আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্কার বিজয়ী ছবি নিয়ে পাকিস্তানে নয়া বিপত্তি

চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! পাকিস্তানের এসিড সন্ত্রাসের শিকার নারীদেরকে নিয়ে তৈরি প্রামাণ্য চিত্র সম্প্রতি অস্কার জয় করলেও নিজ দেশের প্রদর্শনীর সময় বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি দেশটির এসিড সন্ত্রাসের শিকার নারীদের ভয়, তাদের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরে তৈরি করা প্রামাণ্য চিত্রটি পাকিস্তানে প্রচার করা হলে তারা সমাজচ্যুত হতে পারেন। শারমিন ওয়াজেদ চিনয় এ বছর প্রথম পাকিস্তানি হিসাবে অস্কার জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এসিড হামলার শিকার হয়ে চেহারা ঝলসে যাওয়া নারীদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরার জন্য তিনি প্রশংসা কুড়ান। ৪০ মিনিটের এ প্রামাণ্য চিত্রে স্বামীর এসিড হামলায় বিকৃত হয়ে যাওয়া চেহারা ফিরে পেতে দুই নারী জাকিয়া ও রুখসানার লড়াই এবং তাদের সহায়তায় ব্রিটিশ প্লাস্টিক সার্জন মোহাম্মদ জাওয়াদের প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে।

খবর ইসলামাবাদ থেকে এএফপি | এসিড সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশন পাকিস্তান (এএসএফ)-এর সহায়তায় নির্মিত‘সেভিং ফেস’ নামের এ ফিল্মটি গত ফেব্রুয়ারিতে হলিউডে প্রামাণ্য চিত্র ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ কন্যা ‘অস্কার’ জেতার পর প্রথম দিকে বেশ আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায় দেশটিতে। কিন্তু খোদ পাকিস্তানে প্রদর্শনীর প্রসঙ্গ আসতে দেশটির রক্ষণশীল সমাজে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ভয় করছেন ভুক্তভোগী নারীরা এবং প্রাণ বাঁচাতে নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। লায়লা ফারহাত (২২) প্রামাণ্য চিত্রটিতে কয়েক মুহূর্তের জন্য অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণাই ছিল না যে এটি এমনভাবে সফলতা পাবে এবং অস্কার জিতে নেবে। এখন মনে হচ্ছে যা করেছি ভুলই ছিল।

আমরা তাদের ফিল্মটি পাকিস্তানে প্রদর্শনের অনুমতি দিইনি। লায়লা ১৩ বছর বয়সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে এক ব্যক্তি তাকে এসিড নিক্ষেপ করে। এ হামলায় তিনি একটা চোখ হারান। তবে হামলাকারীর ১২ বছরের জেল হয়। ফারহাত বলেন, ‘এটি আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অসম্মানজনক।

তারা এটিকে আলোচনার ইস্যু বানাবে। পাকিস্তানের ব্যাপার-স্যাপার কি রকম তাতো জানেন। তারা কোনো মেয়েকে ফিল্মে দেখলে এনিয়ে সারাক্ষণ নানা গল্প-গুজব করে। তিনি আরো বলেন,‘আমরা হয়তো আরো বেশি বিপদে পড়বো। আমাদের ভয় হয়, খোদা না করুন, আমরা হয়তো আবারো একই ধরনের বিপদে পড়বো।

আমরা দুনিয়াকে আমাদের চেহারা দেখাতে চাই না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।