আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সানাই ( প্রথম কথোপকথন )

(অনির্বাণ আর অরুন্ধতী !আমার লেখার স্বপ্নের দুই চরিত্র । এরা অনেকবার ঘুরে ফিরে কবিতায় এসেছে । কিন্তু ওদের শুরু এই লেখা থেকে । আমাদের কবি বন্ধু অন্য দিন এর ভাবনায় প্রথম ওদের জন্ম। সেই থেকে এই লেখা শুরু ।

মাঝে ব্যস্ততার কারণে এটা অসম্পূর্ণ ছিলো । অবশেষে আজ তা পূর্ণতা পেলো । আমি অন্য দিনের কাছে কৃতজ্ঞ । ও না বললে এই লেখা তা হতো না। এটা আমাদের যৌথ লেখা।

তবে অন্য দিন লিখেছে আমার চেয়ে বেশি । বন্ধুরা আপনারা যেভাবে গভীর ভালোবাসায় গ্রহণ করেছিলেন আমাদের অনু আর অরু কে । আশা করছি তেমনি ভালোবাসা পাবে ওদের এই কথোপকথন । অনেক শুভেচ্ছা সবাইকে । ) সানাই ; এই , কি ঘরের মধ্যে বসে থাকো ! চলো তো এখন ছাদে যাবে , আজ আমায় তারাদের নাম শেখাবে ।

- আর রে !তুমি থাকো তোমার তারা নিয়ে, কাল অফিসে প্রোজেক্ট জমা না দিলে তোমার ঐ তারাগুলো নিয়ে পুরো আকাশটা আমার মাথার ওপর ভেঙে পড়বে। ; তুমি এমন কেন ! ধ্যাত ! কি হয় গেলে ? চলো না একটু ছাদে , আমার হাত ধরো । একবারের জন্যও হাত ছাড়বে না কিন্তু । - এই হয়েছে এক মুশকিল ! তোমরা মেয়েরা না , অদ্ভুত ! ; মেয়ে'রা অদ্ভুত মানে ! কয়টা মেয়ে তোমার কাছে তারা দেখতে চেয়েছে ! আর শোন , আমি অদ্ভুত ! আমি ভূত ! আমি সব ! তোমার কি ? যাবে কিনা বলো ? - ক'টা মেয়ে, তাতো গুনে দেখিনি। আর ভূতের সাথে ছাদে যাব, তুমি ক্ষেপেছো! ; কি গুণে দেখোনি মানে ! ভালো হবে না বলে দিচ্ছি ! যেও না আমার সাথে ছাদে , থাকো একা ।

আমি একাই যেতে পারি । খবরদার ! পিছনে পিছনে আসবে না । - অনির্বান যাবে কোনো মেয়ের পেছনে! আশ্চর্য!! রাবিশ ! কি করে ভাবলে তুমি ! ; ওকে , আমি একাই যাবো । তারা দেখবো ,একটা তারায় আমি ঘর বানাবো ,তোমার আমন্ত্রণ রইলো । এসো বেড়াতে ।

- যাও । আচ্ছা ,ওখানে নদী আছে , কাশবন ? মেঘ চমকালে ভয় পেয়ে কার বুকে মুখ লুকাবে? ; আমার কাউকে লাগবে না , একাই থাকবো। ভয় পেলে তোমার কোন সমস্যা ? আমি কি হই তোমার ! কিচ্ছু না ! - তুমি হচ্ছ আমার ক্যানভাস , আমার যা ইচ্ছে তাই আঁকি। তুমি যেতে পার, কিন্তু মাঝ রাত্তিরে ঘুম না পেলে আমি কার সাথে কথা বলবো বলে যেও। ; থাক , হয়েছে ।

লাগবে না । মন ভোলানো কথার কোন দরকার নাই। ভালোবাসনা ছাই ! আজ আমি ক্যাসিওপিয়ায় বেড়াবো ,সপ্তর্ষির সাথে । আমায় পাহারা দেবে কালপুরুষ। এখন ভেবে দেখো আমায় নিয়ে যাবে , না একাই যাবো ওদের কাছে ? - হাহাহা ! তুমি কালপুরুষের কাছেই যাও ।

