আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত পুরোপুরিভাবে পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের মানুষ এই যুদ্ধে শুধু হেরে যাচ্ছে না, কোটি কোটি মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

ভারত ৩৭ নদীর ৩০ সংযোগের মাধ্যমে পানি স্থানান্তরের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এই কথা স্বীকার করলেন মন্ত্রী !! ------------------------------------- বাংলাদেশের পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভারত ৩৭টি নদীর ৩০টি সংযোগের মাধ্যমে আন্ত:বেসিন পানি স্থানান্তরের একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। এ ৩০টি সংযোগের মধ্যে ১৪টি হিমালয়ান নদী ও ১৬টি উপদ্বীপবর্তী (পেনিনসুলা) নদীর সংযোগ অন্তর্ভুক্ত আছে। এ প্রকল্পের আওতায় ব্রহ্মপুত্রের পানি গঙ্গায় স্থানান্তরে তাদের এ পরিকল্পনার কথাও জানা যায়। ------------------------------------- গত ৩০ মে ২০১২ বুধবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার (রংপৃর-১) মৌখিক উত্তর দানের জন্য উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। ‘গত ৬ মার্চ ২০১২ তারিখে ভারতের প্রস্তাবিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোট ভারবাল-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের গভীর্উদ্বেগের কথা ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে এ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের নদী, জীব-বৈচিত্র্য ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে এমন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ’’ (১)-এবার যদি বাংলাদেশের মানুষ প্রধান মন্ত্রী আর তার বিদেশী উপদেষ্টা ঘহর রিজবী কে প্রশ্ন করে - ভারত কে সুইচের বটম টিপ দেবে না কি আপনাদের বস্তাভরা আজাইরা কথা শুনবে ? (২)৭ মে ২০১২ তারিখে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট কনসুলেটিভ কমিশন-এর বৈঠকে ভারত বাংলাদেশকে পুনরায় আশ্বস্ত করে যে, আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্পের আওতায় হিমালয় নির্ভর নদীর বিষয়ে একক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না, যা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর। ’’- ------------------------------ এই হলো বাংলাদেশ সরকারের কথা --আমাদের জনগনের কথা হলো ফেলনি দের কে প্রতিদিন মারা হচ্ছে , কিন্তু ভারত তো এমনই অনেক কাহিনী বলেছে !! আজ কি একটা রেখেছে ? সব শেষে বলা যায় - পানি নিয়ে যুদ্ধের আশঙ্কা কিংবা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পানি নিয়ে এই সঙ্ঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ পানি নিয়ে এক সঙ্ঘাতের মধ্যে অবস্থান করছে। স্পষ্ট করে বলতে হয়, উজানের দেশ ভারত অনেক আগেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পানি অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই যুদ্ধে বাংলাদেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে অতীতে এবং এখনো চলমান ।

অস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের মে মাসে, পরীক্ষামূলকভাবে একটি ব্যারাজ চালু করার মাধ্যমে। যা আর কখনো বন্ধ হয়নি। ফারাক্কা ব্যারাজ নামে পরিচিত এই ব্যারাজটি চালু করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক নদী গঙ্গার ওপর। এই ব্যারাজ চালুর পর বাংলাদেশের চার কোটি মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টির বেশি নদী।

বেড়েছে লবণাক্ততা। ফসলের উৎপাদন কমেছে। বেড়েছে আমাদের জীবনের হুমকি ব্রহ্মপুত্রের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ যদি বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে বাংলাদেশের গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকা মরুভূমিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের পানি পাওয়ার প্রধান উৎস নদীগুলো পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়বে। মরে যাবে আরো অনেক নদী (৩)১৯৯৩ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার বিষয়টি আবারো জাতিসঙ্ঘে উত্থাপন করে।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের জুন মাসে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ডিসেম্বর মাসে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম শুকনো মওসুমে বাংলাদেশ চুক্তির চেয়ে কম পানি পায়। ৩০ বছর বা ৩৬০ মাসের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও চুক্তি স্বাক্ষরের তিন মাসের মধ্যে তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। কিন্তু এখন মহা পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত আর বর্তমান শেখ হাছিনা সরকার জাতিসঙ্ঘে উত্থাপন করেন না - এমন কি এই বিষয়ে জাতিকে মিথ্যা বাণী শুনাচ্ছেন - (স্বাম-৩০ মে -২০১২ ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.