আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাকে রেখেই গেলি

তোর বাড়িটা এই মাত্র বন্ধ হলো। জানলার ফিন ফিনে পর্দার এপারে একজন দাঁড়িয়ে আছি গরমের রাতে। কপাট বন্ধ হল। আমি দেখছি প্রদীপের সলতে কমে যাচ্ছে। তোকে শোবার ঘরে শুয়ে পড়তে দেখবো এটা সভ্যতার অংশ নয়।

তবুও অনুভব করতে পারছি জলে ডুবন্ত মাছের মত ঘুমিয়ে যেতেই কার্নিশে খুট শব্দের প্রতিধ্বনি হলো। পকেট থেকে পরিচিয় পত্র খুলে দেখছিলাম। আমারই তো ভুল। আমার কার্ডে কোথাও তোর নাম লেখা ছিল না। রাতের সব বাঁধা অতিক্রম করে একজন পথিক হয়ে আশ্রয় নেয়াও এ শহরে দুষ্প্রাপ্য।

তবুও ভাল তুই মিথ্যে জ্বরের অজুহাত তুলিস নি। ক্লিশে হওয়া পানের পাত্র খালি। তোর তো মনে হয়নি আমি শুধুই পানাহারী কেউ। তাছাড়া আমাকে দেখিয়েও দিসনি সরাই খানায় আশ্রিত অথবা আশ্রমের আশ্রয়ে থাকা মানুষগুলোর মতই একজন আমি। এখুনি নিভে যাবে দীপ।

যাচ্ছে । একটা ঠাণ্ডা বাতাস অদৃশ্য বেড়ালের মতো আমার পায়ের কাছে ঘুরতে থাকছে। বরং আমাকে তুই উঁকি দিয়ে দেখিস। পিঠে একটা লাঠি; ওরর শেষ প্রান্তে একটা পুটুলি বাঁধা। সব ভেঙে চুড়ে কয় মুঠো খুদ নিয়ে অগস্ত যাত্রা।

রাত হয়েছে তবুও দরজা ভেঙে তোকে তুলতে চাইছি আমি। তুই কি কোন বাড়ির শিশুকন্যা, কোন বাড়ির বউ আর কোন বাড়ির কলেজপড়ুয়া মেয়ে। দপ্তরের কাজ সারলি যখন তুই কি শুধুই সেই অফিসকন্যো। যে খানে, তার নাম সবাই জানে। আমি কেন এমন করে দেখি, সুখ আর দুখের ক্যালিডোস্কোপ? এক মাত্রার সরল রেখা হয়ে শুয়ে থাকে আছিস তুই।

মানুষটি এখন চুপচাপ আর শুয়ে আছে যখন আমি ঘুরছিলাম চৌহদ্দি পার হয়ে। লাল ইটের বাউণ্ডারীর চারদিকে যখন আমের গন্ধটা বাতাসে ছড়িয়ে। তুমি বলি? না, আবারও তুই। তুই তুই তুই। পদ্মার পারের মেয়ে তুই।

ঘূর্নিতোড়ে পাক খেয়ে ঘন জলবিম্বের মত তুই। এখন থেকে যাবতীয় তৈজসপত্রের ঝন ঝন থেকে সুশ্রাব্য সঙ্গীতটাকে আলাদা করবি। ছিটকিনি আর দেয়ালের টিকটিকি যখন সমান্তরাল থাকছে তোর ঘুম আসছে। হাত ছড়িয়ে তুই ঘুমিয়ে যাচ্ছিস। তোকে বলেছি কি কম করে হলেও পাঁচ বার নম্বর সহ সবুজ বোতাম সচল হয়েছে, তুই ধরিস নি.. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.