আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিভ্রান্তি বিলাস

কারো ভালো খবর শুনে এতো মন খারাপ জীবনে কখনো হয়নি । বহুদিন পর বন্ধু যখন দেখা করতে এসে বলে সে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে । হোক না গত তিন বছর আমাদের দশ বার ও দেখা হয় নি , তিন জন মিলে রিকশা করে কোথাও যাওয়া হয়নি , তবুও তো জানি তোরা আর আমি একই শহরে । বন্ধু তোরা কাছেই আছিস আমি সব্সময় বলি বন্ধু ভাগ্য আমার অনেক ভালো , তার প্রথম কারন টা হলো তোরা । তোর খারাপ কারন টা হলাম আমি সেইদিন সর্বমোট তোদের দিকে তাকাইতে পারসি চার বার , কি করতাম সব কিছু ঝাপসা ঝাপসা লাগে ।

এখন ও তাই । তুই দেখলে কি একটা লজ্জার কাজ হবে । আমি তো জানি আমি অনেক শক্ত একটা ছেলে । খোদার কসম তোর সাথে এই জীবনে স্বার্থপরতা ছাড়া আর কিছু করি নাই , তোরে দেখে ও বন্ধুত্ব শিখি নাই । কি সব আবোলতাবল লিখসি , দুনিয়ার সব কিছুই বালছাল আবাল আসলে পৃথিবী কিছু মানুষ আছে যারা শত চেষ্টা করেও কারও আপন হতে পারে না , এদের হয়তো অনেক বন্ধু বান্ধব থাকে কিন্তু হিসাব মিলাতে গেলে দেখা যায় এরা বহিরাগত , এরা একাই চলে , একাই ঘুরে, বেশি ভিড় এদের কখনই ভালো লাগে না ,কাউকে আপন লাগলে তাদের সাথে বাচ্চাদের মতো হয়ে যায় ... এদের কেউই আপন ভাবে না , ভাবে যন্ত্রণা , এইভাবে কষ্ট পেয়ে পেয়ে এই ধরনের মানুষগুলো নিরবে সরে যায় ,হারিয়ে যায় , কিন্তু কেউই তাদের খোঁজ করে না ...... বিভ্রান্তি বিলাস মাঝরাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে মাঝে মাঝে আমি ফেসবুকে একটা নারীক প্রফাইল খুঁজি।

খুবই গোপনে। আমি জানি এই লাইনটা পড়ে অনেক পাঠক দাঁতের পাটি বের করে ফেলেছেন। মনে মনে ভাবছেন, বয়স তো কম হলো না নিমাই, এখনও এইসব? ছিঃ। আমার মনে পড়লো হেলাল হাফিজের কবিতার লাইন, ''ভালোবাসা যাকে খায়-- এইভাবে সবটুকু খায়। '' তারপর আর কখনোই আমি ওপাড়ায় যায়নি, ও পথে হাঁটিনি।

তাহলে ইদানীং রাত বিরাতে সেই নারীকে খুঁজে মরি কেন? খুব সোজা উত্তর। জাস্ট সেই ভদ্রমহিলাকে একটা ''থ্যাংক ইউ'' বলার জন্য। আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে, এই যে ঝরঝর করে গদ্য লিখছি, স্ট্যাটাস মারছি, তুমি ধাক্কাটা না মারলে, পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করে, খুব তালেবর ছাত্র হয়ে ''থিসিস'' লিখতাম। তুমি আমাকে থিসিস লেখা থেকে বাঁচিয়েছো। বাংলা গদ্য লেখার যে আনন্দ, এই আনন্দ আমি কোথায় পাবো, বলো? শুধু থ্যাংক ইউ না, মেয়েটাকে ছোট্ট করে বকাও দিতাম।

বলতাম, এই মেয়ে, তুমি তো আমাকে অন্যভাবে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে পারতে। বলতে পারতে, একটা না, দশটা উপন্যাস লিখলে ভেবে দেখতে পারি। দেয়ার মে বি সেকেন্ড চান্স। তাহলে আমি সিরিয়াসলি দশখানা উপন্যাস নামিয়ে দিতাম। তাতে তোমার আমার মিলন না হলেও, বাংলা সাহিত্যের বড়ো উপকার হতো।

মেয়ে, তুমি পচা কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে, ভাইয়া আপনার এই লেখার উদ্দেশ্য কি? আমি বলি, একদা আমার লেখাটার একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল বটে, কিন্তু সেই উদ্দেশ্য বহুকাল আগেই ব্যর্থ হয়েছ, বলা যেতে পারে মাঠে মারা গেছে। বিভ্রান্তি বিলাস-৩ আবার এলিটারা সামনের বছর দেশে আসতেছে, নাহ এইবার আর ফাও কামলা খাটার মানসিকতা নাই! কি লাভ ফাও কামলা দিয়া ভালোইতো আছি, পচানি কমছে লোক জনের কি লাভ ওরে নিয়া ব্লগে পোস্ট করার, কি’ইবা দরকার......... বাস্তব জীবনে বেশী জৌলুসপূর্ণ বস্তুকে পাবার জন্য অহেতুক কালক্ষেপণ করো না। আকাশের দিকে তাকালে সবার প্রথমে সূর্যটাই চোখে পড়ে। কিন্তু সূর্যের দিকে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থেকো না - চোখ ঝলসে যাবে। পুরো আকাশটাই আছে তো তোমার জন্য - কেনো শুধু সূর্যের দিকেই তাকিয়ে থাকবে? [বিঃদ্রঃ বাক্তিগত অবস্থান শেয়ার করার জন্য দুঃখিত ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।