আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের শিক্ষকরা কি গুন্ডা বদমাশদের চেয়েও জাতির কাছে কম মূল্য রাখে?

আমরা যখন ছোট ছিলাম, স্কুলে পড়তাম তখন একটা গল্প পাঠ্য ছিল যার মূল্ বিষয়বস্তু ছিল এরকম, বড় সাহেব স্কুল পরিদর্শনে আসে তার কুকুরসহ,যার ছিল তিন ঠ্যাং, যার পিছনে প্রতিমাসে খরচ হতো ৭৫ টাকা আর পন্ডিতমশাই এর মাসিক বেতন ছিল ২৫ টাকা। বড় সাহেব স্কুল পরিদর্শন শেষে চলে যাওয়ার পর পন্ডিতমশাই ছাত্রদের প্রশ্ন করেন কে বেশী দামী বড় সাহেবের কুকুর নাকি পন্ডিতমশাই । উত্তরে সমীকরণ দাড়ায় কুকুরের এক ঠ্যাং সমান পন্ডিতমশাই । (স্মৃতি হাতড়ে নেয়া তাই সামান্য এদিক ওদিক হতে পারে। ) জাতি গঠনের কারিগর বেসরকারী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা আজ দেশের সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কর্মচারী, এমনকি ঢাকা শহরের ফুটপাথের কোন হকারের চেয়েও কম।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রাপ্য দিচ্ছি আমরা তাদের পিটিয়ে,গরম পানি ছিটিয়ে গুন্ডা বদ্মাশদের মত আচরণ করছি, রাস্তায় শুইয়ে রাখছি। অবাক হলেও সত্যি যে তাদের এই আন্দোলন সরকার, বিরোধী দল, তথাকথিত সুবিধাভোগী সুশীল সমাজ এমনকি ব্লগারদের মধ্যেও তেমন কোন সাড়া ফেলতে পারেনি। এমনকি প্রথম আলো, আমার দেশ, কালের কন্ঠ কোন পত্রিকায়ই খবরটা প্রথম পাতায় আসলেও লীড নিউজ হয়নি। তাইতো যারা সুরঞ্জিত ইস্যুতে পত্রিকার পাতা, ব্লগ গরম করে রাখে এই বিষয়ে তারা নিশ্চুপ। সরকারের কাছে এই বিষয়ে কোন কিছু আশা করা আর অরণ্যে রোদন একই কথা।

ডিজিটাল সরকার ছাত্রলীগকে শুধুমাত্র টেন্ডারের মাধ্যমে যেই পরিমাণ সুবিধা দেয় তার সিকিভাগ দিয়েই তাদের দাবী মানা সম্ভব। সরকার না হ্য় ডিজিটাল তাই শিক্ষকদের এনালগ কান্না তাদের কাছে পৌছায়না যতটা পৌছায় ছাত্রলীগের ডিজিটাল আবদার ,কিন্তু নতুন প্রজন্মের ব্লগারদের কাছে আমার এতটুকু দাবী আমরা কি ব্লগে শিক্ষকদের দাবীর পক্ষে একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কুকুরের এক ঠ্যাং এর চেয়ে দামী করতে পারিনা।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.