আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাতের ব্যথা @ পুলিশ জনগণের বন্ধু!!

সবার শরীরেই কমবেশি বাতের ব্যথা আছে। বাতের ব্যথা হলে নাকি সেখানে কিছু একটা দিয়ে আঘাত দিলে সেই ব্যথা বেশ উপশম হয়। পুলিশ যে মানুষকে পেটায়, তাতে তো পক্ষান্তরে বাতের ব্যথা সারানোর কাজই করে। যে উপকার করে সে-ই বন্ধু। সুতরাং পুলিশ আমাদের বন্ধু।

কাজ করতে করতে মানুষ ক্লান্ত, চাকরিজীবীরা তো আরও। কর্মকর্তারা চান কর্মীরা আরও কাজ করুক। কিন্তু তাদের ক্লান্তি তারা দেখতে চান না, বিশ্রামও দিতে চান না, পুলিশের পিটুনি খেয়ে সবাই হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাতে এক প্রকার বিশ্রামই হয়। সারা বছর কাজ করতে করতে অনেকে ছোটখাটো রোগেরও চিকিৎসা করার সময় পায় না। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সে-ই চিকিৎসাও করা যায়।

এত উপকার করে যারা, তারা তো বন্ধুই। সুতরাং পুলিশও... পুলিশ জনগণকে পেটায় বাঁশ দিয়ে। প্লাস্টিকের দাপটে দেশে বাঁশ-শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগে যেসব পণ্য বাঁশ দিয়ে তৈরি হতো, তা এখন প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। বাঁশ-শিল্পকে বাঁচাতে পুলিশ যে এখনও বাঁশ ব্যবহার করে, দেশের এই ঐতিহ্যবাহী জিনিসটাকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছে, এর জন্য তো তাদের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া উচিত।

দেশের এই দরদি জনগোষ্ঠী তাই আমাদের বন্ধু, আসল দেশপ্রেমিক। খুব কম লোকই আমাদের দেশে শরীরচর্চা করে। তারা পাঁচ হাত রাস্তাও হাঁটতে চায় না, দৌড়ানো তো দূরের কথা। যার জন্য অল্প বয়সেই সবার আগে আগে চলে মস্ত বড় ভুঁড়িটা। পুলিশের দাবরানির ফলে অনেককেই দৌড়াতে হয়, প্রাণপণে পালাতে হয়।

ফলে ভালো রকমের একটা দৌড় দিতে হয়। ব্যস, এতে ছোটখাটো একটা ব্যায়াম হয়ে যায়। ব্যায়াম মানেই তো উপকার। উপকার তো বন্ধুরাই করে। পুলিশও তাই আমাদের বন্ধু।

আমাদের দেশের অনেক মানুষই তার দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন নয়। কামারের কাজ দা-কোদাল বানানো, কুমারের কাজ মাটির জিনিসপত্র বানানো, তেমনি পুলিশের কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণকে পেটানো। যার যার দায়িত্ব পালন মানে দেশের জন্য কাজ করা, দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করা। দেশের জন্য যারা কাজ করে, তারা তো শত্রু নয়, বন্ধু। পুলিশও তাই... ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন, মানুষ বিপদে পড়লে প্রথমে পুলিশের কাছে যায়, পুলিশই তাদের সাহায্য করে।

পুলিশ থানার ভেতর সোফায় বসতে দেয়, স্বচ্ছ কাচের গ্গ্নাসে পানি পান করায়, বিদ্যুৎ খরচ করে ফ্যানের বাতাস খাওয়ায়। সফল আলাপ-আলোচনার পর সব মুশকিল থেকে তাদের বাঁচায়। এই না হলে বন্ধু! সুতরাং বন্ধুকে বন্ধুর মর্যাদা দিন। আমাদের মনে রাখা উচিত-'সে-ই প্রকৃত বন্ধু, যে তার বন্ধুর গোপন কাজ-কর্ম গোপন করে। ' আসুন, আমরা আমাদের এই বন্ধুদের সব গোপন ব্যাপার-স্যাপার গোপন করি, আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুত্ব রক্ষা করি।

সূত্র: ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।