আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জানুয়ারীর ক্যু নাটকের পর সেনা বাহিনী ধংসের আওয়ামী নতুন ফরমূলা।

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত সেনাবাহিনীকে পূর্ব ও পশ্চিম কমান্ডে ভাগের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং শক্তিশালী করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে বলে বুধবার সংসদে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার। বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এ কে খন্দকার সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আসমা জেরীন ঝুমুর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরে এ কে খন্দকার বলেন, “স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় সেনাবাহিনীর সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সেনাবাহিনীর বিদ্যমান আদেশ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ইস্টার্ন কমান্ড এবং ওয়েস্টার্ন কমান্ডে বিন্যস্তকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ” সেনা বাহিনীকে দুই ভাগ করা হচ্ছে। ব্যাপারটা দেশের জন্য কত টুকু মঙ্গলজনক বুঝতে পারছিনা।

সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিভক্তির প্রয়োজন কি?সেনা বাহিনী মুলত বহিঃশত্রু আক্রমন থেকে রক্ষার জন্যই রাখা হয়। বাংলাদেশের তিনদিকেই ভারত বেষ্টিত। মায়ানমারের সাথে আমাদের সিমান্ত ২০০ কিলোমিটারের ও কম। তার মানে দাঁড়ায় আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশ। (প্রতিবেশিদের সাথে সম্পর্ক খুব ভাল না হলেও আপাত যুদ্ধের অনেক দূরে আছে বাংলাদেশ।

) যদি আমাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেশী থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিরাপত্তার আশঙ্কা করি তাহলে সেনা বাহিনীকে সে ভাবে সাজানো যেতে পারে। কিনবা আমাদের ভু প্রকৃতি ভিন্ন হলেও ভু প্রকৃতি অনুসারে সেনা বাহিনী সাজানো যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে কি প্রয়োজন পড়ল কমান্ড বিভক্ত করার। আমাদের জাতীয় ঐক্যের একটা প্রতীক ছিল সেনা বাহিনী। তাকে কমান্ড ভাগ করার নামে প্রত্যেকের সহযোগিতার পরিবর্তে মুখোমুখি দাড় করানো হয় তার কি হবে? আমরা ঘর পোড়া গরুর মত।

সেই ১৭৫৭ সালে মীর জাফর তার কমাণ্ডে থাকা সেনা বাহিনী ব্যাবহার করে নি। ঐতিহাসিক বিশ্লেষনে দেখা যায় সে সময়ে কমান্ড যদি এক হত তাহলে তার বিশ্বাসঘাতকতা সনাক্ত করা সহজ হত। গত ২৫০ বছরে বিশ্বাস ঘাতকের পরিমান কমেছে বলে মনে হয় না। এমনিতেই এদেশের জনগন ভারত পন্থি- পাকিস্থান পন্থীর চাপে নিরপেক্ষরা বার্গার চিজে পরিনত হয়েছে। খোদা না করুক আমাদের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অদূর ভবিষ্যতে সেনা বাহিনীর দুই কমান্ড যদি দুই পক্ষের স্বার্থে নিজেদের দাড় করায় তার পরিনতি কি হবে???? আমি গুছিয়ে লিখতে জানি না।

কিন্তু সাধারণ ব্লগারদের মতামত কি জানার খুব ইচ্ছা আছে। কারন আমার একটা আশঙ্কা আছে............। কেউ কি এখানে আশার কথা শুনাতে পারেন???  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.