আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাইফ ফলক

আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম (SDEMS) সফটওয়্যার উদ্বোধন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিভাগে ব্যাপকভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ Student Database and Examination Management System (SDEMS) সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম Student Database and Examination Management System (SDEMS) ব্যাপকভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরী করেছে। IBCS-PRIMAX Software (BD) Ltd. কোম্পানী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই সফটওয়্যারটি তৈরী করে। IBCS-PRIMAX Software (BD) Ltd. কোম্পানীর চেয়ারম্যান এম. এ. তৌহিদ বলেন, “ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম SDEMS সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে।

” উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত আগ্রহে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন-২০২১ এর অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Database তৈরী এবং সেমিস্টার পদ্ধতির সকল পরীক্ষা কার্যক্রমে Automation পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে উপাচার্য মহোদয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেজ ও পরীক্ষা পদ্ধতির উপর অভিজ্ঞ শিক্ষক ও কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির ঐকান্তিক ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঐতিহাসিক সাফল্যের দারপ্রান্তে উপনীত হয়। উপাচার্য SDEMS সফটওয়্যার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ার স্বপ্ন পূরণে এক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অতি সহজে ট্রান্সক্রিপট, ফাইনাল গ্রেডশীট, সেমিস্টার গ্রেডশীট, সনদপত্র পেতে শুরু করবে।

একই সাথে বিভিন্ন পরীক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দকে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে এখন থেকে ম্যানুয়াল টেব্যুলেশন শীট ও রেজাল্টশীট তৈরী করার মত জটিল কর্ম সম্পাদন করতে হবে না। এসময় উপাচার্য বলেন, “এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল অটোমেশন করা হয়েছে। ফলে পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত গতিতে স্বল্পসময়ে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। শিক্ষকদের ক্লাস পরীক্ষা নিতে সুবিধা হবে। এই সফটওয়্যার তৈরী একটি যুগান্তকারী কাজ।

কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিপূর্বে এ ধরনের কোন সফটওয়্যার তৈরী করা হয়নি। এই সফটওয়্যার তৈরী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাইফ ফলক হয়ে থাকবে। নিয়ম-কানুন মেনে অতি সতর্কতার সাথে কাজটি করলে এই সফটওয়্যার সেবা আমরা দীর্ঘদিন পেতে পারব। অতি শীঘ্রই মাস্টার্সের পুরো কোর্সটি এই সফটওয়্যারের আওতায় আসবে। ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল।

” সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সফটওয়্যার কমিটি আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “উপাচার্য মহোদয়ের নিরলস চেষ্টায় আমরা কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। সর্বাধিক মানসম্পন্ন করে অতি দ্রুত সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভভ হবে। ” শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল তৈরী করা সম্ভব হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্য্যক্রমে আরো এগিয়ে যাবে। ” এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “শিক্ষকরা নিয়মিত খাতা দেখলে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। সফটওয়্যারটি বিভিন্ন দিকে তুলে ধরেন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সফটওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সফটওয়্যার কমিটির সদস্য-সচিব এ. কে. এম. আক্তারুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। News courtesy: campusnews24bd.com ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.