আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

ভালো। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে এসেও দেশে মৌসুমী আবহাওয়ার কোন চিহ্ন নেই। দেখা নেই বৃষ্টিপাতেরও। দেশজুড়ে ৩৫ থেকে ৪০/৪২ ডিগ্রি তাপের প্রভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মধ্যে দু’এক পশলা বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টি হলেও তার পরিমান ছিল খুবই কম।

সোমবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৯ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। প্রায় দু’মাস ধরে তাপমাত্রার এই ধারাবাহিক বৃদ্ধিতে শহর ও গ্রামাঞ্চলের জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যে আকাশে সাদা ও কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা গেলেও বর্ষণ হচ্ছে না। বরং ছিটেফোটা বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিন্তু কোথাও টানা ভারি বর্ষণের দেখা নেই। এবার দিনে ও রাতে একই তাপমাত্রা বজায় থাকায় সাধারণ মানুষের কষ্ট, দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে গরমও কমছে না। প্রচণ্ড গরম ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। রাস্তায় বেরুলে যানজট যোগ করেছে দুর্ভোগের আরেক মাত্রা।

জ্যৈষ্ঠের খরতাপ ও প্রচণ্ড গরমে যানজটে আটকে থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বাসযাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। যাত্রীদের গায়ের সঙ্গে গা লেগে ঘামে ভিজে যাচ্ছে শরীর। রিকশাচালক, ঠেলাচালক ও মুটে শ্রমিকদেরও কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে যন্ত্রণায় ছটফট করে শিশুরা।

মধ্যরাতে ঘর্মাক্ত অবস্থায় জেগে উঠে দেখা যায় বিদ্যুৎ নেই। পাখা বন্ধ। এ আরেক ভোগান্তি। রাতে ভালো ঘুম হয় না। ঘুম গভীর হয় ভোর রাতে।

এ কারণে অনেকে সকাল ৮টা/৯টা পর্যন্ত ঘুমান। এরপর আবারও গরমের ভোগান্তি। এভাবেই চলছে সাধারণ মানুষের জীবন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৩২.৬ ও সর্বনিু ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪২ ও সর্বনিু ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে সর্বোচ্চ ৩৩.৩ ও সর্বনিু ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালে সর্বোচ্চ ৩৫.২ ও সর্বনিু ২৯.৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস এবং সিলেটে সর্বোচ্চ ২৫.৯ ও সর্বনিু ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলেছে, আজ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ, টাঙ্গাইল অঞ্চল, ফরিদপুর ও মাদারীপুর অঞ্চলে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।