আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুজাহিদ বিভ্রান্তি

স্বাধীনচেতা আমি

অনেক ইসলামী পত্রিকা ও তথাকথিত ইসলামী বুদ্ধিজীবী তালেবান ও ওসামার ব্যাপারে অনেক বাজে কথা লিখছে ও বলছে যা সাধারন মানুষকে চরম বিভ্রান্তিতে ফেলছে। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারছি তালেবানরা মহিলাদের স্কুল/কলেজ বোমা মেরে ধ্বংস করে দিচ্ছে আর আমরা এই সব সংবাদ সহজেই বিশ্বাস করছি অথচ বিষয়টি এমনও হতে পারে যে তালেবানরা এই হামলা না করে ইহুদী জোটের কেউ এই সব হামলা করে তালেবানদের নামে প্রচার করছে। এমনও হতে পারে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমেরিকা ইহুদি জোট এইসব করছে আর দোষ দিচ্ছে মুসলিম মুজাহিদের। মিডিয়ার মাধ্যমে শুধু যে সাধারণ মুসলমানই বিভ্রান্তিতে ভুগছে তাই নয় বরং অনেক আলেমও একই রোগে ভুগছে যা আমাদের কখনই কাম্য নয়। আমাদের একটা বিষয় বুঝে আসছেনা সব জিহাদিরাই যদি সন্ত্রাসী হয় তাহলে মুজাহিদ কারা।

তালেবান, আলকায়েদা, হামাস, কাশ্মীরী মুজাহিদ, সোমালীয় মুজাহিদ এরা সবাই যদি সন্ত্রাসী হয় তাহলে মুজাহিদ কারা? সহীহ মুসলিমে এসেছে“এই দ্বীন চিরদিন কায়েম থাকবে এবং তা কায়েম করার জন্য মুসলমানদের মধ্য থেকে ছোট একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত সশস্ত্র জিহাদ করতে থাকবে”। এই হাদিস প্রমাণ করে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার জন্য ছোট একটি দল কিয়ামতের আগ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। হামাস লড়ছে স্বাধিনতার জন্য, কাশ্মীরীরা লড়ছে স্বাধিনতার জন্য, সোমালীয় যোদ্ধারা লড়ছে ইসলামী হুকুমাত কায়েমের জন্য, আফগানিস্তানে তালেবানরা লড়ছে এই ভূখন্ডে ইসলামী শরীয়াহ কায়েম করার জন্য, আল কায়েদা লড়ছে সাম্রাজ্যবাদীদের পৃথিবী থেকে মুছে দেওয়ার জন্য। কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী যারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করবে তারাই হচ্ছে প্রকৃত জিহাদকারী। সুতরাং আমরা বলতেই পারি সোমালীয় যোদ্ধা বা তালিবানরা কিংবা ওসামার সৈনিকরাই হচ্ছে প্রকৃত মুজাহিদ।

তারা ছাড়া আর কারা যারা আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার জন্য যুদ্ধ করছে? আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার জন্য যারা যুদ্ধ করছে তারাই সন্ত্রাসী আমেরিকা ও তার দোসর মিডিয়ার কাছে। আমাদের মনে রাখা দরকার, সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই লড়াই করেছে তারা সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে কিন্তু ঐ বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই যখন জয়ী হয় তখন স্বাভাবিকভাবে ইতিহাস তাদের পক্ষেই কথা বলে। সুতরাং আমাদের মিডিয়ার কথায় কান না দিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বুঝার চেষ্টা করতে হবে কারা সন্ত্রাসী আর কারা মুজাহিদ। বর্তমানে অনেককে বলতে শুনা যায় ওসামা যদি আমেরিকার চরই না হবে তাহলে আমেরিকার কাছে এত প্রযুক্তি থাকা সত্বেও ওসামাকে কেন ধরতে পারছে না? এর কথার জবাব এই যে, আল্লাহর কাছে যে প্রযুক্তি আছে আমেরিকা বা ইহুদিদের কাছে তার কোটি ভাগের এক ভাগও নেই। আল্লাহ যদি ওসামাকে বাঁচাতে চান তবে আমেরিকার কি সাধ্য আছে যে ওসামা বা আমিরুল মুমিনীন মোল্লা ওমরকে ধরবে।

আবার অনেক ইসলামী ব্যত্বিকে বলতে শুনা যায় যে আমেরিকাই ওসামাকে তৈরি করেছে। এই কথা নিন্তাই অসাড় ও অযৌক্তিক। ওসামার সাথে কিছু সময় বুশের সম্পর্ক থাকতে পারে তার অর্থ এই নয় যে আমেরিকা ওসামাকে সৃষ্টি করেছে। আচ্ছা, তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম যে আমেরিকা ওসামাকে তৈরি করেছে তাই বলে কি ওসামা তার নিজের ভুল ভুঝতে পেরে ওমর বা খালিদের মত ইসলামের পথে আসতে পারবে না? ইসলামী বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ করবো যে সব মুজাহিদরা আমেরিকা বা ইসরাইল বা ভারতে জিহাদে র্লিপ্ত তাদেরকে সন্ত্রাসী না বলে মুজাজিদ বলুন, যদি তা না পারেন তবে অন্তত্ব ডাঃ জাকির নায়েকের মত বলুন “আমি ওসামার সাথে কখনো কথা বলিনি কিংবা তার সাক্ষাৎকার নেয়নি তাই বলতে পারছি না সে ভাল না মন্দ। ”


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।