আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গমগমে এই গরমে..



গমগমে এই গরমে.. এজি মাহমুদ ১. একটু পানি খেতে চাচ্ছিলাম.. ওহ, পানি সব শেষ হয়ে গেছে। একটু অপো করতে হবে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে পরিচিত যাকে পাচ্ছি তাকেই এই প্রশ্ন করে যাচ্ছি কিন্তু উত্তরের কোন হেরফের হচ্ছে না। ভয়াবহ বিচিত্র ব্যাপার।

টেবিলের জগে কিংবা কফির মগে কোথাও পানি নেই। আমি অবশ্য বুদ্ধি খাটিয়ে ফ্রিজটাকে খুলে দেখেছিলাম। সেখানে কিছু বুদ্ধিজীবি টাইপ বোতল পেয়ে গেলাম। মানে পরিপাটি হয়ে দাড়িয়ে আছে কিন্তু ভেতরটা একদম ফাঁকা। একটা পেটমোটা বোতলকে দেখে কেন যেন মনে হল ওটা দিয়ে পিটিয়ে কারও মাথা ফাটিয়ে দেই।

এসব এলোমেলো চিন্তা করতে করতে বোতলটা হাতে নিয়ে আমি কিভাবে যেন একটা রুমে ঢুকে পরলাম। ঢুকে দেখি, একগাদা পিচ্চি-কাচ্চি সেখানে বিশাল চেঁচামেচি করছে। আমিও কি ভেবে ওদের সাথে চেঁচামেচি শুরু করবো বলে ঠিক করলাম। খানিণ চিৎকার করার পর দেখি একটা মেয়ে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটা অবশ্য এতণ এই রুমে ছিল না।

কোথেকে যেন চলে এসেছে। মেয়েটা নাম শশা, শশাংক, শশধর বা শশী টাইপের কিছু একটা হবে। ওয়াটারলেস অবস্থায় ঠিক মনে করতে পারছিলাম না। আমি চিৎকার থামিয়ে মেয়েটাকে বলালাম, খুকি তুমি কি আমাকে একটু পানি খাওয়াতে পারবে ? মেয়েটা প্রায় ঝামটা দিয়ে আমার সামনে থেকে চলে গেল। আমি রীতিমতো চমকে উঠলাম।

সামান্য পানি খাওয়াতে বলেছি তাতেই এত রাগ ! ভাগ্যিস শরবত খাওয়াতে বলিনি। তাহলে তো গ্লাস দিয়ে পিটিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিত। একটুৃ পর দেখি একটা বিশাল হাতুরি নিয়ে মেয়েটা আমার দিকে আসছে। আমি চট করে সোফার একটা কুশন তুলে ঢাল তোলার ভঙ্গিতে সামনে বাড়িয়ে ধরলাম। একটু পর দেখি মেয়েটার হাতে হাতুড়ি নয় একটা ঝকঝকে পনিভর্তি কাচের জগ।

অন্যহাতে একটা গ্লাস। বুঝলাম, পানির অভাবে মরুভূমি ছাড়াই মরিচীকার কবলে পরে গেছি। মেয়েটা খুব যতœ করে গ্লাসে পানি ঢেলে আমার হাতে ধরিয়ে দিল। আমিও সেই পানি গটগট করে গলায় ঢেলে দিলাম। সাথে সাথেই আমার মুখ থেকে সমস্ত পানি বেড়িয়ে আমার শার্ট প্যান্ট ভিজে একাকার অবস্থা।

পানি অসম্ভব রকমের গরম। জিভ পুড়ে আশি টাকা প্লেটের হাফ কাবাব হয়ে গেল। আর আমি বোকার মতো কাচের গ্লাস হাতে নিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। ২. ইদানিং মানুষের গরম-টরম অনেকটাই কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে। নইলে এই গ্রীস্মের সময়েও কিছু কিছু মানুষকে দেখিছি গান গাইতে গাইতে সখীকে সাথে নিয়ে সূর্যস্নানে যেতে চাইছে।

ব্যাপারটা খুব একটা রহস্যজনক নয়। যেই হারে পানি সংকট দেখা দিচ্ছে তাতে করে পনির বিল বাঁচাতে সূর্যস্নানে না গিয়েও উপায় নেই। আজকে সূর্যস্নান শুরু হয়ে গেলে কালকে টিভিতে সূর্যশ্যাম্পুর অ্যাড দেখা যাবে। পরেরদিন দেখা যাবে সূর্যসাবান হাতে সূর্যসুন্দরি প্রতিযোগীতার লাইভ কনটেস্ট...বোঝাই যাচ্ছে সূর্য আসলেই অনেক গরম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.