আমি আজ পুরুষ, কালও পুরুষ, পরশু এবং আমৃত্যু তাই থাকব, শুধু কালপুরুষ হয়ে থাকতে চাইনা । ; তুমি সব সময় এমন জ্বালাও কেন ! আমায় কষ্ট দিতে খুব বেশি ভালো লাগে ! কেন ভালোবাসনা আমায় ! - ওরে! ওরে !ওরে! রাগ করলে! ভালোবাসিনা ! আচ্ছা তোমার ভালবাসার সংজ্ঞাটা কি? ; ভালোবাসার আবার সংজ্ঞা কি ? তুমি ভালোবাসবে আমি বুঝবো । কিছুই তো বুঝি না । ভালোবাসলে এমন জ্বালাতে পারতে ! আমায় দেখে বোঝনা কিভাবে ভালোবাসতে হয় ? কিভাবে কাছে আসতে হয় ? - কই তোমায় জ্বলতে দেখিনিতো ! কি রঙের শিখা তোমার ? লাল, হলুদ নাকি নীলচে? ; ভালো হচ্ছে না কিন্তু ! আমি রঙধনু ! তবে তোমার জন্য না । যে আমায় ভালোবাসবে তার জন্য আমি পৃথিবীর সব রঙ হয়ে যাবো ।

- যাক বাঁচলাম,রঙধনু খুব সাময়িক, আমার চাইনা। ; তুমি আমার সাথে কথা বলবে না । একদম না । কোনদিন না । - ঠিক আছে , শুধু তুমি বলো আমি শুনবো।

; তোমার মতো পাজি ছেলের সাথে কোন কথাই নেই । - বেশতো , কিন্ত কার মতো পাজি হলে তবে তুমি কথা বলবে তা বলে যাও, আছে নাকি কেউ? ; আবার ! আবার ! ধ্যাত ! সরো তো ,যাও এখান থেকে , একদম কাছে আসবে না । যাও প্লিজ । - যাও, বুক চিরে বেরিয়ে যাও, আমি বাঁধা দেবো না। ; যাবোই তো , বসে থাকবো নাকি ? তোমার কাছে থাকা আর একটা কলাগাছের কাছে থাকা এক ।

কলাগাছ তোমার চেয়ে ভালো । অন্তত ঝগড়া করবে না । - কলাগাছ তো স্ত্রী লিঙ্গ, আমি কি করে কলা গাছ হই। হতে পারি অর্জুন ,যদি তুমি চাও। ; অর্জুন ! কিন্তু আমি যে অনেক মায়া চাই , অনেক ভালোবাসা , অনেক আদর ।

অর্জুন হলে এমন দেবে আমায় ? চোখের আদর , ভাবনার আদর , খুব রাতে খুব ভাঙার আদর ! দেবে ? - এই , না না আমি মহাভারতের অর্জুন হবো না, কক্ষনো না, আমি তোমাকে কারো সাথে ভাগাভাগি করতে পারবো না। আমি নেহাত অর্জুন গাছ হতে পারি। ; তারপর ? - তারপর আমার ছায়ায় তোমায় বসতে দিতে পারি, এইতো। ; না , আমি একটা দোলনা বাঁধবো তোমার ডালে । তারপর নিঝুম দুপুরে চুপ করে দুলবো , তুমি গান শোনাবে ।

আমি সম্মোহিত হয়ে যাবো । একসময় আমি একটা লতানো গাছ হয়ে যাবো । অর্জুন বৃক্ষ , ভালোবাসতে তো শিখলে না ! আমি শেখাবো কি করে ভালোবাসতে হয় । - ভালবাসা , ভালবাসা করে খুব শোরগোল হচ্ছে আজকাল, আরে দেখো দেখো আমি কত বড় প্রেমিক ! উন্মাদ লোকজন। ; ভালোবাসার নিয়মই যে এমন ।

