আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাকে মিছিলে যেতে হত প্রতি সপ্তাহে । এক মাস পরে আমাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।



২০০৪ এফ এইচ হল । আমি ১ম বরসের ছাত্র (পলিটিক্স করি সিটের জন্য। আমার ধারনা ছিল ঢাবিতে যারা আসে তারা একটি এলাকার সবচেয়ে মেধাবি আর ভাল মানুস । হায়রে - এখানের যারা পলিটিক্স করে তারা কতটা নংরা হতে পারে কল্পনা করা ্যায় নাহ । আমাকে মিছিলে যেতে হত প্রতি সপ্তাহে ।

যেতাম - অসুবিধাআ কি ? মজাই লাগে । কাজ নাই - মধুতে যাও চা খাও আর বড় ভাইদের পাশে দাঁড়িয়ে থাক। প্রতিদিন ফুটবল খেলা হত, খেলাতাম, রক্তদান এ কাজ করতাম কি যে ভাল লাগত। ক্লাস কর সারা রাত তাস খেল র চাঙ্খারপুল এ গিয়া তেল ছাড়া পরতা খাও । কানটিন এর লাস্ট টেবিল পলিটিকাল টেবিল ।

অখানে বস্লে খাবার তারা তারি আসে, নাহলে খাওা অরধেক নিয়া তরকারির জন্য বসে থাকতে হয় । আমার অখানে বসতে ভাল লাগে নাহ। কারন নায় বললাম। ডাইনিং এ খাওয়া শুরু করলাম। মাটিতে বসে খেতে ভাল লাগে তাই তাব্লিগি ভাইদের সাথে বসে খেতাম ।

এক বড় ভাই লাস্ট ইয়ার এর আমার পাশেই বসতেন । আলু ভরতা করলে আমাকে দিয়ে দিতেন। উনি খেতেন নাহ। এক সাথে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছি বহুতদিন। ফর ইয়ার অনার্স এর আন্দলন শুরু হল।

আমাদের সবার দাবি। এটা পলিটিকাল আন্দলন ছিল নাহ । পলিটিকাল বড় ভাই রাও প্রথমে ছিলেন । কিন্তু রাতের বেলা ১টায় আমাদের ১০ জনকে ডেকে পাঠান হল ওই ভাই সহ আরও কয়েক জনকে পিটিয়ে আসতে হবে । কস্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল।

যে ভাইয়ের সাথে বসে খাবার ভাগ করে খেয়েছি, হলে জাকে দেখে সালাম দিয়েছি নামায পড়ছি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তার গায়ে কেম্নে হাত তুলি ? উনি নাকি শিবির- হল শিবির আমার তখন একটাই কথা মাথায় ঘুরছে এটা কেমন করে করব ? ১০ জন ছিলাম আমরা ৪ জন না করে বসলাম । কেমন করে জানি সাহস পেয়ে গেলাম। প্রস্ন করলাম আমি ১ম বরষের হয়ে যদি ৪থ এর গায়ে হাত তুলি তাহলে আমাকেও ত কেও একজন এসে মারবে ভবিশ্যতে । আমাকে হল থেকে বের করে দিলে দেন কিন্তু এরকম অন্নায় মারামারিতে আমি নাই। রুমে এসে ঘুমিয়েছি ৪টায় ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে বুঝান হল দলের আদর্শ ।

এক মাস পরে আমাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। আর অই রাতে ৪জন বড় ভাইকে কি পরিমান মারা হয়েছিল ? বিবিসি তে নিউজ হল নাম সহ। আর আমরা শুনলাম কেন্দ্রিও কমান্ডের নির্লজ মিথথআ । আহ কত অন্নায় !!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.