আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্মস্থল, রেস্টুরেন্টসহ পাবলিক পেস ও পাবলিক পরিবহনে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ জরুরি

কালের স্রোত

কর্মস্থল, রেস্টুরেন্টসহ পাবলিক পেস ও পাবলিক পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত না হওয়ায় নারী-শিশুসহ অধূমপায়ীরা পরো ধূমপানের কারণে তিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় চার হাজারের বেশি তিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। পরো ধূমপানের কারণে ক্যান্সার, যা, হাঁপানি, হৃদরোগসহ বিভিন্ন কঠিন রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান প্রসব, অকাল গর্ভপাত, বিকলাঙ্গ বা কম ওজনের শিশুর জন্মÑইত্যাদি মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া নারী ও শিশুর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ মতা কমিয়ে দেয়।

পাবলিক পেস ও পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ হলেও রেষ্টুরেন্ট, কর্মস্থল এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো এখনো ধূমপানমুক্ত স্থানের আওতায় আনা হয়নি। শতভাগ ধূমপানমুক্ত স্থান না করা হলে পরো ধূমপানের তি হতে জনসাধারণকে রা করা সম্ভব নয়। নারী-শিশুসহ অধূমপায়ীদের পরো ধূমপানের তি হতে রায় কর্মস্থল, রেস্টুরেন্ট, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ পাবলিক পেস ও পাবলিক পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা জরুরি। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে নিররতার হার বেশি ও স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ ধূমপান ও তামাকের তিকর বিষয়ে সচেতনতা কম। তাই সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যেকে মোড়কের আওতায় আনা এবং সব মোড়ক/প্যাকেটে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করা দরকার।

বাংলাদেশর জনসংখ্যার একটি বড় অংশ সাদাপাতা, গুল, জর্দা সেবন করছে। কিন্তু এসব তিকর তামাক আইন ও করের আওতায় আসেনি। ফলে দেশে তামাকজনিত মৃত্যু ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তাই সব তামাককে কর ও আইনের আওতায় আনতে হবে। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে কিছু সুপারিশ-- পাবলিক পেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থান সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা; প্রত্য, পরো তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৫০% শতাংশ জুড়ে তিকর দিক তুলে ধরে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান; সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে তামাক কোম্পানির নামে লগো ব্যবহার করে প্রমোশনার কার্যক্রম নিষিদ্ধ; তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক বা কৌটার অনুরূপ বা সাদৃশ্যে অন্য কোন প্রকার দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যে কোন নাগরিককে মামলা করার অধিকার প্রদান; আইনভঙ্গের প্রেক্ষিত্রে তামাক কোম্পানিগুলোর জরিমানা ও শাস্তির পরিমান বৃদ্ধি; তামাকের বিকল্প চাষ ও কর বৃদ্ধির জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, তামাক কোম্পানিগুলো হতে স্বাস্থ্যকর নামে কর আদায়, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিধি বৃদ্ধি এবং ধূমপানমুক্ত স্থান তৈরির করতে ব্যর্থ হলে সংশিষ্ট কর্তৃপরে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।