তুমি এসব কি বুঝবে ! বুঝলে তো আমি বেঁচেই যেতাম ! ভালোবেসে পাগল না হলে সে কিসের ভালোবাসা ! -অরু , অরু এসব বাদ দাও, প্রান ভরে নিশ্বাস নাও, সুস্থ ভাবে বাঁচ, এছাড়াও অনেক রঙ্গীন এই পৃথিবী, চারদিকে তাকিয়ে দেখো। ; কি বাদ দেবো ? কবে কবে তুমি আমার সব হয়ে গেছো ! বাদ দিলে তো নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যেতে হয় ! আমার রঙধনু সাদাকালো হয়ে যায় ! সব অসুখ ভিড় করে সুখের উঠোনে । কি বাদ দেবো বলো ? -ওই ভালটা রাখ, বাসাটা বাদ। আমি বেদুঈন, ঘরে মন টেকেনা, তাই ভালবাসার খোঁজ আমার কাছে নেই। ;আচ্ছা যাও বেদুঈন ।

তোমার মতো তুমি থাকো , একটা ছায়ামেঘ জেনো সারাক্ষণ ছায়া হয়ে থাকবে তোমার সাথে । তখন কি বেদুঈনের একবারও গৃহী হবার সাধ হবে না ? সেই দিনটা আমার । - আহ !হচ্ছেটা কি বলতো!! প্রেম? আচছা ,তবে প্রেম তোমাকে দিলেম ছুটি, কষ্টগুলো আমার থাক। ; থাক , তোমায় কিছুই দিতে হবে না । খুব বোকার মতো ভালোবাসা যেন কেউ না বাসে ।

ভালোবাসার কষ্ট বোঝার দুঃখ কেউ যেন না পায় । -এই এই কি হল, রাগছো কেন? ; না রে । রাগ শব্দটা থেকে তোমায় মুক্তি দিয়েছি আগেই , আমি চাইলেও রাগ হতে পারি না । মাঝে মাঝে খুব চেষ্টা করেছি । হয় না ! একটা মেঘ কেবল আমার চোখ ছুঁয়ে যায় ।

সে তো বুঝবে না অনু । অরুন্ধতী'রা রাগ হতে পারে না । - হাহাহা !সে ঠিক আছে কিন্তু তোমার মুখটা আরো লালচে হয়েছে কেন? ; ও কিছু না । বাব্বাহ !!!! তুমি আমার মুখ দেখলে !!! কতদিন পর খেয়াল করলে বলো তো । আমি মাঝে মাঝে আয়নায় নিজেকে দেখি ।

এতোই কি অসুন্দর আমি ! কেন একবারও তুমি আমার দিকে তাকাও না ! বলতো , সেদিন আমি কি রঙের টিপ পড়েছিলাম ? পারবে না জানি । তারপরও বোকার মতো সাজি আমি । কাজল দেই , ফুল পরি চুলে । একবার যদি আমায় দেখো । একবার ভুল করে বলো , বাহ ! তোমায় তো দারুণ লাগছে ! -আরে তুমি জানো না আমি তোমায় নিত্য দেখি , চোখ দিয়ে না মন দিয়ে ।

ওসব তুচ্ছ টিপ কিম্বা কাজল হয়তো আমি দেখিনা , কিন্তু তোমাকে দেখি অনেক গভীরে গিয়ে । ;কি জানি রে । অনু ,আমি খুব সাধারণ মেয়ে । তোমার মতো ভাবতে পারি না। আমি তোমার হাত ধরে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে চাই ।

রঙধনু আকাশ আমি তোমার চোখে দেখতে চাই । কর্ণফুলীর পাড়ে আমি তোমার সাথে বসে থাকবো , তোমার অজান্তে একটু ছোঁবো । জোছনায় তুমি গান করবে , আমি তোমার গায়ে হেলান দিয়ে সে সুরে স্বপ্ন দেখবো । তুমি হয়তো বলবে , এ আমার বাড়াবাড়ি । আমি এমনই , তোমার অরু ভালোবাসার এই বাড়াবাড়ির জন্য সব ছাড়তে পারে ।

