আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার সেলেব্রেটি বেলা

সপ্তাহ খানেক ধইরা হিট খাইয়া গেসি...আমার একটা সবেধন নিলমনি পোস্ট সবাই মিল্লা ফেসবুকে শেয়ার মারতে মারতে বাজারের সূচক উঠাইয়া ফালাইছে...তাও শেয়ারিং থামে না...পেজ থেকা পেজে , গ্রুপ থেকা গ্রুপে , টাইম লাইন থেকা টাইম লাইনে, ফেসবুক থেকা সামুতে হইয়া আবার সামু থেকা ফেসবুকে কালব্যাধির ন্যায় ছড়াইয়া গেছে, পুরাই জেমস জেঠুর তারায় তারায় রটিয়ে দিমু টাইপ অবস্হা(খুব ছুডবেলায় আমি চিৎকার কইরা কইরা গাইতাম 'আমি তারায় তারায় লটকিয়ে দিবো, তুমি আমার') ...ছড়াইয়া পড়ার সময় পোস্টের যে খানিকটা বিকৃতি ঘটে নাই তা না...অরিজিনালে পয়েন্ট আছিলো ১০ টা...ছড়াইতে ছড়াইতে হইছে ১২ টা, তাতে আমার ইজ্জত বাড়ছে বই কমে নাই। আমার এক কাজিন প্রথম আমারে ফেসবুক চ্যাটিং এ কইছে যে আমার লেখা ফেসবুকে (কুপা)কপি হওন শুরু হইছে, শুইনা সারে তিন হাত উচায় তিনডা লাফ দিলাম ...কিন্তু কাজিনের লগে ভাব নিলাম হ্যাহ...এই ধ্রুপদি লেখাটা আরো আগেই ফেসবুকে যাওনের কথা আসিলো, কিন্তু যায় নাই । তারপর আরো গোটা জনা সাতেক একে একে(যারা আমারে ফিজিকালি চিনে এবং জানে যে লেখাডা আমার আসিলো ) আমারে জানাইলো যে আমার লেখাডা কপি হইছে...ততক্ষনে নিজের মইধ্যে একটু সেলেব্রেটি সেলেব্রেটি ভাব জাইগা উঠলো । নিজেরে সেই ৭ জন থেকা আলাদা মনে হওয়া শুরু করলাম, যদিও নিজের লেখা কপি গনহারে কপি হওয়াতে ফিলিং টা অনেকটা এইরকম যে ভিতরে ভিতরে আমি অনেক খুশ মাগারউপরে উপরে যেই ৬/৭ জন জানে যে লেখাডা আমার, হেগো লগে আমি চোখমুখ ছোড কইর‌্যা আমার কোটি টেকার লোসখান হয়া গ্যাছে টাইপ ভাব নিয়া কথা কইতাছি, পারলে আমার সুনামের গুড উইল নস্ট হওয়াতে কেস করার লাইগা যোগ্য উকিল খুইজ্যা পাইলেই কোটকাচারির কামডা সাইরা লাইতাম। আমি অটোগ্রাফ প্র্যাকটিস করতে করতে ক্লাস টুতে পড়া ভাইগ্নার স্কুলের ইংরেজি C.W. খাতার ৯ পৃস্ঠা নস্ট করছি, তার লইগা নাকি ভাইগ্না কানে ধইরা ২০ বার কানে ধইরা উঠবসও করছে (খাতায় দাগাদাগি কেডা করলো এই রহস্য বাসায় এখনো সলভড হয় নাই) এত অটোগ্রাফ প্র্যাকটিস করাতে লাভ একটাই হইছে যে এখন ব্যাংকে গেলে চেক ভাংগানোর সময় সাইন না মিলাতে আগের মতন আর ক্যাশিয়ারের পায়ে ধইর‌্যা কাইন্দা কাইন্দা আর চিক্কুর পাইরা কইতে হইবো না যে ''বিশ্বাস করেন এই একাউন্ট ডা আমার, আমারে আমার টেকা দিয়া দেন''। সবচেয়ে বেশি ভাব নিসি যার লগে(যদিও ভাবের পুরাডাই পানিতে পড়ছে) সে হইলো আমার উনি, যেই ভাব নিয়া কইলাম জানো আমার একটা লেখা না ফেসবুক ছড়াইয়া গেসে..তখনই কইলো ''আরে কালকে একবার তো ফোনে বললা, এক কথা কয়বার বলা লাগে''(বিশ্বাস করেন কই জানি শুনলাম ফুছছছ কইরা একটা শব্দ হইতাছে,১৫ সেকেন্ড পরে বুঝলাম ইজ্জতকা হাওয়া নিকাল গায়া ) আরো কইলো ''আর আমাকে বিয়ে করে তো আর ডেইলি ব্যুফে খাওয়াবা না,তাইনা!! আর তোমার ফালতু লেখাটায় তো আছেই যে গার্লফ্রেন্ড/বৌ নিয়া ব্যুফে তে যাওয়া যাবে না, আর আব্বা যখন জানবে যে আমার একটা পছণ্দ আছে তখন ডেফিনিটলি জিগ্গেস করবে যে ছেলে কি করে? তখন আমি কি বলব? বল। নাকি বলব যে ছেলে খালি ব্যুফে খায়..এইসব ব্যুফে ব্যুফে না করে কিছু একটা করার চেস্টা কর যাতে বাবার কাছে বলতে পারি তোমার কথা''।(আরো অনেক ইজ্জত ঢিলা কইর‌্যা দেওন কথা যেই গুলান শুনলে আপনাগোই মন উইঠা যাইবো ব্যুফে থেকা) কথার ফুলঝুড়িতে অবশেষে সেলিব্রেটি ভুত মাথা থেকা নামলো...কখন জানি আনমনে ভাইগ্নার ইংরেসি খাতাটায় করা অটোগ্রাফ গুলিতে হাত বুলানি শুরু করলাম, হঠাৎ মনে হইলো এই গুলানরে স্মৃতি হিসেবে রাইখ্যা দেওন দরকার। নগদে পৃস্ঠা গুলি ছিড়া নিলাম। পরের দিন শুনি একলগে নয়টা পেইজ ছিড়া ফেলাতে খাতার বাকি পৃস্ঠাগুলিও ঢিলা হইয়া খুইলা পড়তাছে তাই আইজকাও ভাইগ্নারে ২০ বার কানে ধইরা উঠবস করতে হইছে আমার সমকামি বেলা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।