যাপ্টেন আসাদ এবং ক্যাপ্টেন জলিল, যারা খালেদ মোশাররফের অত্যন্ত পছন্দের মানুষ ছিলেন। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন আসাদকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকেও বাঁচিয়েছিলেন। এই নির্ভীক মানুষটি মেজর হুদাকে বলেছিলেন, সাধারণ সৈনিকেরা কিছুক্ষণের মাঝেই আমাদের হত্যা করবে। তাদের কাছে জীবন ভিক্ষা করে নিজেকে ছোট করবেনা।

যখন তাকে গুলি করা হয় তিনি নির্বিকার ভঙ্গিতে সিগারেট টানছিলেন!! বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়কদের বিরোধিতা তিনিই করেছিলেন। মেজর ফারুক, মেজর রশিদ সহ আরও কিছু অফিসার দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন খালেদ মোশাররফের কারনেই। মেজর রশিদ চেয়েছিলেন দেশকে পেঙ্গুইন মুক্ত করতে সে লক্ষ্যেই ক্যাপ্টেন মোসলেম কে দিয়ে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু খুন হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট হন শ্বেত সর্প খন্দকার মোশতাক। রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্যেই খালেদ মোশাররফ সেনাপ্রধান হন, তিনি কখনোই রক্তপাত চাননি কিন্তু শ্বেত সর্প খন্দকার মোশতাককে নিজ হাতে খুন করতে চেয়েছিলেন!!! বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়কদের মধ্যে তিনিও অন্যতম।

তাকে কেন খুন হতে হল?? মেজর জিয়া তখন বন্দী। খালেদ মোশাররফই তাকে বন্দী করেন। মুক্তির জন্য তিনি বন্ধু কর্নেল তাহেরের সাহায্য চান। কর্নেল তাকে সাহায্য করেন সিপাহী আন্দোলনের মাধ্যমে। মূলত এই সিপাহী আন্দোলনের বলীই হলেন খালেদ মোশাররফ।

মেজর জিয়া সেনাপ্রধান হয়ে দৃশ্যপটে চলে আসেন। পরবর্তীতে বন্ধু কর্নেল তাহেরকেও ফাঁসীতে ঝোলান। যাই হোক আমার মূল বক্তব্য খালেদ মোশাররফকে ঘিরেই। এই অকুতোভয় বীর সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। তার উত্থানে কোন রক্তের দাগ ছিলোনা।

সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনার সপ্নে তিনি বিভোর ছিলেন। অথচ এই মানুষটা সবার মাঝ থেকে একরকম হারিয়ে গেছেন, অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা বীরউত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ ক্যান্টনমেন্টের রাস্তায় খেজুরতলায় অপমানে অবহেলায় শুয়ে রয়েছেন। #দেয়াল#, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস টি পড়ার অনুরোধ রইলো। আর কিছু না হোক অন্তত রেফারেন্স হিসেবে যে বইগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো পড়ার আকুলতা বাড়বে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.