আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস,কিন্তু পরিবেশ সম্পর্কে কতটা সচেতন আমরা ?

বেশি কিছু চাই না, চাই শুধু মনের কথা বলতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস (ইংরেজি: World Environment Day, সংক্ষেপে WED) প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস। এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স (United Nations Conference on the Human Environment) শুরু হয়েছিল। এই কনফারেন্স হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন অবধি। এই কনফারেন্স ঐ বছরই চালু করেছিল জাতিসংঘের সাধারণ সভা। তখন থেকেই প্রতি বৎসর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। প্রতি বছরই দিবসটি আলাদা আলাদা শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়। উত্তর গোলার্ধে দিবসটি বসন্তে, আর দক্ষিণ গোলার্ধে দিবসটি শরতে পালিত হয়। এই বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবস ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে "Green Economy: Does it include you? "। [ এই বছরের লোগো ] পরিবেশের প্রতিটা উপাদানের সুসমন্বিত রূপই হলো সুস্থ পরিবেশ।

এই সুসমন্বিত রূপের ব্যতয়ই পরিবেশের দূষণ ঘটায় এবং পরিবেশের স্বাভাবিক মাত্রার অবক্ষয় দেখা দেয়। পরিবেশ বিভিন্ন কারণে দুষিত হতে পারে। প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণও এর সাথে দায়ী। পরিবেশ দূষণের জন্য বিশেষভাবে দায়ী ১২টি মারাত্মক রাসায়নিক দ্রব্যকে একত্রে ডার্টি ডজন বা নোংরা ডজন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই ১২টি রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে ৮টি কীটনাশক অলড্রিন (aldrin), ডায়েলড্রিন (dieldrin), ক্লোরডেন (chlordane), এনড্রিন (endrin), হেপ্টাক্লোর (heptachlor), ডিডিটি (DDT), মিরেক্স (mirex), এবং টক্সাফেন (toxaphene); দুটি শিল্পজাত রাসায়নিক দ্রব্য পিসিবি (PCBs) এবং হেক্সাক্লোরোবেনজিন (hexachlorobenzene); এবং অন্য দুটো হলো কারখানায় উৎপন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত উপজাত: ডাইওক্সিন (dioxin) এবং ফিউরান (furan)।

খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে পৃথিবীব্যাপী সব পরিবেশের সব ধরণের জীবজন্তুর উপর তীব্র প্রতিক্রিয়া ঘটায় এই বিষাক্ত পদার্থগুলো। ত্রুটিপূর্ণ শিশুর জন্ম, ক্যান্সার উৎপাদন, ভ্রুণ বিকাশের নানাবিধ সমস্যার মূলেই দায়ী থাকে এই ডার্টি ডজন। যে গুলি ক্রমশ আমাদের পৃথিবী ও পরিবেশ কে সমানে দূষিত করছে। শুধা এরাই নয় আমি , আপনিও প্রতিদিনই নিজেদের নানান কাজের মধ্য দিয়ে পরিবেশের অবক্ষয় ঘটাচ্ছি। ইতি মধ্যে উত্তর ও দক্ষিন মেরুর বরফ গলতে শুরু করেছে।

অর্থাত আমাদের সলিল সমাধির আর বেশি দেরি নেই। এখন যদি আমরা ঘুমিয়ে থাকি তাহলে আমাদের কালঘুম যদি ৫০ বছর পরে আসতে সেটা হত আগামী ১০ বছরের মধ্যেই ঘটতে পারে। অনেকেই "ভ্যালেনটাইন্স ডে, মাদার ডে র নাম শুনে থাকলেও "বিশ্ব পরিবেশ দিবশ" এর সম্বন্ধে অবগত করুন। আমাদের আগামী ভবিষ্যতদের জন্য এই সুন্দর পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখুন। তথ্যসূত্র :- উইকিপিডিয়া, United Nations Environment Programme,  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।