-হাহাহা! হিন্দি সিনেমার লোকগুলো এই তোমাদের কারণেই এখনো করে খাচ্ছে । অতো ভালো বাসতে হবেনা, কিছু খারাপও বাসো। ;খারাপ তো বাসবোই । তোমার কি ধারণা সারাজীবন তোমার মতো ফাজিল কে এতো বেশি ভালবাসবো ? আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না । আমি কে ! ধ্যাত ! বললে না কি ভাবছিলে ? নিশ্চয়ই আমাকে না ! সে ভাগ্যি কি আর হবে ! -ভাবছিলাম এবারের বাজেটে ভালবাসার ওপর ট্যাক্স ধার্য হলো না কেন? আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বোধহয় জানেনি না যে তোমাদের কাছে এই সম্পদটা কি অপরিসীম আছে, আর তোমরা কি নিঃসংকোচে তা বিলিয়ে দিচ্ছ।

; অনু !!! চড় খাবা এবার ! অনেক্ষন ধরে সহ্য করে যাচ্ছি কিন্তু ! কেন যে তোমাকে ভালোবাসতে গেলাম ! উফ ! তুমি আমার সাথে একটা কথাও বলবে না ! এত্ত ভালো মুড এ ছিলাম !দিলে তো মেজাজ খারাপ করে ! অসহ্য ! -সর্বনাশ! গায়ে হাত তুলবে নাকি, আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হবো ! কেউ কি আছেন ভাই আশেপাশে, এখানে অবলা পুরুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে ! বাঁচাও ,বাঁচাও ! ; পুরুষ আবার অবলা হয় কি করে ! হাহাহাহাহা । কেউ বাঁচাবে না , পাজিদের কেউ বাঁচায় না । সত্যি সত্যি মারা উচিত তোমাকে । ভালোবাসা তো বুঝলে না ! এটা যদি বোঝো ! -আচ্ছা মেরে ফেলো, মেরে একটা অনু মহল বানিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থেকো । ওহ !আবার ওইসব ভালোবাসাবাসি, তাজ মহল না ছাই, শাজাহান লোকটা মোটেও সুবিধার ছিলো না।

; মেরে ফেললে আমি কার সাথে ঝগড়া করবো !মহল বানিয়ে তাকিয়ে থাকা অবশ্য ভালো বুদ্ধি ! তাহলে তখন আমি আমার ইচ্ছেমতো ভালোবাসবো আমার অনুকে । আর দুষ্টু অনু কোন উত্তর দিতে পারবে না ফাজিলের মতো ! দারুণ আইডিয়া ! হাহাহাহা । শাজাহান আবার কি করলেন ? -ওহে , শাজাহানের শিষ্য, আমি চিনি তোমাদের। শোনো তোমাদের গুরু শাজাহানের ভালোবাসার মহত্ব – যে লোকগুলো ওই মহল বানিয়েছিল তাদের আগুল কেটে দিয়েছিল আর ওই মহলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কিন্তু আরেকটা বিয়েও সেরে নিয়েছিল, এই হচ্ছে মহান ভালবাসা ! ; হুম। এইটা খুব খারাপ করেছিলেন উনি ।

আর একটা বিয়ে করেছিলেন নাকি ! বেশ রোম্যান্টিক ছিলেন তো ! আমি এতো পারবো না । তবে কাউকে হয়তো ভালোবাসতে পারি ! তুমি যা শুরু করছো ! আমার কি দোষ বলো ? কিছু কাজ বাধ্য হয়ে করতে হয় ! বুঝলেন সাহেব ? -তুমি আরেকটা বিয়ে করবে? একদম ঘাড় মটকে দেবো । খবরদার ! ; আচ্ছা , তুমি এতো অধিকার নিয়ে কথা বলো কি করে অনির্বাণ! - আমার কিছু গোপন ভালবাসা সযত্নে তুলে রেখেছি তোমার বুকের গভীরে, ওটা আমার সেফ ডিপোজিট। আজীবন তাই নিশ্চিত। আমি সুদখোর প্রেমিক।

