আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ের সানাই স্তব্ধ ও দু’চাকায় স্বদেশ ভ্রমণ মুসার

ঘটনা : ০১ ২৪ বছরের টগবগে যুবক বিশ্বজিৎ দাস। অবিবাহিত। তার বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছিল। সে লক্ষ্যে ঘরবাড়ি সংস্কার করেন তার পিতা। সেই বিয়ের সানাই আর বাজলো না।

বিয়ের সানাই স্তব্ধ হয়ে গেল ছাত্রলীগের ধারালো চাপাতিতে। লাশ হয়ে ফিরতে হলো বাড়িতে। বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাস আকাশ বলেন, ছোট ভাইয়ের বিয়ের জন্য আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল। কয়েক জায়গায় কথাও বলেছিলাম। বিয়ের উদ্দেশে ঘরবাড়ির কাজ সংস্কার করা হয়।

একমাত্র বড় ভাই আকাশ বিবাহিত। তার ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বোন চন্দনা রানী দাস বিবাহিতা। ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে বিশ্বজিৎ। ৯ম শ্রেণীর বই কেনা হলেও নানা কারণে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি।

আকাশ তখন দু’টি টেইলার্সের মালিক। তিনি ১৯৯৭ সালে ঢাকা এসে টেইলার্সের দোকানে কাজ করতেন। অতিথি টেইলার্সে কাজ করেন ৬ বছর। টেইলার্সের মালিক টেইলার্স বিক্রি করে দিয়ে কলকাতা চলে গেলে আকাশ টেইলার্স কিনে নেন। এর কিছুদিন পর নিউ আমন্ত্রণ টেইলার্স কেনেন।

দু’টি টেইলার্স চালানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। কাজের লোক রাখলেও তারা চলে গিয়ে নিজেরা নতুন টেইলার্স দেয়। প্রায় ৭ বছর আগে বিশ্বজিৎকে ঢাকা নিয়ে আসেন আকাশ। নিউ আমন্ত্রণ টেইলার্স দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে বিশ্বজিতের ওপর। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নিউ আমন্ত্রণ টেইলার্স দেখাশোনা করেছেন বিশ্বজিৎ।

বিশ্বজিতের পিতা অনন্ত কুমার দাস ভোজেশ্বরের একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করেন। মা কল্পনা রানী দাস গৃহিণী। বিশ্বজিতের স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম ভোজেশ্বর। জেলা- শরীয়তপুরের নাড়িয়া। মানবজমিন ঘটনা : ০২ দু’চাকায় স্বদেশ ভ্রমণে রোববার লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এসেছেন দেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীম।

সাইকেল লাইফ ট্যুর বাংলাদেশ ২০১২-এর আওতায় একজন নারীসহ ২০ সফরসঙ্গীর মধ্যে ১৩ জনকে নিয়ে তিনি রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার তোরাবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌঁছেন। এসময় লক্ষ্মীপুর ও কমলনগর প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা তাদের অভিনন্দন জানান। ওই সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মাদককে না বলা ও আনন্দময় এডভেঞ্চার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারনা দিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মুসা ইব্রাহীম জানান, সাইকেলে দেশের ৫০টি জেলা ভ্রমণের লক্ষ্যে অভিযাত্রীদের নিয়ে তিনি গত ৩ ডিসেম্বর সফর শুরু করেন। শনিবার ঝালকাঠি-বরিশাল হয়ে ২৪তম জেলা হিসেবে তারা রোববার লক্ষ্মীপুর সফর করেছেন।

এ বিদ্যালয়ের মতো প্রতিদিন ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে তারা ওইসব সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছেন বলে তিনি জানান। [নতুন বার্তা প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, দুটি ঘটনা দুই ধরণের হল্ওে একটি আশার আরেকটি নিরাশার। আমরা চাই নিরাশা নয় আশাই আমাদের সামনে বয়ে যাবে এ প্রত্যাশা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।