আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ ও কিছু ব্রাহ্মণ।

ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড আমাদের সংসদে এখন আর সাংসদরা বসেন না। বসেন নাক উচু ব্রাহ্মণগণ। তাদের মানজ্ঞান এতই ঠুনকো যে পান থেকে চুন খসলেই শাপ শাপান্ত শুরু হয়ে যায়। সংসদ নেতা থেকে শুরু করে একেবারে পাতি নেতা-সবারই একই দশা। দেশে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে।

অথচ কোথাও বিদ্রোহের কোন আলামত চোখে পড়লো না। তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহ হল কী করে? হলো প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা কিংবা হত্যা-হুমকির কারণে। সরকার যদি দেশের মানুষের হৃদয়ের কথা পড়তে পারতো তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার সংখ্যা অগনিত হতো সন্দেহ নাই। বোধকরি সংসদের অন্যরা ভাবলেন- প্রধানমন্ত্রী একাই কেন এই সম্মানের অধিকারী হবেন। তাদেরও কী সম্মান কম নাকি? আর সেজন্যই তারা আবদুল্লাহ আবু সাঈদের একটা নির্জলা সত্য কথাকেও সহ্য করতে পারে নাই।

সকলে মিলে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন এই অধ্যাপকের উপর। অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর- তিনি মহান এবং পবিত্র সংসদের অবমাননা করেছেন। এ যে ঘোরতর পাপ। করজোরে সশরীরে সংসদ বিধায়কদের কাছে ক্ষমা না চাইলে অধ্যাপককে এদেশের মাটি গ্রহণ করবে না। তাই আদেশ জারি হয়েছে –ক্ষমা চাইতে হবে অধ্যাপককে।

এমনিতে এসব সাংসদদের একজন আরেকজনের মৃত্যু কামনা করতেও দ্বিধা করেন না এরা। কিন্তু যখনই নিজেদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কাউকে সত্য ভাষণ করতে দেখেন তখনই সবাই এক ‘‌রা’ হয়ে যেতে তাদের মুহূর্তকাল ব্যয় হয় না। এমনই প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়াই পাওয়া গেল তাদের। কি বলেছেন অধ্যাপক সাইদ। বলেছেন- আমাদের সাংসদদের কোন নীতি নেই।

তারা শপথ নেন অন্যায় না করার কিন্তু সাংসদ/মন্ত্রী হবার পর ঠিকই অন্যায় করেন। প্রথমেই বলা দরকার এটা এমন কোন নতুন কথা নয়। অধ্যাপক আবু সাঈদ হয়তো কথাটা বলেছেন। কিন্তু এটা আসলে এমন এক সত্য যা বলারই প্রয়োজন নেই। দেশের প্রায় প্রতিটি সচেতন মানুষ এই সত্য জানে।

তাই প্রকৃতির নিয়ম অনুয়ায়ীই এ সত্য প্রকাশ করা নিস্প্রয়োজন। আবদুল্লাহ আবু সাইদের অপরাধ তিনি এই সাধারণ সত্যটা বলতে গেছেন। যার যা কম আছে তার তা হারানোর ভয় বেশি। ইদানিং আমাদের সাংসদরা তাদের মান জ্ঞানকে যে টনটনে করে তুলেছেন তাতেই বুঝা যায় তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের সম্মানবোধ একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.