: আর কত মিথ্যে বলবে! - মিথ্যেই তো সব! সত্য কোথায়! এই যে বৃষ্টি হচ্ছে এটা কি সত্য! না অরু , তুমি ভাবছো বলেই শুধু। আমি থেমে যাবো একদিন দেখে নিও। ; যাহ! এ কি কথা? - যেদিন আমার মিথ্যেগুলো সত্য মনে হবে, সেদিন আমি নির্ঘাত থেমে যাবো। ; এসব কি কথা! আশ্চর্য! - রঙিন বেলুনে আমি মন ভোলাই না, আমি সঠিক বাটখারায় মেপে ন্যায্য মূল্যে প্রেম দেবো। ; আর প্রেম না পেলে? - আমি ভূমিহীন থাকতে চাইনা, তোমার মনের দু-ইঞ্চি জমি অন্তত আমার চাই।

চাষাবাদ করবো সুখের, ওইটুকুও পাবো না! এমন পাপ কি এ জন্মে আমি সত্যি করেছি! ; ওহ !অনু ! তুমি থামবে? - আমি সত্যিই থেমে যাবো। একটা প্রেম পেলে আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা। ; অনির্বান , আমি কি ভীষণভাবে তোমাকে চাই তা তুমি জানো, জানো না? আমার বুকের ভেতরে অনেক পাথর, আমিই জমিয়েছি। সেই পাথরের ফাঁক ফোকরে অনেক স্মৃতি লুকিয়ে থাকে। ওই পাথর সরালে খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছুই নাই।

- অরুন্ধতী, আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি, এর বেশি পারেনি মানুষ। আমি নিপুন ব্লটিং পেপার, সব ব্যাথা শুষে নেবো। মনের একটু কোনে জায়গা দিও। একদিন আমি পুরো মনটাই কিনে নেবো। ওই বিরান ভূমিতে গাছ লাগাবো – চুম্বনের।

বৃষ্টিতে ভিজবে অরু ? ;তোমার সাথে ভিজবো। -আমার সাথে! সত্যি! আমি কিন্তু একটু ডাকাত আছি। ;আমার সর্বস্ব সেই কখন তোমার নামে সপে দিয়েছি, লুটবার দরকার নেই। -হাহাহা এমনি পেলে নেবো কেন? তবে ,লুটে নেবার মজাই কিন্তু আলাদা। ;তুমি একটা যাচ্ছে তাই ! -হায় কপাল !ওটাই তুমি চাও।

; তুমি তুমি তুমি.........বাঁদর, দস্যু আরো অনেক কিছু। ;হুম, ঠিক তাই। -হায় ! কি ভাগ্য তোমার ! ;মানে? -ওই যে কতো রূপ নিয়ে আমি তোমার কাছে আসি, একজনকে ভালোবেসে তুমি কতজনকে একসাথে পাচ্ছ – অনির্বান, বাঁদর, দস্যু আরো কতো কি! ;ওহ ,অসহ্য! -কি? গরম? ;না, তুমি। -আচ্ছা , ঠিক আছে চলো গরম আর আমাকে দুজনকেই একসাথে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে আনি। ;আমিতো বলেছি আমি তোমার সাথে ভিজবো।

-আহা ! আমি তো না বলিনি । এখন ফোনটা রাখো । আকাশের নীচে যাও , জেনে নিও আমিও আছি তোমার সাথেই । যে আকাশ আমায় ভেজাবে তাতে ভাগ আছে তোমারো। ;অনু, আমি তোমার কাছে যাবো।

-হুম ,অরু আমার একটা কথা শুনবে? ;কি? -চোখ বন্ধ করো, এবার একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নাও, ডান হাতটা বুকে চেপে ধরো, কিছু টের পাচ্ছ? হুম , ওটাই আমি, তোমার সাথে তো আমি সব সময় আছি। শুধু শরীরটা এখানে। সাথে একটা সানাই এর শব্দ শুনতে পাও ? ;অনির্বাণ ! -হ্যাঁ , আমি । তোমার অনির্বাণ !  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।